December 5, 2019
Abu Taher Khan speaks during a discussion on crop loss and its impact on farmers

FULL TRANSCRIPT
ধন্যবাদ Chairman সাহেব, mujhe bolneka mauka diya isiliye. কৃষি আমাদের ভিত্তি, কৃষক আমাদের সম্পদ। সারা ভারতবর্ষের কৃষকদের যে অর্থনৈতিক হাল সেটা আমরা প্রতিদিন খবর পাচ্ছি, কাগজ পড়লেই বুঝতে পারছি। ভারতবর্ষে প্রতিদিন ৩০ জন কৃষক বিভিন্নভাবে আত্মহত্যা করছে। কৃষিঋণের বোঝা সহ্য করতে পারছে না।
কৃষক নিজের ফসলের ন্যায্যমূল্য থেকে বঞ্চিত হচ্ছে। ন্যায্যমূল্য পাওয়ার কোনও পরিস্থিতি নেই। এজন্য ভারতবর্ষের কৃষকদের করুন অবস্থা। এই করুন অবস্থা থেকে আমাদের পরিত্রাণের উপায় কি? আমাদের পরিত্রাণের উপায় বিভিন্ন চাষের ক্ষেত্রে যেমন বাংলার কৃষকরা বিভিন্ন সুযোগ সুবিধা পায়। সমবায়ের মাধ্যমে কৃষিঋণ, কৃষিযন্ত্র কিনতে ভর্তুকি, স্বল্পমুল্যে বা বিনামূল্যে কৃষিবীজ সরবরাহ করা হয়। সেখানে বাংলার কৃষকরা বিভিন্নভাবে সুযোগ সুবিধা পায়।
কিন্তু, আমাদের দুর্ভাগ্য ভারতবর্ষের সরকারের কাছে আমাদের আশা যে সরকার কৃষকদের পাশে দাঁড়াবে। কারণ, কৃষকদের কথা বলেই এই সরকার ভারতবর্ষের ক্ষমতায় এসেছে। অথচ কৃষকদের ক্ষেত্র আজ সাঙ্ঘাতিকভাবে বঞ্চিত। আজ কৃষকরা যে আত্মহত্যা করছে, এর কারণ কি? সেই কারণগুলো আমাদের খুঁজে বার করতে হবে।
মাননীয় কৃষিমন্ত্রী এখানে উপস্থিত আছেন। বিশেষ করে ভারতবর্ষে কৃষকদের যে অর্থনৈতিক অবস্থা, কৃষকরা ন্যায্যমূল্য পাচ্ছে না। বিভিন্ন রাজ্য থেকে বিভিন্ন বক্তা তাদের বক্তব্যের মধ্যে দিয়ে বলছিলেন MGNRGA কে যদি কৃষির সঙ্গে যুক্ত করা যায়, ভর্তুকিমূল্যে যদি কৃষকদের উন্নতমানের বীজ দেওয়া যায়, যন্ত্রপাতি দেওয়া যায়, কৃষিতে যে পানীয় জলের ব্যবস্থা, বিদ্যুৎ যদি বিনামূল্যে দেওয়া যায় তাহলে কৃষকদের অবস্থা অত্যন্ত ভালো হয়।
অথচ, বিভিন্ন বক্তারা যে বক্তব্য রাখছেন, বিভিন্ন জায়গায় যা আলোচনা হচ্ছে, কৃষকদের আয় নাকি অনেক বেড়ে গেছে, কৃষকরা অর্থনৈতিকভাবে অনেক ভালো আছে, তাহলে ভারতবর্ষের ক্ষেত্রে এই হাহাকার কেন? ভারতবর্ষের কৃষকরা আজকে বঞ্চিত কেন? আজ কৃষকদের কথা আমরা যাই বলি না কেন, কৃষকরা যে তিমিরে ছিল সেই তিমিরেই আছে, কৃষকদের অর্থনৈতিক স্বাবলম্বী সেটা বাস্তবে কোনোভাবেই কোনোমতেই আজ দেখা যাচ্ছে না।
মাননীয় কৃষিমন্ত্রীর কাছে আমরা আবেদন করব যে বাংলায় বুলবুল হয়েছে, তাতে ভীষণভাবে চাষিরা ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। কিন্তু, আয়লা ও বুলবুলে ক্ষতিগ্রস্ত কৃষকরা কেন্দ্রের কোনও সাহায্য ও সহযোগিতা পায়নি। মাননীয় মন্ত্রীর কাছে আবেদন করব, বাংলার কৃষকদের সাহায্যার্থে ও সুবিধার্থে এগিয়ে আসতে।
আজ পেঁয়াজের দাম ১০০ টাকা। কিন্তু, যখন পেঁয়াজ উৎপাদন হয়, আমার রাজ্যেই মাত্র পাঁচ টাকায় পেঁয়াজ বিক্রী হয়। অথচ, পেঁয়াজের কোনও স্টোরেজ আজ পর্যন্ত তৈরী হয়নি। আজ যদি পেঁয়াজ সংরক্ষণের ব্যবস্থা হয়।
<interruptions>