সাম্প্রতিক খবর

মার্চ ২৬, ২০২০

সোশ্যাল ডিসট্যান্সিং থেকে বাজার সচল রাখার বার্তা রাস্তায় নেমে দিলেন মুখ্যমন্ত্রী

নিজের জীবনের ঝুঁকি নিয়ে রাস্তায় নেমে মানুষের পাশে দাঁড়ানো মানুষটির নাম মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়,বাংলার মুখ্যমন্ত্রী। লকডাউনের মধ্যে নিজেই রাস্তায় নেমে জনতাকে বোঝালেন কীভাবে করোনা থেকে সুরক্ষিত থাকতে হবে।

মুখ্যমন্ত্রীর নগর-পরিক্রমার মূল উদ্দেশ্য ছিল দু’টি। প্রথমত পাইকারি এবং খুচরো বাজারে খাদ্য ও অত্যাবশ্যকীয় পণ্যের জোগান বা সাপ্লাই-চেন সুনিশ্চিত করা। দ্বিতীয়ত সরাসরি বিক্রেতাদের সঙ্গে কথা বলে সোশ্যাল ডিসট্যান্সিং-এর মর্ম এবং উপায় বোঝানো। বুধবার নবান্নে বোর্ডে এঁকে দেখিয়েছিলেন কীভাবে বাজার-দোকানে ক্রেতা-বিক্রেতারা গা ঘেঁষাঘেঁষি এড়াতে পারেন। সেটা যদি হয় থিয়োরি ক্লাস, তা হলে বৃহস্পতিবার তিনি বাজারে দাঁড়িয়ে যা করলেন তা হল ‘প্র্যাকটিক্যাল ক্লাস’। পেটের চিন্তা করতে হবে না বলে সাহসও জোগান।

আজ বিকেলে নবান্ন থেকে মুখ্যমন্ত্রী যান বড়বাজারের পোস্তা বাজারে। আলু–পেঁয়াজ–আদা–রসুনের জন্য পোস্তা বাজার বিশেষভাবে উল্লেখযোগ্য। সেখান থেকে যাতে শহর ও শহরতলির বিভিন্ন জায়গায় হেঁসেলের অত্যন্ত জরুরি পণ্যগুলি পৌঁছে যায় সেই বিষয়টি নজর দিতে বলেন মুখ্যমন্ত্রী। বিকেল ৪.৩৫ মিনিটে কলকাতা পুলিশ কমিশনার অনুজ শর্মাকে নিয়ে পোস্তায় হাজির হন মুখ্যমন্ত্রী। সেখানে স্থানীয় ব্যবসায়ীদের সঙ্গে কথা বলেন। নিজে হাতে এঁকে বোঝান সোশ্যাল ডিসটেন্স কীভাবে রাখতে হবে।

এরপর পৌঁছে যান জানবাজারে। বিকেল ৪.৪৫ মিনিটে। সেখানেও ব্যবসায়ীদের সঙ্গে কথা বলেন। তাঁদের অভাব অভিযোগ শোনেন তিনি।

তালতলায় পৌঁছন ঠিক ৪.৫৬ মিনিটে। একটি গলিতে ঢুকে যান মুখ্যমন্ত্রী। এক বাসিন্দাকে পাখির খাঁচা পরিষ্কার করার পরামর্শ দেন। চিড়িয়াখানায় পাখিগুলোকে দিয়ে দেওয়ার কথা বলেন। এরপর মুখ্যমন্ত্রী যান রফি আহমেদ কিদওয়াই রোডে। সেখানেও খুচরো বিক্রেতা ও ক্রেতাদের সঙ্গে কথা বলেন। বুঝিয়ে দেন, খাদ্যদ্রব্য পাওয়া নিয়ে চিন্তা করার কোনও কারণ নেই। শুধু সতর্কতা জরুরি।

এরপর ছোটেন গড়িয়াহাটে ও লেক মার্কেটে । সেখানেও ব্যবসায়ীদেরকে বোঝান কীভাবে দূরত্ব রেখে বিক্রিবাটা করতে। সবজির গামলা পরিষ্কার রাখারও পরামর্শ দেন।