সাম্প্রতিক খবর

জুন ৯, ২০১৮

শিশুপাচার রুখতে দৃঢ়প্রতিজ্ঞ বাংলা

শিশুপাচার রুখতে দৃঢ়প্রতিজ্ঞ বাংলা

শিশুরাই আমাদের সমাজের ভিত্তি। আজকের শিশুই হবে আগামীদিনের দেশের নাগরিক। তাই, শিশু সুরক্ষা নিশ্চিত করাটা রাজ্য সরকারের এক বিরাট দায়িত্ব। রাজ্যশিশু কল্যাণ দপ্তর শিশুদের যত্ন নেওয়া, সুরক্ষা দেওয়া ও তাদের কল্যাণ ও উন্নয়নে দিয়েছে বিশেষ জোর।

শিশু নিরাপত্তাকে পাখির চোখ করে ওয়ার্ড-গ্রাম সংসদ-ব্লক স্তরে শিশু সুরক্ষা কমিটি তৈরী করা হয়েছে। এই কমিটিগুলির মাধ্যমে একদম সমাজের তৃণমূল স্তর পর্যন্ত শিশু নিরাপত্তা নিশ্চিত করতেই এই উদ্যোগ। ৩১শে ডিসেম্বর ২০১৭ পর্যন্ত রাজ্যের মোট ৪৬৫০৫ গ্রামগুলির মধ্যে ৪১৮৯৯ টি গ্রামে এই কমিটি গঠন হয়েছে। ৩৪১ টি ব্লকের মধ্যে ৩৪০টি ব্লকেই গঠিত হয়েছে এই কমিটি। ২৯০০ টি গ্রাম সংসদের মধ্যে ১৭০২ সংসদেই এই কমিটি তৈরী করা হয়েছে।

সকল জেলায়, জেলা স্তরের শিশু সুরক্ষা কমিটি মড্যুল মেনে মাস্টার প্রশিক্ষকদের প্রথম পর্যায়ের প্রশিক্ষণ দেওয়ার কাজ সম্পূর্ণ হয়েছে। এবং এই জেলা স্তরের মাস্টার প্রশিক্ষকরা ব্লক স্তরে প্রশিক্ষণ দেবেন।

বিভিন্ন দপ্তরের সহযোগিতার মাধ্যমে যাতে মহিলা ও শিশু পাচার রোখা যায় তার জন্য উদ্যোগী ডিরেক্টরেট অফ চাইল্ড রাইটস অ্যান্ড ট্রাফিকিং। এমনই একটি উল্লেখযোগ্য উদ্যোগ হল ‘স্টেট প্ল্যান অফ অ্যাকশন টু কমব্যাট অ্যান্ড প্রিভেন্ট হিউম্যান ট্রাফিকিং’ গঠন। আপাতত জলপাইগুড়ি ও দক্ষিণ ২৪ পরগনা জেলায় কার্যকরী করা হয়েছে এই প্ল্যান অফ অ্যাকশন, কারন, এখানে পাচারের প্রবণতা খুব বেশী।

তৃণমূল স্তরের মানুষের জন্য অনেক সচেতনতামূলক অভিযানও চালানো হয়েছে। আইসিডিএস, স্কুল পড়ুয়া, শিক্ষক, প্যারালিগাল ভলান্টিয়ার, পুলিশ, পিআরআই সদস্যদেরও এই বিষয়ে উদ্বুদ্ধ করা হয়েছে। স্থানীয় লোকশিল্পীদের মাধ্যমেও সচেতনতা ছড়ানো হচ্ছে। দক্ষিণ ২৪ পরগণার সোনারপুর এবং কুলটি থানায় শিশুবান্ধব থানা খোলা হয়েছে। বিভিন্ন অঞ্চলে পাচার রুখতে কন্যাশ্রী ক্লাব এবং কিশোরী বাহিনীরা নজরদারির কাজ করছে।

পাচার হওয়া ব্যাক্তিদের উদ্ধার ও পুনর্বাসনের জন্য ডিরেক্টরেট অফ চাইল্ড রাইটস অ্যান্ড ট্রাফিকিং কাজ করে চলেছে। রাজ্য ও জেলায় যারা শিশু অধিকার নিয়ে কাজ করছে, হারানো শিশু ও ব্যাক্তিদের নিয়ে কাজ করে, তারা ক্ষমতায়নও করা হচ্ছে।

সৌজন্যে: দপ্তরের বাজেট