সাম্প্রতিক খবর

জুন ৮, ২০১৮

সারা দেশে সেরার মুকুট ‘সুন্দরিনী’র

সারা দেশে সেরার মুকুট ‘সুন্দরিনী’র

আবারও দেশের সেরা বাংলা। বিশুদ্ধ দুধ উৎপাদনে দেশের সেরার শিরোপা পেল বাংলা। জাতীয় পুরস্কার ছিনিয়ে আনল রাজ্যের সুন্দরিনী। সুন্দরবনের গ্রামীণ মহিলাদের স্বাবলম্বী করে তুলতে কয়েক বছর আগে পথচলা শুরু করেছিল সুন্দরবন দুগ্ধ সমবায়ের ‘সুন্দরিনী ন্যাচারালস’ ব্র্যান্ড। ২০১৫ সালে এই নামকরণ করেন স্বয়ং মুখ্যমন্ত্রী।

এই ব্র্যান্ডের দেশি গরুর দুধ, ঘি, জঙ্গলের খাঁটি মধু, হাঁস মুর্গীর ডিম, মুগের ডাল এবং দেশী চালের চাহিদা এখন তুঙ্গে। লাভের টাকা সরাসরি জমা পড়ছে ওই মহিলাদের অ্যাকাউন্টে। এর ফলে জীবনযুদ্ধে ঘুরে দাঁড়িয়েছেন প্রায় সাড়ে তিন হাজার দরিদ্র মহিলা। এই অবদানের জন্য সুন্দরিনীকে দেশের আদর্শ ‘মডেল’ হিসেবে গণ্য করেছে কেন্দ্রীয় সরকারের অধীনস্থ সংস্থা রাষ্ট্রীয় দুগ্ধ উন্নয়ন পর্ষদ।

বিশ্ব দুগ্ধ দিবস হিসেবে ১লা জুন গুজরাটের আনন্দে তাদের হাতে পুরস্কার তুলে দেন কেন্দ্রীয় পঞ্চায়েতরাজ ও কৃষিমন্ত্রী। ওই একই দিনে দিল্লীতে সর্বভারতীয় বণিক সংগঠন ফিকি’র তরফ থেকে সুন্দরবন দুগ্ধ সমবায়কে নগদ ২৫ লক্ষ টাকা আর্থিক পুরস্কার দেওয়া হয়। সেই সঙ্গে মা মাটি মানুষ সরকারের মুকুটে আরও একটি পালক যুক্ত হল।

দেশের যত দুগ্ধ সমবায় আছে, তারা মূলত দুধ, দুগ্ধজাত দ্রব্য উৎপাদন করে। কিন্তু, সুন্দরিনীর অভিনবত্ব, এরা দুধ ও দুগ্ধজাত দ্রব্যের পাশাপাশি চাল, ডিম, মধুও সংগ্রহ করে বিপণন করে। এটি একটি অভিনব দিক। এছাড়া একমাত্র এই সমবায়টিতে জড়িয়ে আছেন শুধু মহিলারা, সেজন্যই তারা সেরার শিরোপা অর্জন করেছে।

এর আগে ১০০ দিনের কাজে, গ্রামীণ আবাস যোজনা সহ বিভিন্ন গ্রামীণ উন্নয়ন প্রকল্প রুপায়নে সেরার শিরোপা পেয়েছে বাংলা। কন্যাশ্রীর বিশ্ব খেতাবের পর এটাকে অনেকে রাজ্যের মহিলা ক্ষমতায়নের ক্ষেত্রে একটি বড় সাফল্য বলে মনে করছেন।