মে ৯, ২০১৯
বাঁকুড়া জেলায় উন্নয়নের খতিয়ান

তৃণমূল কংগ্রেস সরকারের আমলে বাঁকুড়া জেলায় নজিরবিহীন উন্নয়ন হয়েছে। পর্যটন থেকে শুরু করে পানীয় জলের শুভেচ্ছা – সব ক্ষেত্রেই বাঁকুড়া জেলায় এসেছে পরিবর্তন।
এই জেলার উন্নয়ন এক নজরে:
স্বাস্থ্যঃ বিষ্ণুপুরকে স্বাস্থ্য জেলা ঘোষণা করা হয়েছে, চারটি মাল্টি সুপার স্পেশ্যালিটি হাসপাতাল, পাঁচটি ন্যায্য মূল্যের ওষুধের দোকান, ছটি ন্যায্য মূল্যের রোগ নির্ণয় কেন্দ্র, ২০টি এসএনএসইউ, দুটি এসএনসিইউ, তিনটি সিসিইউ, তিনটি এইচডিইউ, বাঁকুড়া সম্মিলনী হাসপাতালে একটি মাদার অ্যান্ড চাইল্ড হাব, একটি দক্ষতা গবেষণা কেন্দ্র, ১১টি অস্ত্রোপচার কেন্দ্র, প্রাথমিক স্বাস্থ্য কেন্দ্র, ১৩টি প্রসূতি কেন্দ্রের উন্নয়ন, খাতরা মহকুমা হাসপাতালের উন্নয়ন।
স্কুল শিক্ষাঃ গত সাড়ে সাত বছরে ৫৯০টি স্কুল তৈরী হয়েছে, ৫৯টি স্কুলকে উন্নীত করা হয়েছে, ২৪টি মেয়েদের হোস্টেল, আটটি মডেল স্কুল তৈরী হয়েছে। চারটি সরকারি অনুদানপ্রাপ্ত উচ্চ বিদ্যালয়ে ইংরাজী মাধ্যমে পড়ানো হয়, ১৯টি সরকারি অনুদানপ্রাপ্ত মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে সাঁওতালি মাধ্যমে পড়ানো হয়।
বৃত্তিঃ সাড়ে সাত বছরে ২.২৯ লক্ষ মেয়ে কন্যাশ্রী পেয়েছে, শিক্ষাশ্রী পেয়েছে ৪.৪১ লক্ষ পড়ুয়া।
উচ্চ শিক্ষাঃ বাঁকুড়া বিশ্ববিদ্যালয় এবং বিধান চন্দ্র কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের নতুন ক্যাম্পাস, তিনটি সরকারি ডিগ্রী কলেজ, ছটি আইটিআই, দুটি পলিটেকনিক কলেজ।
কিষাণ মান্ডিঃ নটি কিষাণ মান্ডি তৈরী হয়েছে এই জেলায়।
১০০ দিনের কাজঃ ২০১৩-১৪ অর্থ বর্ষ থেকে ২০১৮-১৯ অর্থবর্ষের মধ্যে তৈরী হয়েছে ৭.২১ কোটি শ্রম দিবস তৈরী হয়েছে। ২০১৩-১৪ অর্থবর্ষে ১০০ দিনের কাজে সেরা গ্রাম পঞ্চায়েত হিসেবে স্বীকৃত হয়েছে কোতলপুরের লিগো গ্রাম পঞ্চায়েত।
আবাসনঃ ২ লক্ষ মানুষ আবাসন প্রকল্পে উপকৃত হয়েছে।
মিশন নির্মল বাংলাঃ এই জেলা নির্মল জেলা হিসেবে ঘোষিত হয়েছে।
পানীয় জলঃ গত সাড়ে সাত বছরে ৩০টি পানীয় জলের প্রকল্প হয়েছে, একটি বড় পানীয় জলের প্রকল্পের কাজ চলছে যার ফলে উপকৃত হবে চারটি ব্লকের আট লক্ষের বেশী মানুষ, ১৬১টি সৌর বিদ্যুৎ চালিত পানীয় জলের প্রকল্পের কাজ চলছে।
শিল্পঃ চারটি ইন্ডাস্ট্রিয়াল পার্ক, ৩০টি এমএসএমই ক্লাস্টার, পাঁচমুড়ায় সিসিআরডিতে টেরাকোটা প্রকল্প, দুটি ইন্ডাস্ট্রিয়াল পার্ক তৈরী হচ্ছে। এই জেলার ক্ষুদ্র ও মাঝারি শিল্পে ৩৫৩০ কোটি টাকার ব্যাঙ্ক ঋণ এসেছে।
সড়ক ও সেতুঃ ৩৫০০ কিলোমিটারের বেশী রাস্তা নির্মাণ/সারাই/চওড়া করা হয়েছে ও তিনটি সেতু নির্মাণ করা হয়েছে ২০১৮-১৯ অর্থবর্ষে।
পর্যটনঃ রায়পুরে ও সুসুনিয়াতে দুটি ইকো ট্যুরিজম প্রকল্প, বিহারিনাথ, জয়রামবাটি ও মুকুটমণিপুরে পর্যটন হাব, বাঁকুড়া হোমস্টে পর্যটন প্রকল্প এবং বাঁকুড়া পুরুলিয়া পর্যটন সার্কিটের কাজ চলছে।
সামাজিক সুরক্ষা যোজনাঃ অসংগঠিত ক্ষেত্রের ২.৮ লক্ষ শ্রমিককে এই প্রকল্পের আওতায় আনা হয়েছে।
কর্মতীর্থঃ আটটি কর্মতীর্থ তৈরী করা হয়েছে।
খেলাধুলাঃ ১১০টি মাল্টি জিম, ২৫টি মিনি ইন্ডোর স্টেডিয়াম, আটটি খেলার মাঠ এবং খাতরায় ক্রীড়া আকাদেমি তৈরী হয়েছে।