জুন ৮, ২০১৮
খাদ্য সাথী - বাংলার সাড়ে আট কোটি মানুষের পাশে

মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের অনুপ্রেরণায় গত সাত বছর ধরে একগুচ্ছ জনমুখী পদক্ষেপ নিয়েছে রাজ্য সরকার। খাদ্য দপ্তরের খাদ্য সাথী প্রকল্পের মাধ্যমে রাজ্যের প্রায় সাড়ে আট কোটি মানুষের কাছে খাদ্য সাথী প্রকল্পের সুবিধা পৌঁছে দেওয়া হয়েছে।
খাদ্য সাথী প্রকল্পের মুখ্য বৈশিষ্ট্যঃ
- ইতিমধ্যে ৮ কোটি ৪৬ লক্ষ রাজ্যবাসীকে খাদ্যসাথী প্রকল্পের আওতাভুক্ত করা হয়েছে।
- এই ৮ কোটি ৪৬ লক্ষ সুবিধাপ্রাপককে ডিজিটাল রেশন কার্ড প্রদান করা হয়েছে।
- আরও প্রায় ২৫ লক্ষ রেশন কার্ড বিতরণ করা হয়েছে।
- সুবিধাপ্রাপকদের চার শ্রেণীতে ভাগ করা হয়েছেঃ (১)অন্ত্যদায় অন্ন যোজনাঃ এই শ্রেণীতে পরিবার পিছু মাসে ১৫ কেজি চাল ও ২০ কেজি গম সরবরাহ করা হয়, উভয়ই ২ টাকা প্রতি কেজি দরে (২) বিশেষ অগ্রাধিকার প্রাপ্ত পরিবারঃ এই শ্রেণীতে জনপিছু মাসে ২ কেজি চাল ও ৩ কেজি গম সরবরাহ করা হয়, উভয়ই ২ টাকা প্রতি কেজি দরে (৩) রাজ্য খাদ্য সুরক্ষা যোজনা-১ঃ এই শ্রেণীভুক্তদের মাথাপিছু মাসে ২ কেজি চাল ও ৩ কেজি গম সরবরাহ করা হয়, উভয়ই ২ টাকা প্রতি কেজি দরে (৪) রাজ্য খাদ্য সুরক্ষা যোজনা-২ঃ এই শ্রেণীভুক্তদের মাথাপিছু মাসে ১ কেজি চাল ১৩ টাকা প্রতি কেজি দরে ও ১ কেজি গম ৯ টাকা কেজি দরে সরবরাহ করা হয়।
- এছাড়া চা বাগানে বসবাসকারী সব পরিবার ২ টাকা কেজি দরে প্রতি মাসে ৩৫ কেজি রেশন পাচ্ছেন।
- সিঙ্গুরের অনিচ্ছুক কৃষক, আয়লায় ক্ষতিগ্রস্ত পরিবার এবং জঙ্গলমহলের উপভোক্তারা বর্ধিত খাদ্য পাচ্ছেন।
- টোটো জনজাতিদের বিনামূল্যে খাদ্যশস্য দেওয়া হচ্ছে।
- যথাযথ পুষ্টি প্রদানের লক্ষ্যে রাজ্য সরকার ভর্তুকি দিয়ে গমের পরিবর্তে পুষ্টিযুক্ত আটা প্রদান করছে।
- ৪৫০০ জন অপুষ্টি আক্রান্ত শিশুকে বিনামূল্যে ১ বছরের জন্য চাল, গম, মসুর ডাল এবং ছোলা দেওয়ার ব্যবস্থা করা হয়েছে।
- ২০১৭-১৮ মরশুমে এখনও পর্যন্ত ২০.৫ লক্ষ মেট্রিকটন ধান সংগ্রহ করা গিয়েছে।
- মজুত ভাণ্ডারের ক্ষমতা গত পাঁচ বছরে ৬২ হাজার মেট্রিক টন থেকে বাড়িয়ে ৬ লক্ষ ১০ হাজার মেট্রিক টন করা হয়েছে। আরও ৩ লক্ষ ৪০ হাজার মেট্রিক রণ ধারন ক্ষমতা বাড়ানোর প্রকল্প হাতে নেওয়া হয়েছে।
- ১২৬টি চা বাগানে আদর্শ ন্যায্য মূল্যের দোকান তৈরী করে দেওয়া হয়েছে।
- জেলা স্তরে, মহকুমা স্তরে এবং রেশনিং এলাকায় ৪৩টি নিজস্ব অফিস বিল্ডিং নির্মাণের কাজ সমাপ্ত হয়েছে।
- খাদ্যের গুণগত মান রক্ষার জন্য অত্যাধুনিক পরীক্ষাগার তৈরীর কাজ চলছে। কলকাতা কেন্দ্রীয় পরীক্ষাগার ছাড়া ১৫টি জেলায় ১৫টি এবং আরও ৬টি (মেদিনীপুর, বর্ধমান, কৃষ্ণনগর, মালদহ, সিউড়ি ও শিলিগুড়ি) আঞ্চলিক পরীক্ষাগার নির্মাণ করা হবে।
- ২০১৭-১৮ খারিফ মরশুমে কৃষকদের জন্য ক্যুইন্টাল প্রতি ন্যুনতম সহায়ক মূল্য ধার্জ্য করা হয়েছে ১৫৫০ টাকা। কেন্দ্রীয় ধান্য ক্রয় কেন্দ্রে ধান বিক্রি করলে ক্যুইন্টাল প্রতি আরও ২০ টাকা উৎসাহ মূল্যে দেওয়া হচ্ছে।
- কৃষকদের অভাবী বিক্রি পুরোপুরি বন্ধ করা সম্ভব হয়েছে।
কার্ড সংক্রান্ত পরিষেবাঃ
বিভিন্ন ধরনের কার্ড সংক্রান্ত কাজের জন্য নির্দিষ্ট (নীচের সারণী অনুযায়ী) ফর্ম এ সংশ্লিষ্ট খাদ্য পরিদর্শকের কাছে আবেদন করুন।
U ফর্ম পৌর এলাকার জন্য এবং R ফর্ম পঞ্চায়েত এলাকার জন্য।
ফর্ম নং আবেদনের বিষয়
III আপনার পরিবারকে ভর্তুকিযুক্ত খাদ্য প্রাপকের তালিকায় অন্তর্ভুক্তির
জন্য
IV পরিবারের নতুন সদস্য সংযোজন করার জন্য
V নাম বা ঠিকানার ভুল সংশোধন করার জন্য
VI ডিলার পরিবর্তনের জন্য
VII কার্ড বাতিল করার জন্য
VIII RKSY-II থেকে RKSY-I এ পরিবর্তন করার জন্য আবেদন। (যাঁদের পূর্বে BPL/AAY কার্ড ছিল)
IX Duplicate কার্ড (হারিয়ে বা নষ্ট হয়ে গেলে)
কার্ড পাওয়ার যোগ্যতা এবং নিয়মাবলীর জন্য ওয়েবসাইটঃ www.wbpds.gov.in
কোনও পরিবারের কোনও সদস্যের মৃত্যু হলে, কার্ড বাতিলের জন্য Death Certificate সহ ফর্ম – VII জমা করতে হবে।