সাম্প্রতিক খবর

মে ৮, ২০১৯

ধর্ম আর রাজনীতি মেশানো উচিৎ নয়- হুড়াতে বললেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়

ধর্ম আর রাজনীতি মেশানো উচিৎ নয়- হুড়াতে বললেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়

আজ পুরুলিয়া লোকসভা কেন্দ্রের অন্তর্গত হুড়াতে একটি জনসভা করেন তৃণমূলনেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।

তিনি বলেন যে পুরুলিয়ার উন্নয়নের স্বার্থে সেখানে শান্তি বজায় রাখতে বদ্ধপরিকর তৃণমূল সরকার। বাংলার সংস্কৃতি বৈচিত্রের মধ্যে ঐক্য সুতরাং এখানে রাজনীতি আর ধর্মকে মিশিয়ে ফেলা উচিৎ নয়।

ওনার বক্তব্যের কিছু অংশ

রাজনীতি আর ধর্মকে কখনো মেশানো উচিৎ নয়। আপনারা হনুমানের বদলে মায়াংগুরু-র কাছে প্রার্থনা করেন কারণ সেটাই আপনাদের সংস্কৃতি। আপনাদের ওপরে কিছু চাপানো উচিৎ নয়।

আমি গত কয়েক দশক ধরে অনেক প্রধানমন্ত্রী দেখেছি কিন্তু এরকম মিথ্যেবাদী প্রধানমন্ত্রী দেখে নি। নরেন্দ্র মোদী একটা কাউন্সিলর হওয়ার যোগয় নয়।

এককালে জঙ্গলমহলে মাওবাদীদের দৌরাত্ব ছিল যার জন্যে আমার আদিবাসী ভাই-বোনেদের অনেক ভুগতে হয়েছে।

আমরা ক্ষমতায় আসার পরে নানা ক্ষেত্রে উন্নয়নের কাজ করেছি।আরও অনেক প্রকল্পের কাজ চলছে। আমরা মানুষের স্বার্থে নতুন স্কুল, ইন্ডাস্ট্রিয়াল পার্ক,পর্যটন প্রকল্প, খাবার জলের প্রকল্প, কৃষক ও স্ব-নির্ভর ক্ষেত্রে, এবং আরও অনেক প্রকল্পে কাজ করছি। পুরুলিয়ার চ্ছাড়া অঞ্চলে একটি বিমানবন্দর করার কথাও চলছে।

আমরা এই অঞ্চলের নানা ভাষা এবং সংস্কৃতির স্বীকৃতি দিয়েছি এবং উন্নয়ন বোর্ড তৈরি করে দিয়েছি। এ ছাড়া বাংলা হল একমাত্র রাজ্য যাতে তফসিলি জাতিদের জন্যে উপদেষ্টা পরিষদ করা হয়েছে।

আমাদের পাশের রাজ্যে যেমন ঝাড়খন্ডে আদিবাসীদের ভুল বুঝিয়ে সেখানকার বিজেপি সরকার জমি কিনে নিচ্ছে।

কেন্দ্রের বিজেপি সরকার আসলে এখানকার মাহাতোদের সাথে আদিবাসীদের ঝগড়া লাগাতে চাইছে ওদের তফসীলি জাতিভুক্ত করার কথা বলে। কিন্তু এই সরকার এদের জন্যে কিছুই করেনি। অন্য দিকে আমরা সবাইকে সমান ভাবে নিয়ে চলি।

আমরা এখান থেকে ২৬-এ জানুয়ারি প্রজাতন্ত্র দিবস উদযাপনে একটি ছৌ নাচের দল পাঠিয়েছিল। তারা সারা দেশে প্রথম স্থান ইধিকার করেছিল।

আমরা পুরুলিয়ার উন্নয়ন চাই। এই এলাকায় আবার অশান্তি আসুক, তা আমরা চাই না।

বিজেপি চায় সবাই ওদের কোনও প্রশণ না করে অনুসুরণ করে। কিন্তু সেটা হতে পারে না কারণ আমরা প্রত্যেক সমাজের সম্যান বজায় থাকুক তাই চাই।

বিজেপি শুধু টাকার কথা জানে; ভোট কিনতে জানে। আপনারা ওদের বাঁধা দিন

কেন্দ্র পুরুলিয়ার জন্য কিছুই করেনি। আর এখন প্রধানমন্ত্রী এসে ভোট চাইছে। ওদের কোনও লজ্জা নেই।

এই দেশে কেউ আর প্রধানমন্ত্রী কে বিশ্বাস করে না কারণ ওরা এত মিথ্যে কথা বলে। ‘গো-রক্ষা’-র নাম করে ওরা দেশ চালাতে চাইছে।

ওরা দাঙ্গা বাঁধিয়ে ক্ষমতায় আসতে চায়। কিন্তু ওরা জানে না মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় কি দিয়ে গড়া। আমি মানুষের কাছে ছেড়ে দেব ওদের জবাব দিতে, আর মানুষ ভালো মত ওদের জবাব দেবে।

ওদের শক্তির উৎস মানুষে-মানুষে দাঙ্গা বাঁধাতে আর আমাদের লক্ষ্য ‘একতাই সম্প্রীতি।