জুন ২, ২০১৮
ভগবতপুর কুমীর প্রজনন কেন্দ্রের সম্প্রসারণের জন্য নতুন প্রকল্প রাজ্যের

ভগবতপুরে রাজ্যের যে একমাত্র কুমির প্রজনন কেন্দ্রটি রয়েছে তা বর্তমানে এক গুরুত্বপূর্ণ পর্যটনস্থল হিসেবে খ্যাতি লাভ করেছে। শীঘ্রই এই কেন্দ্রটির সম্প্রসারণের জন্য ১০ বছরের একটি প্রকল্প চালু করছে রাজ্য সরকার।
এই কুমির প্রজনন কেন্দ্রটি সুন্দরবন বায়োস্ফিয়ার রিজার্ভের অংশ। সপ্তমুখী মোহনার কাছে লোথিয়ান দ্বীপের পাশে বকখালিতে অবস্থিত এই কেন্দ্রটি। অনেকে বকখালির কুমীর পার্কও বলে থাকে ভগবতপুর কুমির প্রজনন কেন্দ্রটিকে। পৃথিবীতে যে ক’টি হাতে গোনা কুমীর প্রজনন কেন্দ্র আছে, তার মধ্যে এটিও একটি।
দশ বছরের পরিকল্পনার অংশ হিসেবে এই অঞ্চলের প্রভূত উন্নয়ন করা হবে। পার্কের আয়তন দ্বিগুন করা হবে, যার ফলে কুমীরের সংখ্যা আরও বাড়বে। বছরে ১৫টি কুমীরের প্রজনন করার লক্ষ্য রয়েছে সুন্দরবন বায়োস্ফিয়ার রিজার্ভের। তিন বছর বয়েস হলে এই কুমীরগুলিকে সুন্দরবনের নদীতে ছেড়ে দেওয়া হয়। এছাড়া পূর্ণবয়স্ক কুমীরের সংখ্যা ২০ ছাড়ালেও তাদের নদীতে ছেড়ে দেওয়া হয়।
ভবিষ্যতে পর্যটকদের আরও আকর্ষিত করতে কুমিরের প্রজনন পদ্ধতি ও কুমীর সংরক্ষণের তাৎপর্য বিশ্লেষণ করার জন্য গাইডও রাখা হবে।
বর্তমানে এই পার্কে বিভিন্ন প্রজাতির ও বয়সের কুমীর দেখতে পাওয়া যায়। এছাড়া সপ্তমুখী নদীর তীরে ম্যানগ্রোভ গাছের অপরুপ শোভা সারা বছর পর্যটকদের আকর্ষণ করে।