সাম্প্রতিক খবর

মে ৭, ২০১৯

যুব সম্প্রদায়ের ওপর মোদীর বাজে প্রভাব পড়ছে: সাঁতুড়িতে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়

যুব সম্প্রদায়ের ওপর মোদীর বাজে প্রভাব পড়ছে: সাঁতুড়িতে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়

আজতৃণমূল নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বাঁকুড়া লোকসভা কেন্দ্রের অন্তর্গত, পুরুলিয়া জেলার সাঁতুড়িতে একটি জনসভায় করেন।

এখানে তিনি বলেন যে তাঁর দীর্ঘ রাজনৈতিক জীবনে তিনি মোদীর চেয়ে বড় মিথ্যেবাদী দেখেন নি যার কিনা কুপ্রভাব পড়ছে আজকের যুব সম্প্রদায়ের কাছে।

তার বক্তব্যের কিছু অংশ:

  • আমি অনেক প্রধানমন্ত্রী দেখেছি কিন্তু মোদীর মত মিথ্যেবাদী দেখিনি। যুব সম্প্রদায়ের কাছে ও একটা খারাপ নিদর্শন।
  • মোদী যদি আবার ক্ষমতায় আসে তাহলে গণতন্ত্রের হত্যা করবে, দেশের ইতিহাস বদলে দেবে এমনকী সংবিধান পালটে দেবে।
  • বিজেপি-র কোনও নির্দিষ্ট নীতি নেই। ওরা অস্ত্র হাতে মিছিল করে মানুষকে ভয় দেখায় আর নৈরাজ্যের সৃষ্টি করে।
  • আমি বাম আমলে অনেক শারীরিক আঘাতের সম্মুখীন হয়েছি। আমার মাথায়, হাতে আর শরীরের নানা জায়গায় চোট রয়েছে।
  • কিন্তু এই আঘাত আমায় কখনও বাম-দের নৃশংস আক্রমণের বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়াতে আটকাতে পারেনি। এর জন্যে চাই মানসিক দৃড়তা।
  • ঝাড়খন্ডেবিজেপি জোর করে আদিবাসীদের কাছ থেকে জমির পাট্টা কেড়ে নিয়েছে। আমি আমার মন্ত্রীদের পাঠিয়েছিলাম তা বন্ধ করার জন্যে। আর এই রাজ্যে আমরা আদিবাসীদের জমির অধিকার দিই তাদের বসবাসের জন্যে ।
  • অমৃতসর-কলকাতা করিডোর তৈরি হয়ে গেলে তা রঘুনাথপুর ছূয়ে যাবে। এর ফলে অনেক চাকরীর সৃষ্টি হবে। আমরা এর মধ্যেই এই অঞ্চলে চারটি ইন্ডাস্ট্রিয়াল গ্রোথ সেন্টার খুলে ফেলেছি।
  • আমরা সাঁওতালি মাধ্যমে স্কুল শুরু করেছি, অলচিকি হরফে অভিধান বার করেছি। এখন তো ছাত্ররা সাঁওতালি ভাষায় ডব্লু বি সি এস পরীক্ষাও দিতে পারে।
  • আমরা সমাজের সব স্তরের মানুষের জন্যে কাজ করেছি কোনও ভেদাভাদ না দেখে। আমরা মনে করি সবাইকে ছাড়া সমাজ অসম্পূর্ণ।
  • উৎকর্ষ বাংলা প্রকল্পে বছরে ৬ লাখ যুবক নিজেদের স্কিল ডেভেলপমেন্টের সুযোগ পায়। ট্রেনিং হয়ে গেলে চাকরী পায়। সারা বিশ্বে এই প্রকল্প সমাদৃত।
  • নির্বাচনে আগে আমরা ‘যুবশ্রী অর্পণ’ নামে একটি নতুন প্রকল্প শুরু করেছিলাম যাতে যুবকদের ৫০,০০০ টাকা দেওয়া হয় নিজের ব্যবসা শুরু করার জন্যে।
  • নরেন্দ্র মোদী কেন্দ্রে পাঁচ বছর ক্ষমতায় থেকে কি করেছেন? আজ ওদের গুন্ডারা রাস্তার মোড়ে দাড়িয়ে মানুষকে স্লোগান দিতে বাধ্য করছে আমরা ভয় পাই না। আমরা বরং ‘জয় হিন্দ’ বা ‘বন্দে মাতরম’ বলি।
  • এইরাজ্যে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় নাকি দূর্গা পুজো করতে বাধা দেয়? আপনারা কি দুর্গাপুজো, সরস্বতী পুজো, লক্ষ্মী পুজো বা টুসু পরব উদযাপন করেন না?
  • আমরা অযোধ্যা পাহাড়, সুশুনিয়া পাহাড়কে নতুন করে সাজিয়েছি। দীঘাতে জগন্নাথ মন্দিরের সংস্কার চলছে আর ওদিকে ওরা তো একটা রাম মন্দিরও বানাতে পারল না।
  • অসমে ওরা ২২ লক্ষ বাঙালি হিন্দুদের নাম থেকে বাদ দিয়েছে। বাঙালি নিধন করছে। তাড়িয়ে দিচ্ছে। আমরা এই রাজ্যে NRC লাগু করতে দেব না।
  • বাংলায় ওরা দুর্যগের দিন আসে না, শুধু ভোট চাইতে আসে।
  • ওরা নিজেদের রাজ্যে মাওবাদী সন্ত্রাস রুখতে ব্যর্থ হয়েছে কিন্তু আমরা জঙ্গলমহলে শান্তি ফিরিয়ে এনেছি। কেন্দ্র কিন্তু এই এলাকার উন্নয়নের বরাদ্দ বন্ধ করে দিয়েছে।
  • ‘আচ্ছে দিনের’ নামে ১২,০০০ কৃষক আত্মহত্যা করেছে, তিন কোটি যুবক চাকরী খুইয়েছে। বিদেশ থেকে ওরা কোনও কালো টাকা তো আনতেই পাড়েনি বরংরান্নার গ্যাস আর জ্বালানির দাম বেড়ে চলেছে।
  • ওরা একে অপরের মধ্যে বিভেদসৃষ্টি করে দাঙ্গা বাধাবার চেষ্টা করছে। ওরা মানুষকে শান্তিতে থাকতে দিতে চায় না,ওস্কাতে চায়।