মার্চ ২৫, ২০২০
করোনা মোকাবিলায় রাজ্যের কন্ট্রোল রুম নম্বর ১০৭০| মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়

আজ, মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়, নবান্নয় এক সাঙ্গাবাদিক সম্মেলনে রাজ্যে করোনা মোকাবিলায় কন্ত্রোল রুম খোলার কথা জানান এবং রাজ্যে যে আপৎকালীন ত্রাণ তহবিল চালু করা হয়েছে তার বিস্তারিত বিবরণ দেন।
তিনি বলেন –
আমাদের সকলকে এর মোকাবিলা করতে হবে
সোশ্যাল ডিসট্যান্সিং মেনে চলুন
সোশ্যাল ডিসট্যান্সিং মানে মানুষকে আইসোলেট করে দেওয়া নয়
কিন্তু একসঙ্গে জমায়েত করতে দেওয়া যাবে না
করোনা মোকাবিলায় রাজ্যের কন্ট্রোল রুম নম্বর ১০৭০। কন্ট্রোল রুম ৩ শিফটে ২৪x৭ ঘন্টা পরিচালিত হবে
অযথা আতঙ্কিত হয়ে জিনিসপত্র মজুত করবেন না
নিত্য প্রয়োজনীয় জিনিসের জোগান নিরবিচ্ছিন্ন থাকবে
পুলিশ ও প্রশাসনের আধিকারকদের দায়িত্ব নিতে হবে
জরুরি পরিষেবা আটকানো যাবে না
হোম ডেলিভারি আটকানো যাবে না
পুলিশের মধ্যে সমন্বয় বাড়াতে হবে
সব্জিওয়ালাকে আটকানো যাবে না
কৃষককে কাজ করতে দিতে হবে
যে কোনও কর্মকর্তা এই নির্দেশাবলী মেনে চলছেন না তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে
সমস্ত সরকারী আধিকারিকদের জন্য বিশেষ পাশের ব্যবস্থা
পণ্য পরিবহণকারী যানবাহন যাতে রাজ্যের যেকোনো জায়গায় যেতে পারে তার জন্য পাশের ব্যবস্থা
জ্বর কারও হতেই পারে , জ্বর হলে সোশ্যাল বয়কট করা নয়, জ্বর হলে কাউকে খাবার দেওয়া যাবে না এমন নয়
আমরা দানবিক নই, মানবিক
কেউ খেতে না পেলে পুলিশ প্রশাসন ব্যবস্থা নেবে
ফুটপাতবাসীদের জন্য নাইট শেল্টারের ব্যবস্থা করা হয়েছে। তাঁরা অনেকে যেতে চাইছেন না। তাঁদের খাবারের বন্দোবস্ত করা হবে
চিকিৎসক, নার্স ও স্বাস্থ্যকর্মীদের জন্য হোটেলের বন্দোবস্ত করা হয়েছে
অর্থনৈতিক অবস্থা খারাপ। তার মধ্যেই হঠাৎ করে রোগের প্রাদুর্ভাব, তার মধ্যে প্রস্তুতি নিতে হচ্ছে একা রাজ্যকেই
এই পরিস্থিতিতে একটি আপৎকালীন ত্রাণ তহবিল চালু করা হয়েছে। সেখানে জিনিসপত্রের পাশাপাশি আর্থিক সাহায্য দেওয়া যেতে পারে
ওই তহবিলে জিনিসপত্র দেওয়ার জন্য যোগাযোগ করতে হবে সঞ্জয় বনশলের সঙ্গে। সঞ্জয় বনশল: ৯০৫১০২২০০০
আর্থিক সাহায্যের জন্য একটি ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট খোলা হয়েছে। স্টেট এমার্জেন্সি রিলিফ ফান্ড: অ্যাকাউন্ট নম্বর- ৬২৮০০৫৫০১৩৩৯ আইএফএসসি কোড: আইসিআইসি ০০০৬২৮০, wb.gov.in
জানুয়ারিতে ভারতে করোনার প্রথম কেস ধরা পড়ে। কেন্দ্র কোনও পদক্ষেপ নেয়নি।
কেন্দ্রের কাছ থেকে কোনও সহায়তা পাওয়া যায়নি। ঋণ পরিশোধে কোনও স্থগিতাদেশ নেই, অর্থনীতির বেহাল অবস্থা।
সব রাজ্যের জন্য কেন্দ্রীয় সরকারের কাছে বিশেষ আর্থিক প্যাকেজের দাবি জানাচ্ছি। পাশাপাশি এ রাজ্যের সঙ্গে যেহেতু গোটা উত্তর-পূর্বাঞ্চল ও একাধিক প্রতিবেশী দেশের সীমান্ত রয়েছে তাই সেই প্যাকেজের পরিমাণ পশ্চিমবঙ্গে ক্ষেত্রে যাতে বেশি হয় সেই আর্জিও জানাচ্ছি।
রেশন দোকানগুলি এক মাস খাদ্য সরবরাহ করবে।সামাজিক খাতে দুই মাস অগ্রিম পেনশন দেওয়া হয়েছে।
বিপর্যয় মোকাবিলা আইন কার্যকর করার আগে কেন্দ্র রাজ্যগুলিকে অবহিত করে না। আমরা আইন মেনে চলব তবে কিছু বিধি শিথিল করার ক্ষমতা রাজ্যের আছে।