জুলাই ১০, ২০১৯
গত আট বছরে রাজ্যের স্বাস্থ্য ক্ষেত্রে বাজেট বেড়েছে ১৪ গুণ

২০১১ সালে স্বাস্থ্য ক্ষেত্রে বাজেট বরাদ্দ ছিল ৬৮২ কোটি টাকা যেই বরাদ্দ চলতি অর্থবর্ষে বাড়িয়ে করা হয়েছে ৯৫৫২.৭ কোটি টাকা। তৃণমূল সরকারের একান্ত উদ্যোগেই এই বরাদ্দ বেড়েছে।
বিধানসভায় বাজেট পেশ করার সময় স্বাস্থ্য দপ্তরের প্রতিমন্ত্রী বলেন, মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের অধীনস্থ রাজ্য সরকারের আমলে স্বাস্থ্য ক্ষেত্রে সর্বস্তরে এ রাজ্যে হয়েছে এক অভূতপূর্ব পরিবর্তন। স্বাস্থ্য পরিষেবা ও চিকিৎসা শিক্ষাকে গত আট বছরে সমান গুরুত্ব দেওয়া হয়েছে রাজ্য সরকারের তরফে।
প্রতিমন্ত্রীর মতে, ২০১১-র তুলনায় এখন প্রতি সরকারি হাসপাতালে ডাক্তারের সংখ্যা দ্বিগুণেরও বেশী। ২০১১ সালে যেখানে সরকারি হাসপাতালে ডাক্তারের সংখ্যা ছিল ৪৫০০, বর্তমানে তা বেড়ে হয়েছে ১০,৯০০। পাশাপাশি ২০১১ সালে নার্সের সংখ্যা ছিল ৩৭,৩৬৬ যা বর্তমানে বেড়ে হয়েছে ৫২,৮২০। ৩৪ বছরের বাম শাসনকালে প্রায় কোনও ডাক্তার ও নার্স নিযুক্ত হননি রাজ্যে।
তিনি আরও বলেন, রাজ্য সরকার ৪২টি সুপার স্পেশ্যালিটি হাসপাতাল তৈরী করেছে সারা রাজ্যে। এবং সমীক্ষা করে খুঁজে নেওয়া হয়েছে প্রত্যন্ত স্থানগুলিকে। চিহ্নিত করা হয়েছে বিভিন্ন ভিত্তিতে। যেমন, কোন অঞ্চল দুর্ঘটনাপ্রবণ, কোথায় চোখের রোগ বেশী হয় ইত্যাদি। এবং সেই অনুযায়ী সেই অঞ্চলের হাসপাতালে সেই চিকিৎসায় বেশী জোর দেওয়া হয়েছে। ২০১১ সাল পর্যন্ত রাজ্যে ক্রিটিকাল কেয়ার ইউনিটের সংখ্যা ছিল মাত্র একটি যা বেড়ে হয়েছে ৪৪। এর সঙ্গে হাই ডিপেন্ডেন্সি ইউনিট যোগ করলে মোট সংখ্যা ৬৯।
বর্তমানে সুপার স্পেশ্যালিটি হাসপাতালে শয্যার সংখ্যা ১৩,৬০০ যার মধ্যে ১৩,০০০ শয্যায় রোগী ভর্তি থাকে যা প্রায় সমস্ত শয্যার প্রায় ৯১ শতাংশ। সারা রাজ্যে জেলা হাসপাতালে ডিজিটাল এক্সরে, সিটি স্ক্যান, ডায়ালিসিস, এমআরআই পরিকাঠামো তৈরী করা হয়েছে। জেলা হাসপাতাল থেকে শহরের হাসপাতালে রোগী পাঠানোর সংখ্যাও দ্রুত কমছে।