Latest News

March 1, 2014

WB Govt to adopt a new hawker policy soon

WB Govt to adopt a new hawker policy soon

The Bengal government is considering a plan to legalise hawkers in the city, without causing inconvenience to pedestrians. Senior members of the West Bengal Cabinet – Amit Mitra, Firhad Hakim, Subrata Mukherjee, Partha Chatterjee and Purnendu Bose – met on February 28 to discuss the nitty-gritty of the proposal drawn up in 2011 to legalise vendors.

According to the plan drawn up by the urban development department, hawkers are to be registered and given identity cards and a host of other benefits, including insurance and old-age pension. A “vending committee” will oversee the process of registration, collection of fees and penal action for violating the norms.

According to the government`s proposal, there will be different zones for hawkers – a restriction-free vending zone, a restricted vending zone for day and night and a no-vending zone.

Local bodies would earmark vending zones and carry out a “photo census” of the existing hawkers to accommodate them within a particular zone. There will be a “municipal vending committee” headed by a municipal commissioner or commissioner and comprising representatives from vendor associations, police, residents and nationalised banks.

This committee will be empowered to “grant, renew, suspend or cancel registration certificates to street vendors”, collect fees for registration, specify timings for vending and maintain records of land, streets, footpaths and other public places designated for vending in consultation with the urban local body.

The vending committee would need to ensure the quality of products and services provided to the public, including safety standards.

হকারনীতি তৈরির পথে হাঁটা শুরু করল রাজ্য সরকার

পথচারী এবং হকার দুই তরফের অধিকার রক্ষা হবে, এমন হকারনীতিই তৈরির লক্ষ্য সরকারের বিষয়টি সময়সাপেক্ষ, তবে তার সম্ভাব্য রূপরেখা শুক্রবার এই নীতি তৈরির দায়িত্বপ্রাপ্ত মন্ত্রিগোষ্ঠীর কাছে জমা দিয়েছে রাজ্য পুর নগরোন্নয়ন দফতর

রাজ্যের মন্ত্রিগোষ্ঠী ব্যাপারে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত গ্রহণের পরে তা মন্ত্রিসভায় অনুমোদন পেলে এটি বিল আকারে বিধানসভায় পেশ করা হবে পরে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় প্রসঙ্গে বলেন, “বিভিন্ন ধাপ পেরিয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত হতে এখনও দেরি আছে তবে হকারদের প্রতি মানবিক দৃষ্টিভঙ্গি নিয়েই বিষয়টি দেখছে সরকার

হকার নিয়ে সুস্পষ্ট নীতি তৈরির জন্য কেন্দ্রীয় সরকারের নির্দিষ্ট নির্দেশিকা রয়েছে দ্রুত হকারনীতি তৈরির জন্য রয়েছে সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশও তবুও বামফ্রন্ট সরকারের আমলে তেমন কোনও উদ্যোগ দেখা যায়নি ফলে, কলকাতাসহ রাজ্যের বিভিন্ন শহরে ফুটপাথ জুড়ে হকারদৌরাত্ম্য বজায় ছিল মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ক্ষমতায় আসার আগে হকারদের জন্য সুস্পষ্ট নীতি তৈরির প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন

দিন মন্ত্রিগোষ্ঠীর বৈঠকে ছিলেন রাজ্যের জনস্বাস্থ্য কারিগরি পঞ্চায়েতমন্ত্রী সুব্রত মুখোপাধ্যায়, শ্রমমন্ত্রী পূর্ণেন্দু বসু এবং পুর নগরোন্নয়নমন্ত্রী ফিরহাদ হাকিম তবে মন্ত্রিগোষ্ঠীর প্রধান হলেও দিনের বৈঠতে থাকতে পারেননি রাজ্যের শিল্প অর্থমন্ত্রী অমিত মিত্র বৈঠকের পরে সুব্রত মুখোপাধ্যায় বলেন, “হকার এবং পথচারীদের স্বার্থ রক্ষা হবে, এমন ভাবনা মাথায় রেখেই হকারনীতি তৈরি করবে রাজ্য সরকার

পথচারী এবং হকার উভয়ের স্বার্থ রক্ষার কথা ভেবে প্রতিটি কর্পোরেশন এবং পুরসভার রাস্তার দু`পাশকে চারটি ভাগে বা জোন ভাগ করার প্রস্তাব দেওয়া হয়েছে তার মধ্যে একটি জোনে সারা দিন হকার বসতে পারবে, আর একটিতে কখনওই বসতে পারবে না হকার বাকি দু`টি জোনের ক্ষেত্রে, হকারেরা হয় দিনে অথবা রাতে বসতে পারবে তবে কোথায়, কখন, কত জন হকার বসতে পারবেন, তা ঠিক করবে সংশ্লিষ্ট পুরসভাকর্তৃপক্ষ জন্য প্রতিটি পুরসভায় পৃথক `ভেন্ডিং কমিটি` তৈরি করা হবে

পুরসভার কমিশনার বা এগজিকিউটিভ অফিসারসহ জনপ্রতিনিধি, সরকারমনোনীত প্রতিনিধি, পুলিশ, বাসিন্দা এবং হকারদের প্রতিনিধিদের নিয়ে এই কমিটি তৈরি হবে হকারদের মধ্যে একতৃতীয়াংশ মহিলা প্রতিনিধি রাখার প্রস্তাবও দেওয়া হয়েছে দিন ওই কমিটি পুরসভার সঙ্গে আলোচনাসাপেক্ষে নির্দিষ্ট এলাকায় হকারের সংখ্যা, তাঁদের পরিচয়পত্র, রেজিস্ট্রেশনসহ হকারদের ফি গ্রহণ করার বিষয়টিও দেখবে বিভিন্ন এলাকায় হকারদের তালিকা তৈরি থেকে শুরু করে নির্দিষ্ট সময় অন্তর হকারএলাকা পরিদর্শন করার দায়িত্বেও থাকবে ওই কমিটি

ভেন্ডিং কমিটির উপরে থাকবে পুরসভা এবং প্ল্যানিং অথরিটি কোথায় কী ভাবে হকারেরা বসতে পারবেন, তা ঠিক করবে তারা রাজ্য জুড়ে এই পুরো ব্যবস্থা সুসংহত ভাবে চালাতে এবং নানা সমস্যা দূর করতে রাজ্য স্তরে হকার নিয়ে এক জন নোডাল অফিসার নিয়োগেরও প্রস্তাব দেওয়া হয়েছে

তবে নতুন হকারনীতির ফলে কোনও রাস্তা থেকে হকার তুলে দেওয়ার ক্ষেত্রে সরকার মানবিক ভূমিকাই নেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে যে কোনও হকারকে ফুটপাথ থেকে তুলে দেওয়ার আগে যথাযথ পুনর্বাসন কিংবা ক্ষতিপূরণের ব্যবস্থা হবে তবে হকার বসার জন্য যাতে নাগরিক পরিষেবা ব্যাহত না হয়, তার দিকে কড়া নজর দিতে হবে প্রতিটি এলাকায় কোনও পেশাদার সংস্থাকে দিয়ে যথাযথ পর্যবেক্ষণ করানোর পরেই ঠিক হবে কোথায়, কখন, কত হকার বসবে হকারদের রেজিস্ট্রেশন ফি ২৫০ টাকার কম দেরিতে রেজিস্ট্রেশন পুনর্নবীকরণ করার জন্য জরিমানা কখনওই পাঁচশো টাকার বেশি না করারও প্রস্তাব দেওয়া হয়েছে দিন