জুলাই ৪, ২০১৯
আট বছরে মন্দির সংস্কারে রাজ্য সরকার খরচ করেছে ৩৫০ কোটি

গত আট বছরে তৃণমূল সরকারের জমানায় মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের প্রশাসন রাজ্যের বিভিন্ন হিন্দু মন্দির সংস্কার ও সংলগ্ন তীর্থস্থানের উন্নয়নে প্রায় ৩৫০ কোটি টাকার প্রকল্প হাতে নিয়েছে। স্বয়ং মুখ্যমন্ত্রীর হাতে থাকা তথ্য-সংস্কৃতি বিভাগ বিভিন্ন দপ্তরের কাছ থেকে তথ্য সংগ্রহ করে এই রিপোর্ট তৈরী করেছে। রাজ্য বিধানসভার চলতি অধিবেশনে তৃণমূল বিধায়কের এক প্রশ্নের জবাবে মুখ্যমন্ত্রীর দপ্তর লিখিতভাবে এই তথ্য জানিয়েছে।
তথ্য-সংস্কৃতি দপ্তরের রিপোর্টেই বলা হয়েছে, বাংলার প্রাচীন ও ঐতিহ্যবাহী মন্দির ও সংলগ্ন তীর্থস্থানের রক্ষণাবেক্ষণ এবং সামগ্রিক পরিকাঠামো উন্নয়নের জন্য রাজ্য সরকার গত কয়েক বছরে নিজস্ব বাজেট থেকে অন্তত ১৫৭টি প্রকল্প হাতে নিয়েছে। এই সব প্রকল্প খাতে খরচের পরিমাণ দাঁড়াবে ৩৪৭ কোটি ৪৮ লক্ষ টাকা। এর মধ্যে মাত্র সাতটি প্রকল্পে গত পাঁচ বছরে মাত্র ৫ কোটি ৯৬ লক্ষ টাকা কেন্দ্রীয় সরকারের কাছ থেকে পাওয়া গিয়েছে। জলপাইগুড়ির জল্পেশ ও জটিলেশ্বর মন্দিরের উন্নয়নের টাকা এসেছে ত্রয়োদশ অর্থ কমিশনের অনুদান বাবদ। এছাড়া পূর্ব মেদিনীপুরের ডিহি-বাহিরি’র জগন্নাথ মন্দির, পূর্ব বর্ধমানের মানকরের কয়েকটি মন্দির, বীরভূমের নানুরের শিবমন্দির, বাঁকুড়ার কোতুলপুরের দামোদর মন্দির, হুগলির গুড়াপের নন্দদুলাল মন্দির এবং ওই জেলারই বাকসার ১২ শিবমন্দিরের উন্নয়নে কেন্দ্রের এই টাকা ব্যয় করা হয়েছে বা হচ্ছে।
মন্দির ও সংলগ্ন তল্লাটের মেরামতি, সংস্কার, সৌন্দর্যায়ন ও রক্ষণাবেক্ষণের জন্যই এই টাকা ব্যয় করা হচ্ছে। এমনকী, সংলগ্ন রাস্তাঘাট ও জেটি সহ পরিকাঠামো উন্নয়নে সরকার নজর দিয়েছে। কলকাতার কালীঘাট ও দক্ষিণেশ্বর, হুগলির তারকেশ্বর, গঙ্গাসাগরের কপিলমুনির মন্দির, বীরভূমের তারাপীঠ ও কঙ্কালিতলা এবং জলপাইগুড়ির দেবী চৌধুরানির মতো বিখ্যাত হিন্দু মন্দির ও তীর্থস্থানগুলি সরকারের এই উন্নয়ন প্রকল্পের নকশায় রয়েছে।
সৌজন্যেঃ বর্তমান