জুন ১৬, ২০১৮
জামাইষষ্ঠীতে মাছের নানা পদে বাঙালির জন্য রকমারি থালি সাজাচ্ছে মৎস্য নিগম

এবার জামাইষষ্ঠীতে ঘটি-বাঙালের চিরপুরাতন ঝগড়াকে কবজি ডুবিয়ে খাওয়ার লড়াইয়ে নিয়ে আসতে চলেছে রাজ্য মৎস্য উন্নয়ন নিগম। জামাইবাবাজির মুখে তৃপ্তির হাসি ফুটিয়ে তুলতে মধ্যবিত্তের সাধ্যের নাগালে বিভিন্ন প্যাকেজ আনছে নিগম। এর মধ্যে এদেশীয় ও পূর্ববঙ্গীয় নানান পদের ডালি সাজানো হয়েছে।
শুধু তাই নয়, অ্যাপের মাধ্যমে একেবারে হেঁসেলে রান্না পৌঁছে দেওয়ার ব্যবস্থা করা হয়েছে। প্রবীণ শ্বশুরমশাইদের জন্য আরও সুখবর হচ্ছে, ষাটোর্ধ্বরা এই বুকিংয়ে ১০ শতাংশ ছাড়ও পাবেন। যাঁরা স্বল্প পরিসর ফ্ল্যাটে থাকেন, তাঁরা কলকাতার উপকণ্ঠে নলবনে নিগমের স্থায়ী রেস্তরাঁতেও ষষ্ঠীর আয়োজন করতে পারবেন। এর জন্য আগাম টেবিল বুকও করা যাবে। ১৯ জুন, মঙ্গলবার জামাইষষ্ঠী পড়ায় অনেকেই ছুটি পাবেন না। তাই এই বিশেষ প্যাকেজ চলবে ১৬-২৪ জুন পর্যন্ত। অতএব, ঘুরে ঘুরে বাজারহাট, ঘাম ঝরিয়ে রান্নার পাট চুকিয়ে বয়স্ক শ্বশুর-শাশুড়িদের জন্য নিগমের এই প্যাকেজ যথেষ্ট জনপ্রিয় হবে।
প্যাকেজে ঘটি জামাইদের জন্য থাকছে আম-বড়ি দিয়ে ল্যাটা মাছের টক, বান মাছের কষা, ট্যাংরার টক, কই মশলা। আবার বাঙাল জামাইদের জন্য থাকছে পাঁচফোড়নে কাতলা ভুনা, লাউ পাতায় কই মাছের ভর্তা, টক-মিষ্টি স্মোকড ইলিশ সহ আরও অনেক পদ। সাধারণ থালির দাম ধরা হয়েছে ৩৯০ টাকা। বিশেষ থালির দাম পড়বে ৫৯০ টাকা।
ঘটিদের থালিতে থাকছে ভাত, কলাইয়ের ডাল, আলু পোস্ত/পোস্তর বড়া, মৌরালা মাছ ভাজা, তেল কই/কাতলা মাছের কালিয়া/ফিশ পাতুরি/ইলিশ মাছ ভাপা, খয়রা মাছের তেল পেঁয়াজা, ট্যাংরার টক, কই মশলা, পেঁপে দিয়ে চিংড়ির ঘণ্ট। অন্যদিকে, পূর্ববঙ্গের থালিতে থাকছে ভাত, মুগ ডাল, আলু ভাজা, চাপিলা মাছ ভাজা, পাবদা মাছের ঝাল/সরষে ইলিশ/চাপিলার টক প্রভৃতির সঙ্গে পোয়া মাছের পাতুরি, পাঁচফোড়নে কাতলা ভুনা, পালং সরষে দিয়ে সরপুঁটি প্রভৃতি। শেষ পাতে থাকছে ১০০ গ্রামের দই, চারটি ফল এবং একটি মিষ্টি। নিগমের কর্তা সৌম্যজিৎ দাস জানান, ৩৯০ টাকার থালিতে ভাল-ডাল-ভাজার সঙ্গে মাছের একটি সাধারণ পদ এবং একটি বিশেষ পদ থাকবে। আর ৫৯০ টাকার থালিতে থাকছে মাছের দু’টি সাধারণ পদ এবং তিনটি বিশেষ পদ।
মৎস্য উন্নয়ন নিগমের পক্ষ থেকে ‘স্মার্ট ফিশ’ নামের অ্যাপের মাধ্যমেই জামাইষষ্ঠীর রসনাতৃপ্তির ‘হোম ডেলিভারি’ থেকে ‘টেবিল বুকিং’ সবই করতে পারবেন ইচ্ছুকরা। তবে হোম ডেলিভারির সুযোগ থাকছে শুধুমাত্র কলকাতা এবং সংলগ্ন এলাকার শ্বশুরকুলের জন্য।