জুন ১৩, ২০১৮
সুন্দরবনের বিষদ মানচিত্রের জন্য জিপিএস ও জিআইএস বসাবে রাজ্য

স্মার্ট হচ্ছে পশ্চিমবঙ্গের বনাঞ্চল। রাজ্যের বিভিন্ন বনাঞ্চলের উপরে নজরদারি করার জন্য এবার ব্যবহার করা হচ্ছে ‘গ্লোবাল পোজিশানিং সিস্টেম’ এবং ‘জিওগ্রাফিকাল ইনফরমেশন সিস্টেম’।
গ্লোবাল পোজিশানিং সিস্টেম একটি উপগ্রহ-নির্ভর রেডিও নেভিগেশন পদ্ধতি, এর মাধ্যমে ভৌগলিক অবস্থান ও সময়ের তথ্য জিপিএস-এ পাঠাবে সমস্ত তথ্য।
সম্প্রতি এই প্রযুক্তির মাধ্যমে সরকারিভাবে রাজ্যের ম্যানগ্রোভ বনাঞ্চল সুন্দরবনের উন্নততর মানচিত্র তৈরী এবং তাঁর ওপর নজরদারি চালানোর কাজ শুরু হয়েছে। আস্তে আস্তে রাজ্যের সমস্ত বনাঞ্চলেই এই পদ্ধতিতে নজরদারি চালানো হবে।
মাতলা, রায়দিঘি, রামগঙ্গা, নামখানা, বকখালি এবং ভগতপুর রেঞ্জ নিয়ে সুন্দরবন (সাউথ ডিভিশন) বনাঞ্চল। যার মধ্যে ৭৭ হাজার ২৪৩ হেক্টর ম্যানগ্রোভ বন। এ ছাড়াও, ৬০ হাজার হেক্টর এলাকায় বন্যপ্রাণ সংরক্ষিত হয়। ২৭ হাজার হেক্টরের বেশী এলাকায় আছে ইকো-ট্যুরিজমের আওতায়।
বনাঞ্চলকে স্মার্ট করে তুলতে তারা শুধুই স্যাটেলাইট ছবি এবং জিপিএস-এর ওপর নির্ভর করে থাকেননি।
এরসঙ্গে পুরনো মানচিত্র নিয়ে বনকর্মীরা অক্ষাংশ এবং দ্রাঘিমাংশ মিলিয়ে চূড়ান্ত মানচিত্র তৈরী করেছেন।
এর ফলে, সুন্দরবনে কোথায় কত গাছ আছে, কোন গাছের কি অবস্থা, কোথায় খাড়ি আছে, কোথায় জনবসতি আছে, জানা যাবে। এছাড়া রেডিও কলার লাগানো প্রাণীদের গতিবিধিও জানা যাবে।