সাম্প্রতিক খবর

জুন ২৫, ২০১৮

সরকারি লজে এবার মিলবে তিন তারার বিলাস

সরকারি লজে এবার মিলবে তিন তারার বিলাস

যে কোনও শুভ উদ্যোগে একটা প্রস্তুতি পর্ব লাগে। পর্যটন শিল্পে সফল হওয়ার অন্যতম শর্তই হল রাজ্যের ট্যুরিস্ট লজগুলির আধুনিকীকরণ। হাল ফ্যাশনের আসবাব, উন্নত পরিষেবা এবং সুস্বাদু রান্নার পদ থাকলে বেসরকারি হোটেল ছেড়ে পর্যটকরা এই সব লজে আসতেই আগ্রহী হবেন। শুধু, ঘরভাড়া ও খাবারের দাম আম আদমির আয়ত্তের মধ্যে থাকা দরকার।

দুর্গাপুজো কার্নিভালকে সামনে রেখে দেশ-বিদেশের পর্যটক টানতে এ বার ট্যুরিস্ট লজগুলির খোলনলচে বদলাতে চলেছে রাজ্য সরকার। সরকারি ট্যুরিস্ট লজে পর্যটকদের তিন তারা হোটেলের সুযোগ-সুবিধা ও পরিষেবা দেওয়াই লক্ষ্য। সংস্কার-প্রকল্পে খরচ হবে ১০০ কোটি টাকা। সে জন্য জুলাই থেকে বন্ধ হচ্ছে রাজ্যের ৩২টি সরকারি ট্যুরিস্ট লজ। খুলবে পুজোর ঠিক আগে, ১ অক্টোবর।

রাজ্যের পর্যটন অধিকর্তা ও পশ্চিমবঙ্গ রাজ্য পর্যটন উন্নয়ন নিগমের ম্যানেজিং ডিরেক্টর বলেন, এই মুহূর্তে ৪২টি ট্যুরিস্ট লজ রয়েছে নিগমের। এর মধ্যে শান্তিনিকেতন, গঙ্গাসাগর, আসানসোল, বক্রেশ্বর, দিঘার লারিকার মতো ১০টি লজের পরিচালন ব্যবস্থা বেসরকারি সংস্থার হাতে তুলে দেওয়া হয়েছে। বাকি ৩২টি লজ পশ্চিমবঙ্গ রাজ্য পর্যটন উন্নয়ন নিগম নিজেরাই পরিচালনা করে। সবগুলিই এক সঙ্গে সংস্কারের সিদ্ধান্ত হয়েছে।

১ জুলাই থেকে ১০টি লজ বন্ধ করা হবে। ১৫ জুলাই থেকে বন্ধ হবে বাকি ২২টি লজ। ওই সময়ে তিন মাস কোনও বুকিং নেওয়া হবে না। প্রথম দফায় বন্ধ হতে যাওয়া দশটি লজ হল–ডুয়ার্স, মৈনাক, জলদাপাড়া, মালবাজার, বাতাবাড়ি, মালদহ, বহরমপুর, বকখালি, দিঘা ও মালঞ্চের লজ। ৩০ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত বন্ধ থাকবে। অক্টোবরের শুরুতে ফের চালু হবে।

প্রতিটি লজেই পরিষেবার মান উন্নয়নের পরিকল্পনা করেছে সরকার। বেসরকারি হোটেলের বদলে সবাই যাতে সরকারি লজে থাকতে আগ্রহ দেখান, সে জন্য তিন তারা হোটেলের সমতুল স্বাচ্ছন্দ্যের ব্যবস্থা করা হচ্ছে।