জুন ৫, ২০১৮
পরিবেশ- বান্ধব বাংলা গড়তে বদ্ধপরিকর রাজ্য

পরিবেশ দপ্তরের কাজের ক্ষেত্র বিশাল এবং ঝুঁকিপূর্ণ। পরিবেশ দপ্তরের বিভিন্ন শাখা কাজ করে চলেছে রাজ্যকে আরও পরিচ্ছন্ন এবং পরিবেশ- বান্ধব করে তুলতে। বায়ু, শব্দ, জল কিংবা দৃশ্যদূষণ – নেওয়া হচ্ছে নানা পদক্ষেপ।
এই বিবিধ প্রকার দূষণ রুখতে, পরিবেশ দপ্তর প্রচুর পদক্ষেপ নিয়েছে। এই পদক্ষেপের মধ্যে আছে কড়া বিধি, পরিবেশের মানের ওপর নিয়মিত নজর দেওয়া, যান-দূষণ নিয়ন্ত্রণ, জল ও বায়ু দূষণ নিয়ন্ত্রণ, শব্দ দূষণ প্রতিরোধ, দূষিত এলাকায় নিয়মিত পরিদর্শন এবং সেখানকার উন্নয়নের পরিকল্পনা করা।
এই দপ্তর ওয়েস্ট বেঙ্গল পলিউশান কন্ট্রোল বোর্ড, ওয়েস্ট বেঙ্গল বায়োডাইভারসিটি বোর্ড, ইস্ট কলকাতা ওয়েটল্যান্ডস ম্যানেজমেন্ট অথরিটি, ইন্সটিটিউট অফ এনভাইরনমেন্টাল স্টাডিস অ্যান্ড ওয়েটল্যান্ড ম্যানেজমেন্ট ও অন্যান্য গবেষণাগারে সমস্ত গবেষণার খরচ বহন করে।
পরিবেশ দপ্তরের কিছু উল্লেখযোগ্য কাজ:
- ওয়েস্ট বেঙ্গল পলিউশান কন্ট্রোল বোর্ড সমানে নজর রেখে চলেছে যাতে বায়ু এবং জলাশয় দূষণ কমানো যায়।
- সমস্ত কাজে স্বচ্ছতা আনার জন্য ওয়েস্ট বেঙ্গল পলিউশান কন্ট্রোল বোর্ড একটি অনলাইন ওয়েবসাইট শুরু করেছে। সমস্ত তথ্য পাওয়া যাবে এই ওয়েবসাইটে। পরিচালনা পদ্ধতিও অনেক সহজ করা হয়েছে।
- রেড ক্যাটেগরির শিল্পের ক্ষেত্রে কন্সেন্ট টু অপারেটের সময়সীমা ২ বছর থেকে বাড়িয়ে ৫ বছর করা হয়েছে, অরেঞ্জ ক্যাটেগরির শিল্পের ক্ষেত্রে কন্সেন্ট টু অপারেটের সময়সীমা ৩ বছর থেকে বাড়িয়ে ৫ বছর করা হয়েছে এবং গ্রিন ক্যাটেগরির শিল্পের ক্ষেত্রে কন্সেন্ট টু অপারেটের সময়সীমা ৫ বছর থেকে বাড়িয়ে ৭ বছর করা হয়েছে। একটি নতুন হোয়াইট ক্যাটেগরি শুরু করা হয়েছে যাদের কন্সেন্ট পরিচালনার বাইরে রাখা হয়েছে।
- পরিবেশের বদলের জন্য রাজ্যের অ্যাকশন প্ল্যানে সংশোধন আনা হয়েছে। বিভিন্ন ক্ষেত্রে আধুনিক উন্নতিকরনের জন্য মিটিগেশন ও অ্যাডাপ্টেশন ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে।
- জীববৈচিত্রের সংরক্ষণের কার্যক্রম, সংশোধনে জোর দেওয়া এবং একটি বিশদ রেজিস্টার তৈরি করা হচ্ছে।
- প্রচুর জলাশয়ের পুনরুজ্জীবনের ও সৌন্দর্যায়নের কাজ করা হয়েছে।
- সমাজের সকল স্তরের মানুষের মধ্যে পরিবেশ সচেতনতা বাড়াতে জোর দেওয়া হয়েছে। পাশাপাশি পরিবেশের সংরক্ষণ বাড়াতে সাধারণ মানুষের সাহায্য নেওয়া হচ্ছে।