সাম্প্রতিক খবর

জুন ৭, ২০১৮

দক্ষিণবঙ্গে ডেঙ্গু মোকাবিলায় মশা দমনে ছাড়া হয়েছে গাপ্পি মাছ

দক্ষিণবঙ্গে ডেঙ্গু মোকাবিলায় মশা দমনে ছাড়া হয়েছে গাপ্পি মাছ

ডেঙ্গু মোকাবিলায় মৎস্য দপ্তরের উদ্যোগে মৎস্য উন্নয়ন নিগমের তত্ত্বাবধানে এবছর এপ্রিল মাস থেকেই রাজ্যের বিভিন্ন পুরসভা এবং গ্রামীণ এলাকার জলাশয়, নিকাশি নালা থেকে খাল সর্বত্র গাপ্পি মাছ ছাড়া শুরু করা হয়।

এখনও পর্যন্ত ১১ লক্ষেরও বেশি গাপ্পি মাছ ছাড়া হয়েছে। চলতি মাসের প্রথম সপ্তাহে আরও কয়েক লক্ষ গাপ্পি বিভিন্ন এলাকায় ছাড়া হবে। সব মিলিয়ে এখনও পর্যন্ত ১১ লক্ষ ২৭ হাজার ৮৪৪ গাপ্পি মাছ ছাড়তে প্রায় ১১ লক্ষ ৫৬ হাজার ১৫৯ টাকা খরচ হয়েছে।

দপ্তরের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে এপ্রিল থেকে চলতি মাসে এখনও পর্যন্ত দক্ষিণ দমদম পুর এলাকায় সর্বাধিক প্রায় ১ লক্ষ ২৬ হাজার গাপ্পি মাছ ছাড়া হয়েছে। বিধাননগর পুর এলাকাতেও প্রায় ১ লক্ষ তিন হাজার গাপ্পি মাছ ছাড়া হয়েছে। দক্ষিণবঙ্গের অন্যান্য পুরসভার মধ্যে মহেশতলা, সোনারপুর পুরসভা তাদের এলাকার জলাশয়ে ৫০ হাজার করে গাপ্পি মাছ ছেড়েছে।

এছাড়া বর্ধমান, গুসকরা, মেমারি, কালনা, দাঁইহাট, কাটোয়া পুরসভার পক্ষ থেকেও তাদের সংশ্লিষ্ট পুর এলাকার জলাশয়, পুকুর, খাল-বিলে ৪০ হাজার করে গাপ্পি মাছ ছেড়েছে। উত্তর ২৪ পরগনার কাঁচরাপাড়া পুরসভাও ইতিমধ্যেই ২১ হাজার ৬০০ গাপ্পি মাছ ছেড়েছে।

মৎস্য দপ্তরের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, শুধু পুর এলাকাই নয় দক্ষিণবঙ্গের একাধিক ব্লক অফিসার গ্রামীণ এলাকার জলাশয়ে গাপ্পি মাছ ছাড়ার জন্য তাদের কাছে আবেদন করেছিল। নিগমের পক্ষ থেকে ই঩তিমধ্যে বর্ধমান ১ ও ২ নং ব্লক, ভাতার ব্লক, আউসগ্রাম ১ ও ২ নং ব্লক, গলসি ১ ও ২ নং ব্লক, রায়নার ১ ও ২ নং ব্লক, খণ্ডঘোষ ব্লক, মেমারি ১ ও ২ নং ব্লক, কালনা ১ ও ২ নং ব্লক, জামালপুর ব্লক, মন্তেশ্বর ব্লক, পূর্বস্থলী ১ ও ২ নং ব্লক, কেতুগ্রাম ১ ও ২ নং ব্লক, কাটোয়া ১ ও ২ নং ব্লক, ভাঙড় ১ ও ২ নং ব্লক এবং মঙ্গলকোট ব্লক ২০ হাজার করে গাপ্পি মাছ তাদের এলাকার জলাশয়ে ছেড়েছে।

সৌজন্যে: বর্তমান