সাম্প্রতিক খবর

জুন ১৯, ২০১৮

রপ্তানিকারীরা জিএসটি’র প্রাপ্ত অর্থ ফেরত পাচ্ছেন না, সোচ্চার অর্থমন্ত্রী

রপ্তানিকারীরা জিএসটি’র প্রাপ্ত অর্থ ফেরত পাচ্ছেন না, সোচ্চার অর্থমন্ত্রী

রপ্তানিকারীদের প্রাপ্ত অর্থ ‘রিফান্ড’ দিতে পারছে না কেন্দ্রীয় সরকার। সঠিক পদ্ধতিতে জিএসটি (নেটওয়ার্ক) চালু না হওয়ায়, রপ্তানিকারক সংস্থাগুলি কেন্দ্রের থেকে ২৫হাজার কোটি টাকা পায়। এর ফলে মার খাচ্ছে দেশের রপ্তানি। এরি প্রতিবাদে রপ্তানিকারক সংস্থাগুলির হয়ে কেন্দ্রের কাছে চিঠি দিচ্ছে রাজ্য সরকার। এক্সপোর্টার্স সম্মেলনে উপস্থিত হয়ে একথাই জানালেন অর্থমন্ত্রী অমিত মিত্র।

তিনি বলেন, “যারা রপ্তানি করেছেন, তারা অর্থ রিফান্ড পাচ্ছেন মা। অর্থ না পেয়ে রপ্তানিকারক সংস্থাগুলির থেকে প্রায় ৩ লক্ষ আবেদনপত্র জমা দেওয়া হয়েছে। ২৫ হাজার কোটি টাকা প্রত্যর্পন করার কথা কেন্দ্রীয় সরকারের। কেন্দ্র সেই টাকা দিচ্ছে না। কারন, জিএসটি(নেটওয়ার্ক) তারা এখনও পর্যন্ত অটো ভেরিফিকেশন পদ্ধতি চালু করতে পারেনি। আবেদনপত্রগুলি অনলাইনে আসছে, তারপরে সমস্ত পদ্ধতিটাই হাতে (ম্যানুয়াল) করতে হচ্ছে। ৩ লক্ষ আবেদনপত্রের মধ্যে ৩০ শতাংশ রাজ্যে পৌঁছতে পেরেছে। জিএসটিএন ঠিক ভাবে কার্যকরী না হওয়ায় পৌঁছতেই পারেনি। তাই বিরাট সমস্যার সম্মুখীন হয়ে পরেছেন দেশের হাজার হাজার রপ্তানিকারক সংস্থা।”

তিনি আরও বলেন, “আমরা কেন্দ্রীয় সরকারের কাছে জিএসটি কাউন্সিলের চেয়ারম্যানের কাছে এর বিরুদ্ধে প্রতিবাদ জানিয়ে আমরা চিঠি লিখব। টাকা ফেরত বা রিফান্ড না পেলে ওয়ার্কিং ক্যাপিটাল থাকে না। ওয়ার্কিং ক্যাপিটাল না থাকলে ব্যবসা করা যায় না কারন এই অর্থই তারা পুনরায় বিনিয়োগ করেন। ফলে কর্মসংস্থানের সৃষ্টি হয়। জিএসটিএন-এ বলা হল সবই আটির মাধ্যমে হবে, কিন্তু হচ্ছেটা কি। সব কাজ হাতে হচ্ছে। আমরা চেষ্টা করছি তাদের কিছু ঋণ দিতে।”

প্রসঙ্গত, আগে রপ্তানি করতে গেলে ‘এম ফর্ম’ পূরণ করে দিলে তাহলে আর কর দিতে হত না। এখন জিএসটি আগে দিতে হবে, তাঁর থেকে টাকা ফেরত পাবেন রপ্তানিকারী সংস্থা। কিন্তু, জিএসটিএন সঠিক ভাবে গড়ে ওঠেনি বলেই এটা সম্ভব হচ্ছে না বলে অভিযোগ করেছে সম্মেলনে উপস্থিত সকল রপ্তানিকারী সংস্থাগুলি।’

বন্দর সমস্যায় কেন্দ্রকে চিঠি

বন্দরে এসে পণ্য পড়ে রয়েছে যার ফলে রপ্তানির বিপুল ক্ষতি হচ্ছে। বন্দর সংক্রান্ত এই সমস্যার সমাধান করতে কেন্দ্রকে চিঠি দিচ্ছে রাজ্য।

অর্থমন্ত্রী বলেন, ‘সবজি রপ্তানির ক্ষেত্রে ১৪০ মিলিয়ন ডলার রপ্তানির পরিমাণ নিয়ে যাওয়া হবে ৫০০ কোটি টাকায় রপ্তানির লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে। এতে কেন্দ্রীয় সরকারের সহায়তা চাই। এতে বন্দরগুলির একটা বিরাট ভূমিকা রয়েছে। ভাইজাগের বন্দর ব্যবহার করতে হচ্ছে আমাদের। কেন্দ্রের সহযোগিতা চেয়ে আমরা চিঠি লিখব কেন্দ্রের শিল্প মন্ত্রীকে। বন্দর কর্তৃপক্ষের সঙ্গে আমরা কথা বলছি। শিল্প মন্ত্রকের সচিব আমাদের মুখ্যসচিবকে চিঠি লিখে জানিয়েছেন, উনি নিজে আসবেন বলেছেন। এই সমস্যা নিয়ে আলোচনা হবে। মুখ্যমন্ত্রী বললে, আমরা শিল্পমন্ত্রীকে চিঠি লিখব। সোনার গয়না বিমানবন্দরে পড়ে আছে দীর্ঘদিন ধরে। কি সমস্যা কেন্দ্রীয় সরকার বলুক। এয়ারপোর্ট, সি-পোর্ট এবং যেখানে যেখানে দরকার আমরা ল্যান্ড পোর্ট তৈরীর চেষ্টা করব।”