জুন ১, ২০১৮
এবার সরকারি কাজেও কুরুখ, কামতাপুরী, কুরমালি ও রাজবংশী ভাষা ব্যবহার

ক্ষমতায় আসার পর থেকেই আদিবাসীদের সংস্কৃতি রক্ষার জন্য নানা পদক্ষেপ নিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী। সেই লক্ষ্যেই, এবার সরকারি কাজে ব্যবহার করা যাবে কুরুখ, কামতাপুরী, কুরমালি ও রাজবংশী ভাষাও।
গত ৮ই ফেব্রুয়ারি রাজ্য বিধানসভায় ওয়েস্ট বেঙ্গল অফিসিয়াল ল্যাঙ্গুয়েজ (অ্যামেন্ডমেন্ট) বিল পাস হয়, যার মাধ্যমে কুরুখ ভাষাকে সরকারি স্বীকৃতি দেওয়া হয়। আর ২৮শে ফেব্রুয়ারি রাজ্য বিধানসভায় ওয়েস্ট বেঙ্গল অফিসিয়াল ল্যাঙ্গুয়েজ (সেকেন্ড অ্যামেন্ডমেন্ট) বিল পাস হয়, যার মাধ্যমে কামতাপুরী, কুরমালি ও রাজবংশী ভাষাকে সেই সকল জেলা, মহকুমা, ব্লক ও পুরসভা অঞ্চলে সরকারি ভাষার স্বীকৃতি দেওয়া হয় যেসব অঞ্চলে যেখানে এই সব ভাষাভাষীর মানুষ ১০ শতাংশের বেশী।
প্রসঙ্গত, এই ভাষাগুলিকে সরকারি ভাষা হিসেবে স্বীকৃতি দেওয়ার পদক্ষেপ নেওয়া হয় নৃসিংহপ্রসাদ ভাদুড়ির নেতৃত্বে চলা বিশেষজ্ঞ কমিটির প্রস্তাব মেনে। রাজ্যপাল সায় দেওয়ার পর রাজ্য আইন দপ্তর এই ব্যাপারে নির্দেশিকা জারি করে।
কুরুখ ভাষা ব্যবহার হরে ওঁরাও আদিবাসীরা। আলিপুরদুয়ার, জলপাইগুড়ি, কোচবিহার, দক্ষিণ দিনাজপুর ও উত্তর ২৪ পরগনায় প্রায় ১৭ লক্ষ মানুষ এই ভাষায় কথা বলে। সারা দেশে এই ভাষার মানুষ আছেন ৩৬.৭২ লক্ষ মানুষ।
এই মুহূর্তে রাজ্যে সরকারি ভাষা হল: বাংলা, হিন্দী, উর্দু, নেপালি, সাঁওতালি, ওড়িয়া ও পাঞ্জাবি।