জুন ১৫, ২০১৮
খসড়া অটো নীতি প্রকাশ রাজ্যের

পুজোর আগেই কলকাতা ও শহরতলির অটোর উপর রাশ টানতে চায় সরকার। সেই লক্ষ্যে একটি খসড়া নীতি তৈরি করে অটোচালকদের সংগঠনগুলিকে দিয়েছে সরকার।
কলকাতা, হাওড়া, সল্টলেক ও ব্যারাকপুর পুলিশ কমিশনারেটের আওতাধীন ৪৭৫টি অটো-রুটের ক্ষেত্রে একটি বিজ্ঞপ্তি জারি করা হয়েছে। তাতে বলে দেওয়া হয়েছে, কোন রুটে সর্বোচ্চ কতগুলি অটো চলবে।
বুধবার পরিবহণমন্ত্রী শুভেন্দু অধিকারী এই খসড়ানীতি ও রুট চার্ট অটো সংগঠনগুলিকে দেন। ৩০ দিনের মধ্যে খসড়া নিয়ে বক্তব্য থাকলে জানাতে হবে। ১ অগস্ট চূড়ান্ত নীতি প্রকাশিত হবে।
কী রয়েছে খসড়ানীতিতে
- রাজ্যের কোনও রুটে বেআইনি অটো চলতে দেওয়া হবে না। গাড়ি রেজিস্ট্রেশন করিয়ে, রুট পারমিট নিয়ে অটো চালাতে হবে
- ২০১৫ সালের ১ জানুয়ারি থেকে যে সব বেআইনি অটো চলছে, তার বৈধ কাগজপত্র তৈরি করতে হবে। টু-স্ট্রোক অটো থাকলে তা ফোর-স্ট্রোক করতে হবে। এলপিজি, সিএনজি, বিদ্যুৎ বা ব্যাটারি-চালিত অটো চালাতে হবে
- প্রতি রুটে সর্বোচ্চ অটোর সংখ্যা বেঁধে দেওয়া হবে
- অটো ডিলাররা সরকারি অফার লেটার ছাড়া একটি অটোও বিক্রি করতে পারবে না। করলে সরকার আইনি ব্যবস্থা নেবে
- কলকাতা ও অন্য শহরের জন্য অটোর নির্দিষ্ট রং। যাতে এক এলাকার অটো অন্য এলাকায় ঢুকতে না পারে। পরিবহণমন্ত্রী এ জন্য পরিবহণ দপ্তরের ডিরেক্টর ও কমিশনারকে নিয়ে কমিটি গঠনের নির্দেশ দিয়েছেন। যাতে নয়া রং নিয়ে চালকদের উপরে কোনও বাড়তিবোঝা না-চাপে
- নিরাপত্তার জন্য প্রতিটি অটোয় বাধ্যতামূলক ভাবে হাই সিকিউরিটি রেজিস্ট্রেশন নাম্বার প্লেট (এইচএসআরপি) লাগাতে হবে
- কাটা রুটে অটো চালানো যাবে না
- ইচ্ছেমতো, বিশেষ করে উৎসবের সময় অটোর ভাড়া বাড়ানো যাবে না
- বাড়তি যাত্রী তোলা যাবে না
- এলইডি বা তীব্র আলো দিয়ে অটো সাজানো যাবে না। রাখা যাবে না উচ্চগ্রামের অডিয়ো সিস্টেম
- অটো চালানোর সময় চালত মোবাইলে কথা বলতে পারবেন না
- যাত্রী, বিশেষ করে শিশু, মহিলা ও বৃদ্ধদের সঙ্গে খারাপ ব্যবহার করা যাবে না। তাঁদের সাধ্যমতো সহযোগিতা করতে হবে
- শহরের প্রতিটি রুটে স্ট্যান্ডের সুবিধা পেতে পুলিশ, স্থানীয় প্রশাসন ও পুরসভার মতো সংস্থাগুলির সাহায্য পাবেন চালকরা
- পরিবহণ কর্তারা যা বলছেন— রেজিস্ট্রেশন ও রুট পারমিট না-থাকায় বেআইনি অটো দুর্ঘটনায় পড়লে বিমার সুবিধা পায় না। তাই নয়া নীতিতে বেআইনি অটো রোধে জোর দেওয়া হয়েছে।
কলকাতা ছাড়াও আসানসোল-শিলিগুড়ি ও অন্যান্য জেলা আরটিও-দের বলা হয়েছে, পুলিশ প্রশাসনের সঙ্গে আলোচনা করে প্রয়োজনমতো রুট তৈরি করতে। এ ক্ষেত্রে বাসের ক্ষতির দিকটিও মাথায় রাখতে হবে।