সাম্প্রতিক খবর

জুন ২৫, ২০১৮

সাংসদ তহবিলের টাকায় রাস্তা-সেতু, শীর্ষে বাংলা

সাংসদ তহবিলের টাকায় রাস্তা-সেতু, শীর্ষে বাংলা

সাংসদ তহবিলের (এমপি ল্যাড) অর্থে প্রকল্প রূপায়ণের দৌড়ে রাস্তা, সেতু, ফুটপাথ তৈরীর নিরিখে অন্য রাজ্যের সাংসদদের টেক্কা দিলেন পশ্চিমবঙ্গের সাংসদরা।

রাজ্যের অধিকাংশ সাংসদ ইতিমধ্যেই সাংসদ তহবিলের বরাদ্দ অর্থের ৮০ শতাংশ খরচ করেছেন। এমপি ল্যাডের অর্থে রাস্তা, ফুটপাথ ও সেতু নির্মাণের নিরিখে দেশের মধ্যে সর্বাধিক ২,৮৬৩টি প্রকল্প অনুমোদিত হয়েছে রাজ্যের সাংসদদের। সেই তুলনায় দেশের সব থেকে বড় রাজ্য উত্তরপ্রদেশের সাংসদদের ১,৮৯৬টি প্রকল্প অনুমোদিত হয়েছে, পিছনে গুজরাটও। মহারাষ্ট্রের সাংসদদের মোট ১,১৫২টি প্রকল্প অনুমোদিত হয়ে কাজ শুরু হয়েছে।

বাম জমানার তুলনায় তৃণমূল জমানায় সার্বিক ভাবেই রাস্তা, ফুটপাথ, ছোট সেতু, কালভার্ট নির্মাণ অথবা সংস্কারে প্রবণতা বেড়েছে। গ্রাম-বাংলায় প্রত্যন্ত এলাকাতেও কংক্রিটের রাস্তায় তৈরির প্রবণতা বহু গুণ বেড়েছে। রাজ্যের ৪২ জন লোকসভা সাংসদের মধ্যে এখন ৩৪ জন তৃণমূল সাংসদ হওয়ায় শাসকদলের সাংসদদের মধ্যে রাস্তা, ফুটপাথ ও সেতু নির্মাণ ও সংস্কারের প্রবণতা অনেক বেশি।

রাজ্যে এমপি ল্যাডের অর্থে হওয়া রাস্তা, ফুটপাথ ও সেতুর নির্মাণের প্রকল্পগুলির মধ্যে শুধু রাস্তা নির্মাণ অথবা সংস্কারের কাজ হচ্ছে, এমন অনুমোদিত প্রকল্পের সংখ্যা ২,৫০৬। সারা রাজ্যে মোট ৯৩টি কালভার্ট ও সেতু নির্মাণের প্রকল্প অনুমোদিত হয়ে কাজ চলছে অথবা সম্পূর্ণ হয়েছে। এ ছাড়া, রেল স্টেশনের অ্যাপ্রোচ রোড এবং ফুটওভার ব্রিজ তৈরীর কাজও চলছে। মোদ্দা কথা, রাজ্যের অধিকাংশ সাংসদ এমপি ল্যাডের অর্থে পরিকাঠামো নির্মাণের লক্ষ্যে ঢালাও খরচ করছেন। কেন্দ্রীয় সরকারের পরিসংখ্যানই বলছে, এই ধরনের পরিকাঠামো নির্মাণের ক্ষেত্রে রাজ্য সরকারের নিজস্ব উদ্যোগের পাশাপাশি সাংসদ তহবিলের অর্থ সহায়তার কাজ করেছে।

স্বাস্থ্য বিষয়ক প্রকল্পের নিরিখেও রাজ্যের সাংসদদের ‘পারফরম্যান্স’ নজরকাড়া। এমপি ল্যাডের অর্থে অ্যাম্বুল্যান্স কেনা থেকে হাসপাতালের যন্ত্রপাতি কেনা যায়। হাসপাতালের ভবন নির্মাণ থেকে ব্লাড ব্যাঙ্কের ভবন নির্মাণ করা যায়। এই স্বাস্থ্য পরিকাঠামো নির্মাণে পশ্চিমবঙ্গ একদম প্রথম সারিতে। রাজ্যের সাংসদদের ২২৩টি প্রকল্প ইতিমধ্যে অনুমোদিত হয়েছে। রাজ্যের লোকসভার সাংসদরা ইতিমধ্যে ১১৭টি অ্যাম্বুল্যান্স প্রদান করেছেন সরকারি ও বেসরকারি সংস্থাকে। মোট ২৫টি সরকারি হাসপাতাল ও স্বাস্থ্যকেন্দ্রের ভবন নির্মাণ ও সংস্কারের কাজ চলছে। এছাড়া পরিবারকল্যাণ বিষয়ক আরও ৩৪টি প্রকল্প অনুমোদিত হয়ে শুরু হয়েছে।

শিক্ষা বিষয়ক প্রকল্প তৈরীতেও সামনের সারিতেই রয়েছেন রাজ্যের সাংসদরা। এমপি ল্যাডের অর্থে সরকারি অথবা সরকারি সাহায্যপ্রাপ্ত স্কুলের ভবন নির্মাণ অথবা সংস্কার করা যায়। হস্টেলের ঘর তৈরী থেকে রান্নাঘর তৈরী করা যায়। কম্পিউটার থেকে ওয়াটার পিউরিফায়ার দেওয়া যায়। রাজ্যের সাংসদদের তহবিলের টাকায় এই ধরনের ৫৭০টি প্রকল্প প্রকল্প চলছে। রাজ্যের ১৬৮টি সরকারি ও সরকারি সাহায্যপ্রাপ্ত স্কুলের ভবন নির্মাণ, ১০৫টি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের ভবন নির্মাণের কাজ চলছে এমপি ল্যাডের টাকায়।