মে ৮, ২০১৯
পুরুলিয়া জেলায় অভূতপূর্ব উন্নয়ন

তৃণমূল কংগ্রেস পরিচালিত রাজ্য সরকার বিভিন্ন প্রকল্পের মাধ্যমে উন্নয়নের শিখরে এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছে পুরুলিয়া জেলাকে। অন্যান্য প্রকল্পের মধ্যে উল্লেখযোগ্য হল পানীয় ও কৃষির জল সরবরাহ, যা দীর্ঘদিনের এই অঞ্চলের সমস্যা ছিল।
এক ঝলকে দেখে নেওয়া যাক এই জেলার উন্নয়নঃ
স্বাস্থ্যঃ দুটি মাল্টি সুপার স্পেশ্যালিটি হাসপাতাল, তিনটি ন্যায্য মূল্যের ওষুধের দোকান, তিনটি ন্যায্য মূল্যের রোগ নির্ণয় কেন্দ্র, ১৮টি এসএনএসইউ, একটি সিসিইউ, একটি এইচডিইউ, পুরুলিয়া নার্সিং প্রশিক্ষণ কেন্দ্রে দক্ষতা গবেষণা কেন্দ্র।
স্কুল শিক্ষাঃ গত সাড়ে সাত বছরে ৬১২টি স্কুল তৈরী হয়েছে, ১৪৫টি স্কুলকে উন্নীত করা হয়েছে, ১২টি মডেল স্কুল হয়েছে।
বৃত্তিঃ সাড়ে সাত বছরে ১.৭৪ লক্ষ মেয়ে কন্যাশ্রী পেয়েছে, শিক্ষাশ্রী পেয়েছে ২.৯৮ লক্ষ পড়ুয়া।
উচ্চ শিক্ষাঃ সিধো কানহু বিরশা বিশ্ববিদ্যালয়, তিনটি সরকারি ডিগ্রী কলেজ, চারটি আইটিআই, দুটি পলিটেকনিক কলেজ।
কিষাণ মান্ডিঃ ১৩টি কিষাণ মান্ডি তৈরী হয়েছে এই জেলায়।
১০০ দিনের কাজঃ ২০১৩-১৪ অর্থ বর্ষ থেকে ২০১৮-১৯ অর্থবর্ষের মধ্যে তৈরী হয়েছে ৪.৭১ কোটি শ্রম দিবস।
আবাসনঃ ১.৪৫ লক্ষ মানুষ আবাসন প্রকল্পে উপকৃত হয়েছে। ৭৫টি জহর থানের পাট্টা বিলি করা হয়েছে।
মিশন নির্মল বাংলাঃ এই জেলা ৯৬% নির্মল হয়েছে এখন পর্যন্ত।
সেচঃ ৪৬৮০ হেক্টর অতিরিক্ত জমিকে সেচের যোগ্য করা হয়েছে।
পানীয় জলঃ জিকার সাহায্যে রাজ্যের সর্ববৃহৎ পানীয় জলের প্রকল্প হচ্ছে নটি ব্লকের আট লক্ষ মানুষের জন্য, ১৭টি ব্লকে পানীয় জলের প্রকল্প সম্পন্ন, সাতটি নদীর তটে টিউবওয়েল তৈরী হয়েছে তেলেদি ও শিমুলিয়ায়।
শিল্পঃ ছটি ইন্ডাস্ট্রিয়াল পার্ক, ২০টি এমএসএমই ক্লাস্টার, একটি আইটি পার্ক, দুল্মিতে গ্রামীণ হাট, বৃহৎ নির্মাণ ও ইন্ডাস্ট্রিয়াল ক্লাস্টার তৈরী হচ্ছে। এই জেলাতে ক্ষুদ্র ও কুটির শিল্পে ব্যাঙ্ক ঋণের পরিমাণ ৩৯৩৭ কোটি টাকা।
সড়ক ও সেতুঃ ২৬০০ কিলোমিটারের বেশী রাস্তা নির্মাণ/সারাই/চওড়া করা হয়েছে।
পর্যটনঃ চারটি পর্যটন প্রকল্প, জয়চাঁদি পাহাড়ে গ্রামীণ পর্যটন প্রকল্প, পাকবিরায় ইকো ট্যুরিজ প্রকল্প, বাঁকুড়া পুরুলিয়া পর্যটন সার্কিট এবং মুরগুমা এবং দোলাডাঙায় পর্যটন প্রকল্প তৈরী হচ্ছে।
সংস্কৃতিঃ সাঁওতালি আকাদেমি, কুরুক উন্নয়ন পর্ষদ, কুরুক ও কুরমি ভাষাকে সরকারি ভাষার স্বীকৃতি দেওয়া হয়েছে, মানভুম সাহিত্য পরিষদ, কুরুক সাহিত্য আকাদেমি।
সামাজিক সুরক্ষা যোজনাঃ অসংগঠিত ক্ষেত্রের ২.২৫ লক্ষ শ্রমিককে এই প্রকল্পের আওতায় আনা হয়েছে।
কর্মতীর্থঃ ২৬টি কর্মতীর্থ তৈরী করা হয়েছে।
খেলাধুলাঃ ৮০টি মাল্টি জিম, ৩৭টি মিনি ইন্ডোর স্টেডিয়াম।