মে ১২, ২০১৯
মোদির মত প্রতিহিংসাপরায়ণ প্রধানমন্ত্রী দেখিনি: ক্যানিংয়ে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়

আজ জয়নগর লোকসভা কেন্দ্রের অন্তর্গত ক্যানিংয়ে একটি জনসভায় বক্তব্য রাখেন তৃণমূল নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।
এই জনসভায় তিনি বলেন যে কেন্দ্রের সরকারের পরিবর্তন জরুরি কারণ এরকম প্রতিহিংসাপরায়াণ প্রধানমন্ত্রী, যে কিনা দুর্যোধন বা দুঃশাসনের চেয়েও বেশি মিথ্যে বলে, এই দেশ আগে কখনও দেখেনি।
ওনার বক্তব্যের কিছু অংশঃ
আমাদের কেন্দ্রে সরকার বদলাতে হবে। আমি কখনও এরকম প্রতিহিংসাপরায়াণ প্রধানমন্ত্রী দেখিনি। উনি দুর্যোধন বা দুঃশাসনের চেয়েও বেশি মিথ্যে কথা বলেন।
এই প্রধানমন্ত্রী দেশের সমস্ত মানুষের জীবন, সমস্ত প্রতিষ্ঠান ধ্বংস করে দিয়েছে।
নোটবন্দীর ফলে যেখানে দেশের কৃষকদের ক্ষতি হয়েছে সেখানে বিজেপি নিজেদের দলের সম্পদ বাড়িয়ে নিয়েছে।
নরেন্দ্র মোদী কাউকে ১৫ লাখ টাকাও দেয়নি অথবা ১০ কোটি চাকরীর যে প্রতিশ্রুতি দিয়েছিল তাও দেয়নি। এমনকি আপনাদের ব্যাঙ্কে যা ছিল, বিজেপি তাও নিয়ে নিয়েছে। এটাই আসল নরেন্দ্র মোদী।
মোদী বারবার এখানে এসে বলে বাংলায় কিছু হয়নি। আমি ওনাকে অনুরোধ করব এখানে এসে আগে নিজে দেখু্ন তারপর বলুন এখানে আমরা কতটা উন্নয়ন করেছি।
ওরা বলে এখানে দুর্গা পুজো বা সরস্বতী পুজো হয় না। আপনারাই জানেন এই কথা কতটা মিথ্যা। নরেন্দ্র মোদী যদি নিজের কথা প্রমাণ দিতে না পারেন তাহলে বলব কান ধরে উঠবস করতে আর তাঁর সাগ্রেদদের বলব ৫০০ বার তাই করতে।
ওরা দেশের ইতিহাস পালটে দেওয়ার চেষ্টা করছে। ওরা যদি আবার ক্ষমতায় আসে তাহলে যেটুকু বেঁচে আছে তাও পালটে ফেলতে চেষ্টা করবে।
ওরা কেন্দ্রীয় সংস্থা, কেন্দ্রীয় বাহিনী দিয়ে লোককে ভয় দেখানোর চেষ্টা করছে।
ওরা গো-রক্ষার নামে মানুষ মারছে, অসম থেকে বাঙালি তাড়াচ্ছে, রাজস্থান, মহারাষ্ট্র থেকে বিহারিদের তাড়াচ্ছে আর বলছে এখানে এনআরসি আনবে। আমরা কখনই তা হতে দেব না।
ওরা ভাবছে টাকা দিয়ে ভোট কিনবে। আপনারা কি তা হতে দেবেন? আর ওদের টাকাও তো সাধারণ মানুষের থেকে লুঠের টাকা।
‘আচ্ছে দিনের’ নাম করে কর্মসংস্থান কেড়ে নিয়েছে, মানুষের টাকা কেড়ে নিয়েছে, রান্নার গ্যাস আর জ্বালানীর দাম বাড়িয়েছে আর কত না খারাপ কাজ করেছে।
আমি অনেকদিন ধরে ওদের সাথে লড়ে আসছি, কখনও একা লড়েছি। কিন্তু আমি কখনও পিছু হঠব না। আমার শেষ ক্ষমতা অবধি আমি লড়াই চালিয়ে যাব।