মে ১৬, ২০১৯
বিজেপি ভোটের জন্যে টাকা ছড়াচ্ছে-ডায়মন্ড হারবারে বললেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়

আজ তৃণমূলনেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ডায়মন্ড হারবারে একটি নির্বাচনী জনসভায় বক্তব্য রাখেন। সেখানে তিনি অভিযোগ করেন যে বিজেপি ভোটের আগে টাকা ছড়াচ্ছে এবং একজন বিজেপি প্রার্থী তা করতে গিয়ে ধরাও পড়েছেন।
তিনি বলেন যে “রাজ্যে বিজেপি সভাপতির এক সহায়ক কোটি টাকা সহ ধরা পড়েছেন এবং স্বীকার করেছেন যে তা নির্বাচনের জন্যে খরচ করা হত। ওরা এরকম অন্যায় করে যাচ্ছে কিন্তু নির্বাচন কমিশন ওদের বিরুদ্ধে কিছুই করতে পারছে না।”
ওনার বক্তব্যের কিছু অংশ:
একজন বিজেপি প্রার্থী টাকা নিয়ে ধরা পড়েছেন। রাজ্যের বিজেপির সভাপতির এক সহায়ক কোটি টাকা সহ ধরা পড়েছেন এবং স্বীকার করেছেন যে তা নির্বাচনের জন্যে খরচ হত। ওরা একের পর এক এরকম করে যাচ্ছে কিন্তু খোদ কমিশন ওদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে পারছে না।
বিজেপির নেতাদের প্রমাণ করতে হবে যে তৃণমূল কর্মীরা বিদ্যাসাগরের মূর্তি ভেঙ্গেছে। তা না পারলে তাদের শাস্তির মুখে পড়তে হবে। বাইরে থেকে গুন্ডা নিয়ে এসে সেদিন রাতে এসব করে গেল কিন্তু মোদীর মুখে একবারের জন্য এই নিয়ে কোনও কথা নেই।
ওরা বলেছে বাংলা কাঙাল হয়ে গেছে। সাহস কী করে হয়? শুধু নির্বাচনের সময় কোলকাতায় আসে আর ভাবে সব জেনে গেছি। ওরা মিথ্যে কথা বলে, ঝামেলা পাকায় তারপর কেটে পরে।
ওরা কেন্দ্রীয় বাহিনীকে ওদের কাজে ব্যবহার করে। বাহিনী ভোট কেন্দ্রে গিয়ে ওদের ভোট দিতে বলে। ওদের কথায় কান দেবেন না। ভয় পাবেন না। ঠিক লোককে ভোট দেবেন যে আপনার উন্নয়ন করবে ও উন্নতি চায়।
আমরা বামেদের ৩৪ বছর পর ক্ষমতা থেকে সরিয়েছি, এবার মোদীকে তাড়ানোর পালা। আমরা এবার তাই করব।
ওরা এত ভয় পেয়েছে যে নির্বাচন কমিশনকে বলেছে যে আজকে মোদীর সভা শেষ হলে প্রচার বন্ধ করে দিতে। কিন্তু এতে আমাদের কিছু যাবে আসবে না। আমরা যা কাজ করেছি তাতে আমি জানি যে আমরা জিতব।
মোদী আপনাদের জন্যে কিছুই করেনি এবং আগামীদিনেও করবে না। এর ‘আচ্ছে দিন’ এর প্রচার যে কত বড় ভাঁওতা ছিল তা বোঝা গেছে।
আমরা শান্তিপ্রিয় জাতি একে ওপরের সাথে থাকতে চাই। কিন্তু এই বিজেপি বদ্ধপরিকর যে এখানে সাম্প্রাদায়িক ভাগাভাগি করবে। ওরা নিজেদের লাভের খাতিরে সমাজে একটা বিভাজন আনতে চায়। ওদের থেকে সাবধানে থাকবেন।
তাই আপনাদের ওপর দায়িত্ব থাকল যে ওদের সরাতে হবে কারণ ওরা সব কেন্দ্রীয় সরকারী সংস্থাগুলীকে নিজেদের স্বার্থে ব্যবহার করছে। একের পর এক ওরা সব সাংবিধানিক সংস্থার ওপর হানা দিচ্ছে যা আমরা ভাবতেই পারতাম না। এভাবে চললে ওরা সংবিধানটাই বদলে দেবে আর এমন সব নীতি আনবে যা মানুষের সর্বনাশ ডেকে আনবে।
একজন মানুষ যিনি বলেন যে বাংলায় কোনও উন্নয়ন হয়নি, কোনও পুজো হয় না, উৎসব হয় না তার এই রাজ্যে তো বতেই দেশের কোথাও কোনও জায়গা নেই।
আমার কাছে রিপোর্ট আছে যে একের পর এক রাজ্যে হারছে তাহলে ওরা সংখ্যায় বেশি কী করে হবে?