জুন ১৫, ২০১৮
পুজোর মরশুমে উত্তরবঙ্গের পাহাড় ও ডুয়ার্সে পর্যটকের ঢল নামতে চলেছে

এবার পুজোর মরশুমেও পাহাড় ও ডুয়ার্সে পর্যটকদের ঢল নামতে চলেছে। পুজোর সময়ের ট্রেনের রিজার্ভেশন টিকিট এখনও দেওয়া শুরু হয়নি। কিন্তু তার আগেই রাজ্য ও রাজ্যের বাইরে পর্যটকরা পুজোর সময়ে এই অঞ্চলে ঘুরতে আসার জন্য খোঁজ খবর নিতে শুরু করেছেন। ট্রেনের টিকিট কাটার আগেই অনেকে হোম স্টে, হোটেল বুকিং করে ফেলেছেন।
রাজ্য পর্যটন দপ্তরের ডেপুটি ডিরেক্টর সম্রাট চক্রবর্তী বলেন, অতীতে এই ট্রেন্ড দেখা যায়নি। এবার পাহাড় ও ডুয়ার্স নিয়ে পর্যটকদের যে আগ্রহ দেখা যাচ্ছে তাতে পুজোর সময় এখানে পর্যটকদের ঢল নামবে।
রাজনৈতিক অস্থিরতার জন্য গত পুজোয় এই অঞ্চলে পর্যটকরা ঘুরতে আসতে পারেননি। এখন পাহাড় শান্ত ও স্বাভাবিক। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ঘনঘন পাহাড়ে আসায় দেশ বিদেশের পর্যটকের কাছে পাহাড় নিয়ে ইতিবাচক বার্তা পৌঁছেছে। এসব কারণেই পাহাড়ের প্রতি পর্যটকদের আস্থা ফিরে এসেছে বলে মনে করছেন উত্তরবঙ্গের ট্যুর অপারেটররা।
পুজোর সময় উত্তরবঙ্গের পাহাড় জঙ্গলে পর্যটকদের ঢল নামার যে সম্ভাবনা তৈরি হয়েছে তাতে বৈচিত্র্যও রয়েছে। প্রচলিত বা পরিচিত জায়গা থেকে পর্যটকদের বেশি উৎসাহ দেখা যাচ্ছে হোম স্টে ও অপরিচিত জায়গাগুলিতে ঘোরার ব্যাপারে।
দার্জিলিং ডিস্ট্রিক্ট ট্যুরিজম বোর্ডের সাম্মানিক সদস্য বলেন, ইতিমধ্যে হোম স্টেতে ৫০ শতাংশ বুকিং হয়ে গিয়েছে। ঘরোয়া পর্যটকদের সঙ্গে দেশ বিদেশের পর্যটকরাও দার্জিলিং, কালিম্পংয়ে হোম স্টে’র প্রতি বেশি উৎসাহ দেখাচ্ছেন। ডুয়ার্সে চিলাপাতার হোম স্টেগুলিতেও ভালো বুকিং হচ্ছে। ভিনরাজ্যের পর্যটকদের উৎসাহ এবার বেশি লক্ষ্য করা যাচ্ছে। দার্জিলিং ও কালিম্পংয়ে সাড়ে চারশোর মতো হোম স্টে রয়েছে। এখনই পর্যটকদের যে আগ্রহ দেখা যাচ্ছে তাতে পুজোর সময় এই হোম স্টেগুলি একটাও ফাঁকা থাকবে না।
পুজোর সময়ে ভ্রমণের জন্য ট্রেনের রিজার্ভেশনের টিকিট শুরু হবে ১৫ জুন থেকে। তার আগে থেকেই এবার উত্তরবঙ্গে ভ্রমণে আসার জন্য পর্যটকরা খোঁজখবর নেওয়া শুরু করেছেন। তাই, ধরেই নেওয়া যায় পুজোর মরশুমে উত্তরবঙ্গের পাহাড় ও ডুয়ার্সে পর্যটকের ঢল নামতে চলেছে।