জুন ১২, ২০১৮
রেশমের শিল্পে জোর দিতে উদ্যোগী রাজ্য

গত সাত বছরে বিভোল্টিন চাষের ফলে রেশম উৎপাদনের ন’গুণ বৃদ্ধিতে উদ্বুদ্ধ হয়ে ২০১৮-১৯ অর্থবর্ষে রাজ্য চায় ১৬২০ একর জমিতে কাঁচা রেশমের উৎপাদন বাড়াতে।
২০১৭-১৮ অর্থবর্ষে নতুন ১৭৩৩ একর জমিতে রেশম চাষ করা হয়েছিল। তার ফলে ২৫৪০ মেট্রিক টন মালবেরি সিল্ক, ৩৪.৫ মেট্রিক টন তসর সিল্ক, ২.৬ মেট্রিক টন এরি সিল্ক, ১৮৫ কিলো মুগা সিল্ক উৎপাদিত হয়েছে।
রাজ্যের কৃষিমন্ত্রী ২০১৮-১৯ সালে রেশম উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রাও নির্ধারণ করে দেন – ২৫৭৫ মেট্রিক টন মালবেরি, ৪৬ মেট্রিক টন তসর, ৬ মেট্রিক টন এরি, ৪০০ কিলো মুগা সিল্ক । এই লক্ষ্যমাত্রায় পৌঁছতে সব প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নিচ্ছে সরকার।
কৃষিমন্ত্রী আরও বলেন, ২০১৭-১৮ সালে ৮৯৮টি রেশমকীট প্রতিপালক কেন্দ্র, ১৪৭টি ভার্মি কম্পোস্ট শেড, ১০টি রেশমগুটি মজুতকারি কেন্দ্র তৈরী করা হয়েছে কৃষকদের জন্য। আরও নতুন ১৬২০ একর জমিকে রেশম চাষে সংযুক্ত করা হবে। এর মধ্যে ১০০০ একর মুলবেরি, ৪০০ একর তসর, ১৫০ একর এরি ও ৭০ একর মুগা চাষের জন্য। পশ্চিম মেদিনীপুর, ঝাড়গ্রাম, পুরুলিয়া, বাঁকুড়া, বীরভূম ও জঙ্গলমহলকে তসর চাষের আওতায় আনা হয় ২০১৭-১৮ সালে। এর মাধ্যমে ১৮০৪০ জন মানুষ উপকৃত হয়েছেন।
প্রসঙ্গত, ২০১২-১৩ সালে বিভোল্টিন রেশম চাষে উৎপাদন হত ৭.১৬ মেট্রিক টন রেশম, যা ২০১৭-১৮ সালে বেড়ে হয়েছে ৩৬ মেট্রিক টন।
রাজ্য কৃষি দপ্তর শীঘ্রই একটি সম্মেলনের আয়োজন করবে যেখানে কৃষি, উদ্যানপালন, রেশমগুটি চাষিরা উপস্থিত থাকবেন; রেশম চাষিদের প্রতিনিধিরাও উপস্থিত থাকবেন।