সাম্প্রতিক খবর

জুন ২৩, ২০১৮

এবার শহরের বেকার যুবকদের স্বনির্ভর করতে প্রকল্প তৈরী করছে রাজ্য সরকার

এবার শহরের বেকার যুবকদের স্বনির্ভর করতে প্রকল্প তৈরী করছে রাজ্য সরকার

গ্রামাঞ্চলের পর এবার শহরাঞ্চলের বেকার যুবক যুবতীদের স্বনির্ভর করার লক্ষ্যে প্রকল্প তৈরী করছে রাজ্য সরকার। রাজ্য সমবায় দপ্তর এই পরিকল্পনা তৈরী করেছে।

গ্রামাঞ্চলের বেকারদের জন্য ইতিমধ্যেই রাজ্য সরকার একটি প্রকল্প তৈরী করেছে। ১ লক্ষ বেকার যুবক ও যুবতীকে এই প্রকল্পে ব্যবসা করতে সাহায্য করা হবে। এর জন্য রাজ্য সরকার ৩০০ কোটি টাকা বরাদ্দও করেছে। ইতিমধ্যেই মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এই ফাইলে সইও করে দিয়েছেন। খুব শীঘ্রই প্রকল্পটি মন্ত্রীসভা অনুমোদন পেয়ে যাবে বলে সমবায় দপ্তরের আধিকারিকদের ধারণা।

তবে শুধু গ্রামাঞ্চল নয়, শহরের বেকারদেরও এই প্রকল্পে অন্তর্ভূক্ত করার পরিকল্পনা তৈরী হয়েছে। এর জন্য প্রকল্প তৈরী করতে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ইতিমধ্যেই সমবায় দপ্তরকে নির্দেশ দিয়েছেন। মুখ্যমন্ত্রীর নির্দেশের পরই সমবায় দপ্তর এই প্রকল্প তৈরীর কাজ শুরু করেছে। সমবায় দপ্তর সূত্রের খবর, গ্রামাঞ্চলের বেকারদের প্রকল্পের কাজ শুরু হওয়ার পরই, শহরের বেকারদের প্রকল্পের প্রস্তুতি নেওয়া হবে। সমবায় দপ্তরের কর্তাদের আশা, এই প্রকল্প তৈরি হলে শহরের প্রায় ১ লক্ষ বেকারকে কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা করে দেওয়া যাবে।

রাজ্যের সমবায়মন্ত্রী বলেন, গ্রামাঞ্চলের বেকারদের কর্মসংস্থানের জন্য মুখ্যমন্ত্রীর নির্দেশে আমরা একটি প্রকল্প তৈরী করেছি। সেই প্রকল্পের অনুমোদন মুখ্যমন্ত্রী দিয়েছেন। এবার মুখ্যমন্ত্রীর নির্দেশে শহরের বেকারদের জন্যও এই রকম একটি প্রকল্প আমরা তৈরী করছি। এতে শহরের প্রচুর বেকার যুবক-যুবতীর কর্মসংস্থান হবে। সমবায়মন্ত্রী বলেন, মূলত স্বনির্ভর গোষ্ঠীর সঙ্গে যুক্ত বেকারদেরই এই প্রকল্পে অর্ন্তভূক্ত করা হবে। সমবায় দপ্তরের আধিকারিকরা বলেছেন, এই মুহূর্তে শহরেও প্রচুর স্বনির্ভর গোষ্ঠী আছে। তবে গ্রামাঞ্চলে যেমন পশুপালনে জোর দেওয়া হচ্ছে, শহরে তা হবে না।
কেননা, পশুপালনের জন্য অনেকখানি জমির প্রয়োজন হয়। শহরে তা নেই। শহরের বেকারদের বিকল্প ব্যাবসার কথা ভাবা হচ্ছে। সাইবার ক্যাফে বা কম্পিউটার সেন্টারের মতো ব্যবসায় নামতে তাঁদের অনুপ্রাণিত করা হবে।

গ্রামের কর্মসংস্থান প্রকল্পের কাজ আগামী দু’মাসের মধ্যেই শুরু হয়ে যাবে। শহর সংক্রান্ত প্রকল্পের জন্য দপ্তরের অফিসাররা বিস্তারিত প্রকল্প রিপোর্ট বা ডিপিআর তৈরীর কাজ শুরু করেছেন। প্রকল্প রিপোর্ট তৈরি হলেই তা অনুমোদনের জন্য মুখ্যসচিব ও মুখ্যমন্ত্রীর কাছে পাঠানো হবে। তারপর তা আর্থিক অনুমোদনের জন্য অর্থদপ্তরে পাঠানো হবে। সমবায় দপ্তরের আধিকারিকরা বলেছেন, এই মুহূর্তে শহরেও কয়েক হাজার স্বনির্ভর গোষ্ঠী আছে। প্রতিটি স্বনির্ভর গোষ্ঠীতে অন্তত ২০ জন করে সদস্য আছেন। অর্থাৎ এই প্রকল্পে শহরাঞ্চলের লক্ষাধিক যুবকের কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা করা যাবে।

সমবায় দপ্তর সূত্রের খবর, শহরে ব্যবসার জন্য গ্রামাঞ্চলের চেয়ে বেশি পরিমাণ আর্থিক সাহায্য করতে হবে। না হলে শহরের বেকারদের কোনও সুবিধা হবে না। তাই অন্তত প্রতি বেকার পিছু ৪০ হাজার টাকা ধরা হচ্ছে। সেই হিসেবে শহরাঞ্চলের ১ লক্ষ বেকারের কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা করতে অন্তত ৪০০ কোটি টাকা প্রয়োজন হবে। সমবায় দপ্তরের আধিকারিকরা বলেন, শহরের একজন বেকার যাতে মাসে কমপক্ষে ৮ থেকে ৯ হাজার টাকা রোজগার করতে পারে, সেই ব্যবস্থা করা হবে। তার জন্য প্রয়োজনীয় সাহায্য সরকার করবে।