জুন ১৭, ২০১৮
বেঙ্গল কেমিক্যালে তালা কেন? ক্ষুব্ধ মুখ্যমন্ত্রী

বাংলার স্বার্থে আবারও সরব মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। বাংলার গর্বের ও ঐতিহ্যের প্রতিষ্ঠান আচার্য প্রফুল্লচন্দ্র রায়ের তৈরী বেঙ্গল কেমিক্যালস বিক্রির সিদ্ধান্ত বিবেচনা করায় কেন্দ্রের সমালোচনা করেন তিনি। এ ব্যাপারে তিনি কেন্দ্রের শিল্প ও বাণিজ্য মন্ত্রীকে চিঠি লিখেছেন।
তিনি লিখেছেন, ২০১৬-১৭ সালে লাভের মুখ দেখেছে এই সংস্থা, পরের আর্থিক বছরে লাভ হয়েছে দ্বিগুণ। এই লাভজনক সংস্থাকে কীভাবে বিক্রির সিদ্ধান্ত বিবেচনা করা হচ্ছে? সাধারন মানুষের সাধ্যের মধ্যে ন্যায্য মূল্যের বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ ওষুধ ও ঘর পরিচ্ছন্ন রাখার সামগ্রী তৈরী করে বেঙ্গল কেমিক্যালস।
পশ্চিমবঙ্গ ছাড়াও মুম্বই ও কানপুরে ইউনিট আছে সংস্থার। মুখ্যমন্ত্রীর আর্জি এই প্রতিষ্ঠান বিক্রির চেষ্টা বন্ধ হোক। বরং তিনি কেন্দ্রের কাছে আবেদন রেখেছেন শিল্পক্ষেত্রে দেশের ‘মহারত্ন’ হিসেবে গড়ে তুলতে রাজ্যের তরফে সবরকমের সাহায্যের আশ্বাস তিনি দিয়েছেন।
তিনি লিখেছেন, “আমি বেঙ্গল কেমিক্যালের বিক্রির সিদ্ধান্তে হস্তক্ষেপ করতে অনুরোধ করছি। অনুগ্রহ করে গুরুত্বপূর্ণ এই সংস্থার বিক্রির প্রচেষ্টা বন্ধ হোক। যে কোনও ধরনের সাহায্য করতে রাজি যাতে এই লাভজনক সংস্থা যারা সাধারণ মানুষকে সফলভাবে পরিষেবা দিচ্ছে, পরবর্তীকালে ‘মহারত্ন’ হিসাবে ভূষিত হতে পারে।” তিনি আরও লেখেন, “কলকাতা হাই কোর্ট পর্যবেক্ষণে জানিয়েছে, বেঙ্গল কেমিক্যালস সাধারণ মানুষের জন্য ন্যায্য মূল্যে প্রয়োজনীয় স্বাস্থ্য সামগ্রী ব্যবসার সঙ্গে যুক্ত। তাই, এই সংস্থাকে ‘লো প্রায়োরিটি এন্টারপ্রাইজ’ বা কম গুরুত্বের সংস্থা হিসাবে ধরা যায় না।”
এর আগেও বেঙ্গল কেমিক্যালস বাঁচাতে নানাভাবে হস্তক্ষেপ করেছেন মুখ্যমন্ত্রী। তাঁর উদ্যোগেই মূলত কেন্দ্র এই খ্যাতনামা প্রতিষ্ঠান বিক্রি হয় নি। তিনি এই চিঠিতে আরও লেখেন, “কেন্দ্র সরকার রাজ্যের গর্বের প্রতিষ্ঠান বেঙ্গল কেমিক্যাল অ্যান্ড ফার্মাসিউটিক্যালস লিমিটেড বিক্রি করার সিদ্ধান্ত বিবেচনা করেছে বলে জানতে পেরেছি। এতে আমি গভীরভাবে ব্যাথিত। ভারতের নবজাগরণের অন্যতম পুরোধা এবং বিশিষ্ট বিজ্ঞানী ও উদ্যোগপতি ও অধ্যাপক প্রফুল্লচন্দ্র রায় ১৯০১ সালে এটি প্রতিষ্ঠা করেন।”