মার্চ ২৫, ২০২০
আরও বেশি ঋণের অনুমতি চেয়ে প্রধানমন্ত্রীকে চিঠি মুখ্যমন্ত্রীর

বিশ্ব জুড়ে করোনা–মহামারির দরুন যে বিশেষ পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে, তার প্রেক্ষিতে রাজ্যগুলিকে আরও ঋণ নেওয়ার ক্ষমতা দেওয়ার দাবি জানালেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। প্রধানমন্ত্রীকে চিঠি লিখে তিনি বলেছেন, ২০২০–২১ সালে এফআরবিএম (ফিনানশিয়াল রেসপনসিবিলিটি অ্যান্ড বাজেট ম্যানেজমেন্ট) অ্যাক্ট অনুযায়ী নির্ধারিত সীমার চেয়ে বেশি ঋণ রাজ্যগুলিকে নিতে দেওয়া হোক এবং এর পরিমাণ করে দেওয়া হোক অন্তত রাজ্যের মোট অভ্যন্তরীণ উৎপাদনের ৫ শতাংশ।
সাধারণ ভাবে এফআরবিএম অনুযায়ী রাজ্যগুলির ঋণ নেওয়ার সীমা হল ৩ শতাংশ। কিন্তু জাতীয় বিপর্যয়ের মতো পরিস্থিতিতে এই সীমা বাড়ানো যেতে পারে। এই অবস্থায় মুখ্যমন্ত্রী লিখেছেন, অর্থনীতির গতি যখন এমনিতেই শ্লথ হয়ে পড়ছিল, সেই সময় বিশ্বব্যাপী মহামারির কারণে অর্থনীতি ভীষণ ভেবে বিপর্যস্ত হয়ে পড়ছে। এই অবস্থায় প্রয়োজনীয় লকডাউন ও বিভিন্ন রাজ্যে ব্যবসা বন্ধের কারণে রাজ্যগুলির সম্পদ তৈরির ক্ষমতাও ভয়ঙ্কর ভাবে ধাক্কা খাবে। তার ওপর রাজ্যের ৭০ শতাংশ কর যেখান থেকে আসে, সেই জিএসটি–র পরিমাণ অনেক পড়ে যাবে।
এ ছাড়াও কেন্দ্রীয় সরকারের কর আদায় কমে যাওয়ার ফলে রাজ্যগুলির ভাগের টাকা আরও কমে যাবে। এভাবে পুরো বিষয়টি ব্যাখ্যা করে মুখ্যমন্ত্রী লিখেছেন, ‘রাজ্যগুলির এই অনিবার্য ও প্রায়–বিপর্যয়কর আর্থিক সূচকগুলির পরিপ্রেক্ষিতে আমি আন্তরিক ভাবে আপনাকে অনুরোধ করছি, রাজ্যগুলিকে এফআরবিএম নির্ধারিত সীমার বেশি ঋণ করার অনুমতি দেওয়া হোক।’
চিঠির শেষে মুখ্যমন্ত্রী লিখেছেন, এফআরবিএম সীমার ওপর ঋণ নিতে গেলে সংশ্লিষ্ট রাজ্য বিধানসভায় সংশ্লিষ্ট আইনের সংশোধন করতে হয়।
চিঠির প্রসঙ্গে এদিন মুখ্যমন্ত্রী বলেন, ‘এই বিপর্যয়ের সময় এখনও কেন্দ্রের সহায়তা কিছু পাওয়া যায়নি। আগামী এক মাসে কী হবে আমরা জানি না। করোনা–পরিস্থিতি কোথায় দাঁড়াবে, তাও জানি না। অনেক রাজ্য পেট্রোল–ডিজেলে সেস বসিয়েছে। সেটা করলে সাধারণ মানুষ অসুবিধেয় পড়বেন। এর ওপর আমাদের পরিকাঠামো তৈরি করতে হচ্ছে।’ সেজন্যই আরও ঋণ করার ক্ষমতা দিতে তার এই চিঠি। চিঠির সঙ্গে এখানে সর্বদল–বৈঠকে গৃহীত প্রস্তাবের কপিও প্রধানমন্ত্রীকে পাঠানো হয়েছে বলে মুখ্যমন্ত্রী জানিয়েছেন।