সাম্প্রতিক খবর

জুন ২৬, ২০১৮

রাজ্যে প্রথম মৎস্যজীবীদের জন্য প্রশিক্ষণ কেন্দ্র গড়ে উঠছে

রাজ্যে প্রথম মৎস্যজীবীদের জন্য প্রশিক্ষণ কেন্দ্র গড়ে উঠছে

জ্যে মৎস্যজীবীদের আরও স্বনির্ভর করে তুলতে এই প্রথম প্রশিক্ষণ কেন্দ্র গড়ছে সরকার। প্রায় ২কোটি ২৭ লক্ষ টাকা খরচ করে এই কেন্দ্র তৈরী করছে রাজ্য মৎস্য উন্নয়ন নিগম। দক্ষিণ ২৪ পরগনার হেনরিজ আইল্যান্ডে এই কেন্দ্র তৈরী করা হবে। এই কেন্দ্রে মৎস্যচাষ সংক্রান্ত প্রশিক্ষণ ছাড়াও মাছের স্বাস্থ্য পরীক্ষা, কোনও রোগ হলে সংশ্লিষ্ট জলাশয়ের মাটি-জল পরীক্ষা করারও স্থায়ী ব্যবস্থা থাকবে। নিগমের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, এই কেন্দ্রটি এমনভাবে তৈরী করা হচ্ছে, যাতে দূরে থাকা মৎস্যজীবীরা এখানে এসে থেকে মাছ চাষের খুঁটিনাটি শিখে যেতে পারেন।

একইসঙ্গে প্রায় ৫০ জন এখানে থেকে প্রশিক্ষণ নিতে পারবেন। প্রকল্প প্রসঙ্গে মন্ত্রী বলেন, নতুন নতুন মাছ চাষের সঠিক প্রশিক্ষণের মধ্যে দিয়ে মৎস্যজীবীদের আরও স্বনির্ভর করা এবং মুনাফা বাড়ানো সম্ভব। এখন অনেক মৎস্যজীবীই মাছ চাষ করেন, কিন্তু সঠিক প্রশিক্ষণের অভাবে অনেক সময়েই তা লাভজনক হয় না। এই কেন্দ্রে তাই মৎস্যচাষকে কীভাবে আরও লাভবান করা যায়, তার খুঁটিনাটি হাতেকলমে শেখানো হবে। সেই সঙ্গে নতুন নতুন মাছ চাষ শেখার সুযোগ রয়েছে। রোগ নিরাময় করারও সুযোগ থাকছে।

আপাতত দক্ষিণ ২৪ পরগনায় এরকম একটি কেন্দ্র তৈরী করা হচ্ছে। পরবর্তী ধাপে পূর্ব মেদিনীপুর এবং দক্ষিণবঙ্গ-উত্তরবঙ্গ মিলিয়ে আরও অন্তত দুটি জেলায় এরকম অত্যাধুনিক কেন্দ্র তৈরী করারও পরিকল্পনা রয়েছে নিগমের।

ইতিমধ্যে এই প্রকল্পের জন্য ডিপিআর তৈরির কাজ হয়ে গিয়েছে। ২০১১ সালে নতুন সরকার ক্ষমতায় আসার পর থেকেই দেশের পাশাপাশি বিভিন্ন বিদেশি মাছ চাষের উদ্যোগ নিয়েছে সরকার। এ ধরনের বিদেশি মাছ চাষ করে লাভও হচ্ছে। পাশাপাশি রপ্তানির দরজাও খুলে যাচ্ছে। তাই সেই মাছ চাষে যাতে সাধারণ মৎস্যজীবীরাও উৎসাহী হয়ে ওঠেন, তাই এই প্রশিক্ষণ কেন্দ্র তৈরী করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে নিগম। মূলত সরকারি মৎস্য প্রকল্পের চাষীদের প্রশিক্ষণের জন্য এই কেন্দ্র খোলা হলেও, সাধারণ মৎস্যজীবীরাও এখানে প্রশিক্ষণ নিতে পারবেন। আপাতত সরকারি প্রকল্পের মৎস্যজীবীদের এখানে বিনামূল্যে প্রশিক্ষণ দেওয়া হবে। তবে সামান্য অর্থের বিনিময়ে এখানে ব্যক্তিগত মৎস্যজীবী থেকে চাষের সঙ্গে যুক্ত সমবায়ও এখানে প্রশিক্ষণ নেওয়ার সুযোগ পাবে।

পাশাপাশি কীভাবে বিদেশি মাছ রপ্তানি করতে হয়, সেবিষয়েও বিশেষজ্ঞরা প্রশিক্ষণ কেন্দ্রেই পরামর্শ দেবেন। এছাড়াও প্রশিক্ষণ কেন্দ্রে মৎস্যজীবীরা মাছের রোগ সংক্রান্ত সমস্যা, জলাশয়ের সমস্যা নিয়ে জানতে চাইলেও এখান থেকে সাহায্য মিলবে। এর জন্য একটি পরীক্ষাগারও তৈরি করা হচ্ছে। এটি মূলত একটি ফিশ ডিজিস ডায়গেনস্টিক সেন্টার। এই কেন্দ্রে জলাশয়ের জল-মাটি পরীক্ষা থেকে শুরু করে মাছেদের রোগ নিরাময়ের বিভিন্ন পরীক্ষা-নিরীক্ষা করা হবে। এখানে সবসময় মৎস্য বিশেষজ্ঞরা ও চিকিৎসকও থাকবেন।

ছবির উৎস