জুন ২২, ২০১৮
সৌন্দর্যায়ন প্রকল্পে 'স্কচ অ্যাওয়ার্ড' পেল বাংলা

মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সৌন্দর্যায়ন প্রকল্পের হাত ধরে দেশের অন্যতম সেরা খেতাব ‘স্কচ অ্যাওয়ার্ড’ পেল বাংলা।
কলকাতায় গ্রিন জোনের উন্নতি সাধন, পুর-সম্পত্তিকর জমা নেওয়ার জন্য মোবাইল অ্যাপ এবং ওয়েব পোর্টাল চালু করা, পুরুলিয়া সাহেব বাঁধে ইকো ট্যুরিজম কমপ্লেক্সের মানোন্নয়ন, আলিপুরদুয়ার জেলার জয়গাঁর সোলার হাইমাস্ট এলইডি আলো, আসানসোল দুর্গাপুর ডেভেলপমেন্ট অথরিটির চালু করা অনলাইন কর আদায় ব্যবস্থা (আড্ডা অনলাইন) এবং মুখ্যমন্ত্রীর চালু করা সমব্যাথী প্রকল্প বাংলাকে এই বিশেষ সম্মান এনে দিয়েছে। যে সব কাজের জন্য বাংলা এই পুরস্কার পেল, তার মধ্যে অন্যতম পাটুলির ভাসমান বাজার।
সরকার পরিচালনা, অর্থনীতি, ব্যাঙ্কিং, সুসংহত উন্নয়ন, কর্পোরেট নাগরিকত্ব এবং প্রযুক্তিগত ক্ষেত্রে বিরল কাজের স্বীকৃতি স্বরূপ স্কচ অর্ডার অফ মেরিট অ্যাওয়ার্ড দেওয়া হয়। একটি বেসরকারি সংস্থার দেওয়া এই পুরস্কারকে প্রশাসনিক উৎকর্ষতার মানদণ্ড হিসেবে দেখা হয়। কেন্দ্র এবং রাজ্যের অধীন সব সরকারি দপ্তরই এই পুরস্কার পাওয়ার জন্য মুখিয়ে থাকে। অংশ নিয়ে থাকে পুরসভার মতো সরকারি স্বয়ংশাসিত সংস্থাও।
শুধু সৌন্দর্যায়ন প্রকল্পই নয়, পঞ্চায়েতের কাজের জন্যও স্কচ অডার্র অফ মেরিট অ্যাওয়ার্ডে জায়গা করে নিয়েছে বাংলা। পঞ্চায়েত বিভাগের যে সব কাজের জন্য এই পুরস্কার এসেছে, তার মধ্যে অন্যতম হল ‘জিও ট্যাগিং’ ব্যবস্থা। পঞ্চায়েতের মাধ্যমে যে সব সম্পদ তৈরি হচ্ছে, তার ছবি এবং তথ্য সংরক্ষণ করতেই জিও ট্যাগিং চালু হয়েছে। এ ছাড়া, গ্রামবাসীদের অভাব অভিযোগের প্রতিকারের জন্য পঞ্চায়েতে যে ‘গ্রিভ্যান্স ম্যানেজমেন্ট সিস্টেম’ চালু করা হয়েছে, স্থান পেয়েছে তা-ও। ই-অ্যাটেনডেন্স এবং ই-ট্র্যাকিং অফ পারফরম্যান্স অফ মেন্টর ইন গ্রাম পঞ্চায়েত প্রকল্পের জন্যও এই পুরস্কার পেয়েছে বাংলা।
মুখ্যমন্ত্রীর স্বপ্নের কন্যাশ্রী প্রকল্প ইতিমধ্যেই আন্তর্জাতিক স্বীকৃতি আদায় করে নিয়েছে। তার জন্য গত বছর মুখ্যমন্ত্রীর হাতে পুরস্কার তুলে দিয়েছে রাষ্ট্রপুঞ্জ। পিছিয়ে পড়া দেশগুলিতে কন্যাশ্রীর মতো প্রকল্প চালু করার জন্য উৎসাহিত করছে রাষ্ট্রপুঞ্জ। একশো দিনের কাজের প্রকল্প, গ্রামীণ আবাস যোজনা, গ্রামীণ সড়ক নির্মাণ-সহ বিভিন্ন কেন্দ্রীয় প্রকল্প রূপায়ণেও দেশের মধ্যে নজির তৈরি করেছে মমতার সরকার। এ বার বাংলার সাফল্যের তালিকায় সৌন্দযার্য়ন প্রকল্পও নথিভুক্ত হল।