সাম্প্রতিক খবর

জুন ৯, ২০১৮

আইসিপিএস প্রকল্প বাস্তবায়নে পরিকাঠামো বৃদ্ধিতে জোর বাংলায়

আইসিপিএস প্রকল্প বাস্তবায়নে পরিকাঠামো বৃদ্ধিতে জোর বাংলায়

শিশুরাই আমাদের সমাজের ভিত্তি। আজকের শিশুই হবে আগামীদিনের দেশের নাগরিক। তাই, শিশু সুরক্ষা নিশ্চিত করাটা রাজ্য সরকারের এক বিরাট দায়িত্ব। রাজ্যশিশু কল্যাণ দপ্তর শিশুদের যত্ন নেওয়া, সুরক্ষা দেওয়া ও তাদের কল্যাণ ও উন্নয়নে দিয়েছে বিশেষ জোর।

আইসিপিএস প্রকল্প বাস্তবায়নে পরিকাঠামো বৃদ্ধিতে জোর দেওয়া হয়েছে:

  • ন্যাশানাল ইনফরমেটিক্স সেন্টারের সঙ্গে যৌথ উদ্যোগে ২১৭ জন শিশু কল্যাণ পুলিশ আধিকারিককে TrackCHILD পোর্টালের প্রশিক্ষণ দেওয়া হয়েছে।
  • জুভেনাইল জাস্টিস অ্যাক্ট ২০১৫ অনুসারে ২টি sensitisation programme-এর আয়োজন করা হয় জেলার বিচারক এবং প্রিন্সিপাল জেলাশাসকদের জন্য। এই অনুষ্ঠানে ২০ জন জেলার বিচারক এবং ১৯ জন প্রিন্সিপাল জেলাশাসক উপস্থিত ছিলেন।
  • জুভেনাইল জাস্টিস অ্যাক্ট ২০১৫ বাস্তবায়নের জন্য আইসিপিএস কর্মীদের জন্য রাজ্যের সমস্ত জেলায় পর্যায়ক্রমে প্রশিক্ষণ কর্মসূচী করা হয়। এই শিবিরের মাধ্যমে ৬০জনকে প্রশিক্ষণ দেওয়া হয়েছে।
  • ২০১৭ সালের ১৬ এবং ১৭ নভেম্বর দুদিন ব্যাপী কর্মশালার আয়োজন করা হয়। বিশেষ প্রয়োজন আছে যে শিশুদের তাদের পুনর্বাসনের জন্য প্রশিক্ষণ দেওয়া হয় সমস্ত জেলার ডিএসডব্লিউও, হোমের সুপারইন্টেন্ডেন্ট ও ডিসিপিওদের জন্য। ৪০ জন কে প্রশিক্ষণ দেওয়া হয় এই কর্মসূচীতে।
  • উত্তর ২৪ পরগণার সন্দেশখালি ব্লক ১ এবং ২ তে এসসিপিএস, এসএআরএ এবং ডিসিপিএউ দের দ্বারা অল্টারনেটিভ কেয়ারের ওপর প্রচার কর্মসূচী চালানো হয়। ফলস্বরূপ, এই দুই ব্লকে সিপিসিরা ব্যবস্থাপনা এবং রেফারাল শুরু করেছে।
  • রাজ্যের সমস্ত সিসিআই গুলোর সুপারইন্টেন্ডেন্ট, প্রবেশান অফিসার, শিশু কল্যাণ আধিকারিক, হাউস ফাদার ও হাউস মাদারদের জন্য পর্যায়ক্রমে মিনিমাম ষ্ট্যাণ্ডার্ড অফ কেয়ার প্রশিক্ষণ দেওয়া হয়।

বৃত্তিমূলক প্রশিক্ষণঃ

  • যে হোমগুলির আবাসিকদের জন্য বৃত্তিমূলক প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা করা হয়েছে। উল্লেখযোগ্য, আইটিআই ও মারুতি উদ্যোগ লিমিটেডের সহায়তায় ২৬ জন ছেলে গাড়ির রঙ করার প্রশিক্ষণ নিচ্ছে।
  • বিভিন্ন সিসিআই তে রিটেল ম্যানেজমেন্ট, চুল কাটা, সেলাইয়ের কাজও শিখছে।
  • প্রসিদ্ধ বস্ত্র প্রস্তুতকারক বিবি রাসেলের সহযোগিতায় এসএমএম হোমের ৩৫ জন মহিলা বোনা এবং ডিজাইনিঙের প্রশিক্ষণ নিচ্ছে।
  • লিলুয়ার এসএমএম হোমে মাছ চাষ শেখানো হচ্ছে। ওখানকার আবাসিকদের মাছের ফিলেট কাটা, আঁশ ছাড়ানো, স্কেলিং, প্যাকেজিং শেখানো হচ্ছে ভাতার বিনিময়ে।

২০১৮-১৯ সালে যেসকল কাজ করার পরিকল্পনা রয়েছেঃ

  • ব্লক স্তরে শিশু নিরাপত্তা কমিটি, ওয়ার্ড স্তরে শিশু নিরাপত্তা কমিটি, গ্রাম স্তরে শিশু নিরাপত্তা কমিটিগুলিকে কার্যকরী করা।
  • পাচার, দত্তক গ্রহণ এবং পকসো আইন ইত্যাদি সম্বন্ধে তথ্য ভান্ডার তৈরী করা।
  • শিশু নিরাপত্তার বিষয়গুলি সম্বন্ধে সমর্থন কৌশল তৈরী করা।
  • ক্ষমতাবৃদ্ধির মাধ্যমে শিশুদের পুনর্বাসন ও মুলস্রোতে ফিরিয়ে দেওয়া।
  • পকসো আইনের সংক্রান্ত রাজ্যের নির্দেশিকা তৈরী করা।
  • শিশুপাচারের বিরুদ্ধে লড়াইয়ের জন্য রাষ্ট্রীয় পরিকল্পনার বাস্তবায়ন।
  • আইসিপিএস কর্মীদের ক্ষমতায়ন।