মে ১৫, ২০১৯
বিদ্যাসাগর কলেজের ঘটনা একটি পুর্বপরিকল্পিত অপরাধমূলক ষড়যন্ত্র- মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়

আজ দম দম লোকসভা কেন্দ্রের আগরপাড়ায় একটি জনসভা বক্তব্য রাখেন তৃণমূলনেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তিনি একটি ভিডিয়ো ক্লিপ দেখিয়ে বলেন যে গতকাল বিদ্যাসাগর কলেজে যা হয়েছে তা বিজেপির পুর্বপরিকল্পিত একটি ষড়যন্ত্র এবং তা ভিন রাজ্য থেকে আসা গুন্ডা দিয়ে করানও হয়েছে।
ওনার নক্তব্যের কিছু অংশ–
আজকে আমরা বিদ্যাসাগরের নামে নামাঙ্কিত মাঠে সভা করছি। জানতাম না কালকের ঘটনার পরে আজকে এখানে সভা করতে আসব। ওরা কালকের ঘটনা ঘটিয়ে আমাদের এক মনীষীর চূড়ান্ত অপমান করেছে।
এখন ঘটনার পর ওরা যথারীতি মিথ্যে কথা বলতে আরম্ভ করে দিয়েছে। কিন্তু এই ঘটনা পুর্বপরিকল্পিত একটি অপরাধমূলক এবং বাংলার কৃষ্টি, সংস্কৃতি ও মানুষের অপর আক্রমণ। যারা বাইরে থেকে লোক এনে এসব করতে পারে তাদের কী বলবেন?
এখন ওরা মানুষ যাতে মিটিং-এ আসে তাঁর জন্যেও পয়সা দিচ্ছে। আমি শুনেছি বাঁকুড়ায় ওরা প্রতি ভোটের জন্যে ৫০০০ টাকা করে দিয়েছে। এটা কি রাজনৈতিক দল?
রাজনীতি মানে জনগণের সেবা করতে নিজের জীবন উৎসর্গ করা। রাজনীতি মানে টাকা ছড়িয়ে ভোট কেনা নয়। আমরা এতে বিশ্বাস করি না, আমরা মানুষের উন্নয়ন ও ভালোর জন্যে রাজনীতিতে এসেছি।
ওরা রাজস্থান, ইউ পি, বিহার বা ঝাড়খণ্ড থেকে গুন্ডা ভারা করে আনছে। কালকের ধৃতদের মধ্যে একজন দিল্লীর থেকে এসেছে, আগেও গণ্ডগোল ছড়ানোর চেষ্টা করেছিল। এখানে এসে ওরা হোটেল ভাড়া করে থাকছে। ওদের নজরে রাখবেন।
আমি যেখানে যেখানে মিটিং করি ওরা সেখানে মিটিং করতে পৌঁছে যায় আর বাইরে থেকে লোক এনে মাঠ ভরায়।
আমি কেন বলছি গতকালের ঘটনা পুর্বপরিকল্পিত? আমার কাছে রেকর্ডিং আছে যা আপনাদের শোনাচ্ছি যাতে ওরা বলছে ‘হাত মে ডান্ডা লেকে’। তার মানে নিশ্চয়ই বুঝতে পারছেন।
এই ভিডিয়োতে দেখা গেছে যে গেরুয়া জামা পড়ে ইট ছুরছে, দরজা ভেঙ্গে বেতরে ঢুকছে এবং এবং বিদ্যাসাগরের মূর্তি ভাঙছে।
এই মানুষ গুলো যদি বাঙালি হত তাহলে বিদ্যাসাগরের স্থান কোথায় তা বুঝতে পারত, তাঁকে চিনত। তাহলে এরকম করত না। এটাই বোঝায় যে বাইরে থেলে লোক এনে এসব করানও হয়েছে।
শুধু এটাই নয় এখন বিজেপি নেতাদের পাশে মিলিটারির ড্রেস পরে আরএসএস-এর মেম্বাররা বসে থাকে। এই ছদ্ববেশি গুন্ডাগুলোকে চিনে রাখবেন, ওরা ভোট লুঠতে আসে। বিজেপির রাজ্য সভাপত এরকম একজন, ছবিতে প্রমাণ আছে।
আমাদের জাতীয় গান লিখেছিলেন বঙ্কিমচন্দ্র, জাতীয় সঙ্গীত রচনা করে গেছেন রবীন্দ্রনাথ। বাংলা জন্ম দিয়েছে অগুন্তি স্বাধীনতা সংগ্রামীকে। বাংলা সব কিছুতে পথ দেখায় আর আগামীতেও দেখাবে।
মোদীবাবু ক্ষমতায় আসার আগে বলেছিলেন ‘আচ্ছে দিন’। পাঁচ বছর কেটে গেল, কোথায় সেই ‘আচ্ছে দিন’? তার বদলে মানুষের ক্ষতি হয়েছে অপরিসীম, বেড়েছে দুর্ভোগ, বহু কৃষক আত্মহত্যা করেছেন।
ওরা সব রাজ্যে হারবে। কটা সিট পাবে যে সরকার গড়বে? এবার বিরোধীরা সরকার গঠন করবে। মোদী আর আসবে না।
ও আগে বলত চা-ওয়ালা আর এখন বলছে চৌকিদার। কিন্তু আমরা সবাই জানি চৌকিদার আসলে কি।
তাই অন্য কোনও দলকে ভোট না দিয়ে মা-মাটি-মানুষকে জয়জুক্ত করার জন্যে সৌগত-দা কে ভোট দিন। আমরা মানুষের উন্নতির ও উন্নয়নের জন্যে কাজ করব।