মার্চ ২৪, ২০২০
শহরের সব সরকারি হাসপাতাল ঘুরে দেখলেন মুখ্যমন্ত্রী

করোনা পরিস্থিতিতে সরকারি চিকিৎসক-সহ স্বাস্থ্য প্রশাসনের আধিকারিকদের মনোবল বাড়াতে মঙ্গলবার শহরের প্রায় সব ক’টি মেডিক্যাল কলেজ, রাজারহাট কোয়ারেন্টাইন কেন্দ্র এবং আইডি হাসপাতাল ঘুরে দেখলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।
নবান্নে সাংবাদিক বৈঠকের শেষে প্রথমে আর জি কর হাসপাতালে যান মুখ্যমন্ত্রী। ইতিমধ্যেই সেখানে করোনা আইসোলেশন ওয়ার্ড খোলা হয়েছে। আগামী দিনে রাত্রি-আবাসে শয্যা বাড়ানোর পরিকল্পনা রয়েছে। পরিকাঠামোগত কী সমস্যা রয়েছে, তা নিয়ে উপাধ্যক্ষ মানস বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে কথা বলেন মমতা। জানান, লকডাউনের জেরে হাসপাতালের চিকিৎসক, স্বাস্থ্যকর্মীদের যাতায়াতে অসুবিধার কথা মাথায় রেখে হোটেলে থাকা এবং গাড়ির ব্যবস্থা করা হয়েছে। এর পর মাস্ক ও হ্যান্ড স্যানিটাইজ়ারের দু’টি বাক্স কর্তৃপক্ষের হাতে তুলে দেন মুখ্যমন্ত্রী। তিনি জানান, এর সঙ্গে স্বাস্থ্য দফতরের সম্পর্ক নেই। এটা আলাদা ভাবে দেওয়া হল।
মুখ্যমন্ত্রী পরবর্তী গন্তব্য ছিল কলকাতা মেডিক্যাল কলেজ। এই হাসপাতালকে করোনা হাসপাতালে পরিণত করার প্রস্তুতি শুরু হয়েছে।
এরপর এনআরএসে পৌঁছে অধ্যক্ষ এবং উপাধ্যক্ষ র সঙ্গে কথা বলেন। করোনায় রাজ্যের প্রথম মৃতের সহকর্মী এনআরএসের আইসোলেশন ওয়ার্ডে চিকিৎসাধীন। তাঁর স্বাস্থ্য সম্পর্কে খোঁজ নেন মমতা।
এনআরএস থেকে এসএসকেএম হয়ে মুখ্যমন্ত্রী রাজারহাট কোয়ারেন্টাইন কেন্দ্রে গিয়ে স্বাস্থ্য আধিকারিকদের সুবিধা-অসুবিধার কথা শোনেন।
এরপর রাজ্যে করোনা চিকিৎসার কেন্দ্র বেলেঘাটা আইডি হাসপাতালে গিয়ে করোনা চিকিৎসার হালহকিকত জানেন। তার পরে যান এম আর বাঙুরে।
বারবার রাজ্যবাসীকে সতর্ক থাকার বার্তা দিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী। তিনি বলেন, ‘‘হাত জোড় করে অনুরোধ করছি, দূরত্ব বজায় রেখে কেনাকাটা করুন। ব্যাঙ্কের লাইনে যাঁরা দাঁড়ান, তাঁদেরও একই কথা বলব। রাস্তায় ক্রিকেট খেলবেন না দয়া করে। একটা বাড়িতেই চার জনের হয়ে গেল। কতটা ভয়ঙ্কর, বুঝতে পারছেন না। ভিন্ রাজ্য থেকে যাঁরা ফিরেছেন, তাঁদের বলব, ঘরে থাকুন। ১৪ দিন পরিবারের সঙ্গেও দূরত্ব রেখে চলুন।