জুন ২৮, ২০১৮
তৃণমূলের তরফে অমিত মিত্রের বিবৃতি

তৃণমূলের তরফে অমিত মিত্রের বিবৃতি
- গুজরাটের মানুষ ওদের প্রত্যাখ্যান করেছেন, তাই ওরা বাংলায় এসেছে।
- রবীন্দ্র সংগীতের সঙ্গে বোমার আওয়াজকে তুলনা করে বাংলার মানুষের অপমান করা হয়েছে। বাংলা নিয়ে ওদের কোনও জ্ঞান নেই। ওরা জানে না বাংলার মানুষের চেতনা ও কৃষ্টির সঙ্গে রবীন্দ্রসঙ্গীত কি ভাবে গেঁথে রয়েছে।
- বাংলার জননেত্রী, যার ওপর গরীব, সাধারণ মানুষ, প্রান্তিক মানুষের ভরসা রয়েছে, তার নাম নিয়ে বোমা ছোঁড়েন একথা বলা হয়েছে, আর সেই বোমার আওয়াজের তুলনা হচ্ছে রবীন্দ্রসঙ্গীতের সাথে, এটা লজ্জাজনক বিষয়।
- সিপিএমের হার্মাদদের সঙ্গে নিয়ে মাত্র কয়েকটা ব্লকে জিতেছে, তাতেই মনে হল সব জিতে গেছি। বাংলার মানুষ জানে ওরা কে এবং ভারতবর্ষ তাদের রিজেক্ট করার মুখে।
- ১১ টি নির্বাচনের মধ্যে মাত্র ১ টি জিতেছে, আর ১০টি তে ফেল করেছে, মানুষ তাদের ভোট দেয়নি।
- তারা নির্বাচনের আগে সভায় প্রতিশ্রুতি দিচ্ছে তারপর বলছে ওটা জুমলা, মানে মিথ্যে কথা। বলা হয়েছিল সকলের ব্যাংকে ১৫ লক্ষ টাকা চলে যাবে এখন বলছে জুমলা, এই জুমলা শব্দটা এখন নতুন ব্যবহার করা হচ্ছে।
- আপনারা সবাই জানেন কিভাবে আজ মানুষ ভয় ভীতি নিয়ে ভারতবর্ষে বেঁচে আছে কারণ, আজ ভারতে জরুরি অবস্থা। আর উনি বাংলায় এসে হুমকি দিচ্ছেন। তৃণমূল কংগ্রেস হুমকিকে ভয় করে না। কারণ মানুষ তাদের সাথে আছে, মানুষ মমতা বন্দ্যোপাধ্যাকে সঙ্গে নিয়ে চলেছে। হুমকি দিয়ে কোন লাভ নেই, মানুষ আপনাদের প্রত্যাখ্যান করবে।
- মানুষ বলছে ওদের সংগঠন জঙ্গি সংগঠন। ওদের নেতারা বলছে শ্মশানে পৌঁছে দেব, প্রাণনাশের হুমকি দিচ্ছে। আর ওরা নাকি এখানে এসে বলছে বাংলায় সন্ত্রাস হচ্ছে। এদের নেতারা বলছেন শ্মশানে পৌঁছে দেব, শ্মশানে গিয়ে গুনবো। এরকম ভাষা কি আমরা কোনদিনও শুনেছি? যার কোনও রাজনৈতিক বিশ্বাসযোগ্যতা নেই তিনি একজন ৭ বারের সাংসদ এবং ২ বারের জন্য নির্বাচিত মুখ্যমন্ত্রীর উদ্দেশ্যে এসব বলছেন? এই কি রাজনৈতিক শিষ্টাচার?
- ওনারা নিজেদের বলেন শৃঙ্খলাবদ্ধ দল। সারা ভারতবর্ষ তৃণমূল কংগ্রেসের শৃঙ্খলা দেখেছে। আর ওনাদের মিটিঙে কী হচ্ছে? ধস্তাধস্তি।
- বিজেপি এবং বজরং দল নিজেদের মধ্যে মারামারি করছে, তাতেও লোকে মারা যাচ্ছে।
- অর্থনীতির ক্ষেত্রে তিনি বলেছেন যে কেন্দ্রীয় সরকার থেকে অনেক টাকা দিয়েছে। আপনারা বাজেট পড়ে দেখেছেন যে অধিকাংশ ক্ষেত্রে ওরা নানা প্রকল্পের টাকার পরিমাণ কমিয়ে দিয়েছে। ডেট রি-স্ট্রাকচারিং নিয়ে আর কোনও উচ্চবাচ্য নেই।
- ২৮টি বড় প্রকল্প ছেঁটে দেওয়া হয়েছে। আমরা সেই প্রকল্পগুলি চালিয়ে যাচ্ছি। মমতা বন্দোপাধ্যায় এগিয়ে যাবেন কারণ সাধারণ মানুষের জন্য তিনি আত্মত্যাগ করেছেন।
- ভারতের কম্পট্রলার ও অডিটার জেনারেল বলেছেন যা ধার রাজ্য নিচ্ছে তার প্রায় ৩৫% উন্নয়নের কাজে খরচ হচ্ছে।