সাম্প্রতিক খবর

নভেম্বর ১১, ২০১৯

ঘূর্ণিঝড়ে ক্ষতিগ্রস্ত এলাকা পরিদর্শনে মুখ্যমন্ত্রী

ঘূর্ণিঝড়ে ক্ষতিগ্রস্ত এলাকা পরিদর্শনে মুখ্যমন্ত্রী

আজ ঘূর্ণিঝড়ে ক্ষতিগ্রস্ত এলাকা পরিদর্শনে যান মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এলাকা পরিদর্শনের পর সেখানে ক্ষতিগ্রস্তদের ত্রাণ ও পুনর্বাসন ব্যবস্থা নিয়ে কাকদ্বীপে প্রশাসনিক পর্যালোচনা বৈঠক করেন তিনি।

ঘূর্ণিঝড়ে ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণঃ

  • ঝড়ে ৭ জন মারা গেছেন (উত্তর ২৪ পরগনায় ৫ জন, পূর্ব মেদিনীপুরে ১ জন এবং দক্ষিণ ২৪ পরগনায় ১ জন) এবং ৮ জন এখনও নিখোঁজ
  • প্রায় ৫-৬ লক্ষের বেশি মানুষ ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। ২ লক্ষ কাঁচাবাড়ি নষ্ট হয়েছে, অনেক বাড়ির আংশিক ক্ষতি হয়েছে
  • ২১ টি সাবস্টেশন নষ্ট হয়ে গেছে, ৭-১০ দিন সময় লাগবে বিদ্যুৎ আসতে
  • কৃষিজমি, পাকা ধান, পানের বরজ, শাক সবজি চাষের ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে

সরকারের তরফে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থাপনাঃ

যারা মারা গেছে তাদের পরিবারকে ২ লক্ষ টাকা আর্থিক সাহায্য দেওয়া হবে

যেসব বাড়ি ভেঙে গেছে এবং আংশিক ক্ষতিগ্রস্ত, ‘বাংলা আবাস যোজনায়’ এইসব বাড়ি তৈরি করে দেওয়া হবে। যেসব বাঁধ, নদীর পাড় ভেঙে গেছে সেগুলো তৈরি করে দেওয়া হবে। ম্যানগ্রোভ অরণ্যের ওপর বেশি করে জোর দেওয়া হবে। নতুন গাছ লাগানোর ব্যবস্থা করা হবে

৪৭১ টি ত্রাণ শিবির খোলা হয়েছে, প্রয়োজনমতো আরও বাড়ানো হবে

৩২৩ টি রান্নাঘর খুলে দেওয়া হয়েছে

ফসলের বিমা ১০০ শতাংশ করা হবে

স্থানীয় ছেলে মেয়েদের ১০০ দিনের কাজে ব্যবহার করা হবে

ক্ষতিগ্রস্ত জেলাগুলির জন্য একটি করে টাস্ক ফোর্স গঠন করা হবে (জেলাশাসকের নেতৃত্বে)। ৪৮ ঘণ্টা পরপর ত্রাণ পুনর্বাসনের ওপর নজরদারি চালানো হবে

দুর্গতদের জন্য বিশেষ রেশনের ব্যবস্থা করা হবে। দুর্গতদের বিস্কুট, মুড়ি, চিড়ে, বেবি ফুড, ওষুধপত্র, ত্রিপল ইত্যাদি দেওয়া হবে

মুখ্যমন্ত্রী জানান, ১ লক্ষ ৭৮ হাজার মানুষকে আশ্রয় না দিলে আরও অনেক ক্ষতি হতে পারত, প্রশাসনের তরফ থেকে বারবার সতর্কতামূলক প্রচার চালানো হয়েছে এটি একটি মানবিক কাজ, কেন্দ্রীয় সরকারও রাজ্য সরকারের এই কাজের প্রশংসা করেছে।

এছাড়াও জেলাসাশক ও আধিকারিকদের কাছে মুখ্যমন্ত্রীর আবেদন, বেশি করে সময় দিন, শান্তি বজায় রাখুন। মানবিকতার সঙ্গে কাজ করুন।