জুন ১৬, ২০১৮
ঈদ, জামাই ষষ্ঠী উপলক্ষে দিল্লীতে বাঙালি খাদ্য উৎসব

বাঙালির চিরাচরিত মাছ-ভাত ব্র্যান্ড হিসেবে তুলে ধরতে দিলওয়ালো কি শহর দিল্লিতে পা রাখছে পশ্চিমবঙ্গ সরকার। আগামী ১৬ জুন, দিল্লির জনপথে শুরু হচ্ছে খাদ্য উৎসব। চলবে আগামী ৩০ জুন পর্যন্ত।
বাংলার নানা মাছের পদের পসরা সাজিয়ে শীঘ্রই ভিন রাজ্যে হাজির হতে চলেছে রাজ্য মৎস্য দপ্তরের অধীন সংস্থা পশ্চিমবঙ্গ ময়স্য উন্নয়ন নিগম। খাদ্য উৎসবের জন্য বেশ কিছু অভিনব মাছের রেসিপি নিয়ে এক্সপেরিমেন্ট চলছে। দিল্লিবাসী জামাইদের রসনাতৃপ্তিতে নানা ধরনের মাছের থলির ব্যবস্থা থাকছে খাদ্য উৎসবে।
আগামী ১৯ জুন, জামাইষষ্ঠীর দিনে বাঙাল ও ঘটি জামাইদের জন্য আলাদা থালির ব্যবস্থা করা হয়েছে। এই খালি নলবনের ফুড পার্কেও পাওয়া যাবে। ঘরে বসে নিগমের অযাপ মারফত অর্ডার করা যাবে।
প্রতিটি খাবারের দামই থাকছে সাধারণ মানুষের সাধ্যের মধ্যে। খাবার গুলির দাম রাখা হয়েছে ২৯৯ থেকে ৫৯৯ টাকার মধ্যে। বাঙাল থালিতে থাকছে ভাত, কচু শাক, ইলিশ মাছের মাথা দিয়ে ভাপা ইলিশ, সর্ষে ইলিশ, ইলিশের পাতুরি সহ একাধিক ডিশ. ঘটি খালিতে থাকছে কলাইয়ের ডাল, আলুপোস্ত, পোস্তর বড়া, চিংড়ির মালাইকারির মত লোভনীয় সব পদ. উপরি পাওনা রকমারি মিষ্টি, দই. থাকবে ফলের প্লেটও – যাতে থাকবে চার রকমের ফল – আম, জাম, লিচু আর কাঁঠাল।
ইদের জন্য রয়েছে বিভিন্ন খাবারের ব্যবস্থা। ইদের দিন মিলবে মাছের পরোটা, ৪ ধরনের মাছের বিরিয়ানি, লাচ্চা পরোটা, সিমাই, ফিশ ফিঙ্গার।একই সঙ্গে পাওয়া যাবে আমি দিয়ে তৈরী বিভিন্ন অভিনব রেসিপি। গরমে থাকবে আমি পোড়া শরবত। এছাড়াও মিলবে আম-শোল, আমি দিয়ে ইলিশের টক, আম ডাল দিয়ে মাছের আইটেমও।
উল্লেখ্য গত বছর নভেম্বর মাসে দিল্লির বিজ্ঞান ভবনে আন্তর্জাতিক মানের খাদ্য উৎসবে যোগ দিয়েছিলো রাজ্য মৎস্য দপ্তর। এর ফলে দেশ বিদেশের সঙ্গে ব্যবসায়িক যোগসূত্র গড়ে তোলার ক্ষেত্রে দপ্তর অনেক উপকৃত হয়েছে। এবারও মেলা থেকে ভালো লক্ষ্মীলাভের সম্ভাবনা রয়েছে বলে মনে করা হচ্ছে।
সৌজন্যে: সংবাদ প্রতিদিন