সাম্প্রতিক খবর

জুন ৫, ২০১৮

ওয়েস্ট বেঙ্গল বায়োডাইভার্সিটি বোর্ডঃ রাজ্যের উদ্ভিদকুলের সংরক্ষণের দায়িত্বে

ওয়েস্ট বেঙ্গল বায়োডাইভার্সিটি বোর্ডঃ রাজ্যের উদ্ভিদকুলের সংরক্ষণের দায়িত্বে

ওয়েস্ট বেঙ্গল বায়োডাইভার্সিটি বোর্ডের প্রাথমিক উদ্দেশ্য তিনটিঃ জীববৈচিত্রের সংরক্ষণ করা, জীববৈচিত্রের স্থায়ী ব্যবহার এবং জীববৈচিত্র থেকে যে সকল সুবিধা পাওয়া যাবে তার ন্যায্য বণ্টন। এর পাশাপাশি বায়ো পাইরেসি নির্মূল করা ও স্থায়ী মালিকানার বন্দোবস্ত করা।

ওয়েস্ট বেঙ্গল বায়োডাইভার্সিটি বোর্ডের কিছু উল্লেখযোগ্য সাফল্যঃ

  • ব্লক, পুরসভা ও মিউনিসিপালিটি স্তরে ৩৫০টি বায়োডাইভার্সিটি ম্যানেজমেন্ট কমিটি গড়ে তোলা।
  • এই কমিটিগুলির মাধ্যমে ১২০ জন মানুষের বায়োডাইভার্সিটি রেজিস্টার তৈরী যেখানে বায়োডাইভার্সিটির সংক্রান্ত সমস্ত পারম্পরিক জ্ঞ্যান নথিভুক্তি করা হবে।
  • বিভিন্ন ঐতিহ্যশালী চালের ধরণের নথিভুক্তিকরণ এবং এগুলি কৃষকগোষ্ঠীগুলির মধ্যে রেজিস্টার করা। এখনও পর্যন্ত ১১০টি চালের প্রজাতির নাম নথিভুক্ত করা হয়েছে। এর মধ্যে ১২টি রেজিস্টার করা হয়েছে ও বাকি ৫১টির জন্য আবেদন করা হয়েছে।
  • সচেতনতা তৈরীর অনুষ্ঠান, যেমন, সেমিনার, নেচার স্টাডিস, ফিল্ড ট্রেনিং ও স্কুল পড়ুয়াদের জন্য বিশেষ ‘বায়ো ট্যুরের’ আয়োজন করা হচ্ছে।
  • অনুযায়ী বায়ো রিসোর্সেস ব্যবহার করে এমন বেসরকারি সংস্থাকে বায়োলজিক্যাল ডাইভার্সিটি অ্যাক্ট-এর ‘আক্সেস অফ বেনিফিট শেয়ারিং’ এর আওতায় আনা হয়েছে। এখনও পর্যন্ত ১০০টি বেসরকারি প্রতিষ্ঠানকে এর আনা হয়েছে, যার মধ্যে ১৫টি সেয়ার্ড বেনিফিট পদ্ধতিতে। এর ফলে রাজ্যের বায়োডাইভার্সিটি ফান্ডে এসেছে ১৩৩৯১৯৩ টাকা।
  • প্রকাশনাঃ বাংলায় ১০টি ফিল্ড গাইড বই, ‘ট্রেডেবেল বায়োরিসোর্সেস অফ ওয়েস্ট বেঙ্গল’, ‘থ্রি পিপলস বায়োডাইভার্সিটি রেজিস্টার্স প্রিপারেশন ম্যানুয়াল’ বাংলায় তৈরী করা হয়েছে।