সাম্প্রতিক খবর

মে ৭, ২০১৯

দিল্লীতে দুর্যোধন দুঃশাসন দেশ চালাচ্ছেঃ বড়জোড়ায় বললেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়

দিল্লীতে দুর্যোধন দুঃশাসন দেশ চালাচ্ছেঃ বড়জোড়ায় বললেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়

তৃণমূলনেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় আজ বাঁকুড়া জেলার বিষ্ণুপুর লোকসভা কেন্দ্রের বড়জোড়ায় একটি নির্বাচনী সভা করেন। তিনি বলেন, দিল্লীতে একটা সরকার গত পাঁচ বছর ধরে জগদ্দল পাথরের মত বসে আছে, দুর্যোধন দুঃশাসনের সরকার।

তাঁর বক্তব্যের কিছু অংশঃ

এটা দিল্লীর নির্বাচন। দিল্লীতে একটা সরকার গত পাঁচ বছর ধরে জগদ্দল পাথরের মত বসে আছে, দুর্যোধন দুঃশাসনের সরকার। একটা দাঙ্গার সরকার, একটা নোটবাতিলের সরকার, একটা ১২ হাজার কৃষক আত্মহত্যার সরকার, মানুষের চাকরি খাওয়ার সরকার, কল কারখানা বন্ধ করে দেওয়ার সরকার, সংখ্যালঘুদের ওপর অত্যাচার করার সরকার, গোরক্ষকদের মাধ্যমে অত্যাচার করার সরকার, লিঞ্চিং সিন্ডিকেটের সরকার আর নেই দরকার।

নরেন্দ্র মোদী বাংলায় এসে আমার কৈফয়েৎ চাইছে, কিন্তু, উনি জানেন না এই উত্তর ওনাকে দিতে হবে। এটা রাজ্যের নির্বাচন নয়। তাও আমরা মানুষকে সবসময় জবাব দিই।

দেওচা পাচামিতে বিশ্বের দ্বিতীয় বৃহত্তম কোল বেল্ট তৈরী হচ্ছে। সব ক্লিয়ারেন্স হয়ে গেছে। শুধু একটা মৌ স্বাক্ষর করবে, নরেন্দ্র মোদী বারণ করে দিয়েছে। ওনার জন্য রাজ্যের ১২ হাজার কোটি টাকার একটা প্রকল্প আটকে আছে। এই প্রকল্প হলে প্রত্যক্ষ, পরোক্ষভাবে লক্ষাধিক মানুষের চাকরি হত। বাংলা নামটা পর্যন্ত তিন বছর ধরে তিনবার বিধানসভায় পাস করানো সত্ত্বেও দিল্লী সংশোধন করে দিলনা। বাংলা নামে ওদের কিসের আপত্তি?

আগে কুম্ভকর্ণ ছ’মাস ঘুমোত। এখনকার কম্ভকর্ণ মোদী সাড়ে চার বছর ধরে বিদেশে ঘুরে বেড়িয়ে ঘুমিয়ে বেড়িয়েছে। নিজের নামে সিনেমা, নিজের নামে কাপড়ের দোকান, নিজের নামে টিভি চ্যানেল, শুধু নিজের নামে জুতোর দোকান খোলাই বাকি আছে। প্রতি রবিবার সকাল থেকে সেজে গুজে মন কি বাত বলছে। শুনতে শুনতে মানুষের কান পচে গেছে। কোনও প্রধানমন্ত্রীকে এর আগে এসব করতে হয়নি।

আমাদের সরকার যখন ২০১১ সালে ক্ষমতায় এল, আমাদের ইস্তেহার ছিল জনগণের প্রতি আমাদের প্রতিশ্রুতি আমরা তাদের জন্য কি করব। আমি খুশী আমরা ঐ ইস্তেহারে যা বলেছিলাম, তাঁর দ্বিগুণ কাজ আমরা করে দিয়েছি। উদাহরণ স্বরূপ, ইস্তেহারে ছিল আমরা ৫০ হাজার পুকুর কাটব, কিন্তু, আমরা ইতিমধ্যেই ২.৫ লক্ষ পুকুর কেটেছি।

বন্যার সময় ডিভিসি আরও জল ছেড়ে দেয়। ডিভিসি আজ পর্যন্ত ড্রেজিং করেনি। ওদের লিখে অনুরোধ করতে করতে হাত ব্যাথা হয়ে গেছে। মোদীবাবুকে ডিভিসি সংস্কারের কথা বলতে বলতে গলা ব্যাথা হয়ে গেছে। এবার আমরাই ডিভিসি বাঁধ সংস্কারের জন্য ১৩০ কোটি টাকা খরচ করছি। এতে আরও বেশী জল ধরে রাখতে পারবে ডিভিসি এবং বন্যা কমবে।

আমরা যেখানে যেখানে যাই সেখানে নির্বাচন কমিশন ছবি তোলে, তোলাই উচিৎ। কিন্তু, নরেন্দ্র মোদী যেখানে যেখানে নামছে, সেখানে সাংবাদিকদেরও ঢুকতে দেওয়া হয়না। মোদী কি আইনের উর্দ্ধে? আইন সকলের জন্য প্রযোজ্য হওয়া উচিৎ।

বিজেপি বলেছিল আচ্ছে দিন নিয়ে আসবে। গ্যাসের দাম, ডিজের দাম, পেট্রোলের দাম সব বাড়িয়েছে।