সাম্প্রতিক খবর

মে ১৬, ২০১৯

মোদীর কথায় কেন বাংলাকে অপমান করল নির্বাচন কমিশন? সাংবাদিক সম্মেলনে প্রশ্ন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের

মোদীর কথায় কেন বাংলাকে অপমান করল নির্বাচন কমিশন? সাংবাদিক সম্মেলনে প্রশ্ন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের

গতকাল সন্ধ্যার নির্বাচন কমিশনের আদেশের প্রতিক্রিয়ায় তৃণমূল নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় আজ সংবাদ মাধ্যমকে বলেন, একদিন আগে প্রচার বন্ধ করা মোদী ও বিজেপির সিদ্ধান্ত। আমাদের কিচ্ছু জানানো হয়নি।

তাঁর বক্তব্যের কিছু অংশঃ

বিদ্যাসাগরের মূর্তি ভেঙ্গে ওরা বাংলাকে আর বাংলার মনিষীদের ওরা অপমান আর অসম্মান করেছে তারপরেও কেন নির্বাচন কমিশন অমিত শাহকে বরখাস্ত করল না? তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিল না? তাকে শো কজ কর না? কেন ওরা আজই প্রচার বন্ধ করল না? কাল মোদীর সভা আছে, তাই?

একটা এমারজেন্সি পরিস্থিতি হয়েছে তাই আপনাদের সকলকে ডাকতে বাধ্য হয়েছি, আমি সেজন্য খুব দুঃখিত। আমি মনে করি না এটা নির্বাচন কমিশনের ডিরেকশন। এটা বিজপি দলের ডিরেকশন – মোদী অমিত শাহর ডিরেকশন।

এবারের নির্বাচনে নির্বাচন কমিশন রাজ্য পুলিশকে অন্ধকারে রেখে সেন্ট্রাল পুলিশ দিয়ে নির্বাচন করাচ্ছে। এমনকি retired রা বিশেষ পর্যবেক্ষক হয়েছে, যাদের কোন এক্তিয়ার নেই, এটাও বেআইনি। আমরা প্রথম থেকে সব কিছু রেকর্ডে রেখেছি

গতকাল অমিত শাহ এসে একটা মিটিং করে নিজে গণ্ডগোল করে কলকাতাকে দাঙ্গা করার মুডে নিয়ে এসেছিলেন। বিজেপির সভাপতি হামলা করালো, শুধু তাই নয় যে বিদ্যাসাগরের নাম শুনে আমরা অ আ ক খ শিখি তার মূর্তি ভেঙ্গেছে। আজ মোদী বাবুতো কলকাতায় সভা করতে এসেছেন, একবার সেই কারনে উনি দুঃখ প্রকাশ করেছেন?

আজ তো আমাদেরও মিছিল ছিল। আমাকে তো বাইরে থেকে লোক আনতে হয়নি গাড়ি ভাড়া করে, বাংলার মানুষ আমাদের সমর্থন দিয়েছে। মানুষ এই ঘটনা খুব সিরিয়াসলি নিয়েছে, বাংলার মানুষ এসব বরদাস্ত করবে না

অন্যায় করল অমিত শাহ আর বিজেপির গুন্ডারা, সব ভিডিও সব সাংবাদিকদের দেখানো হয়েছে। সাংবাদিকরা আমাদের কেনা নয়। সবাই বিস্তারিত বর্ণনা দিয়েছে।

অমিত শাহ আর তার গুণ্ডাদের বিরুদ্ধে নির্বাচন কমিশনে আয়কশন নেওয়া উচিত ছিল। এই মিছিলে সং পর্যন্ত সাজানো হয়েছিল। বাইরে থেকে ওরা গুন্ডা এনেছিল যারা গেরুয়া পশাক পরে মাথায় গেরুয়া ফেট্টি বেঁধে বিদ্যাসাগর কলেজে ঢুকে ছাত্রছাত্রীদের মেরেছে, বিদ্যাসাগরের মূর্তি ভেঙেছে। পুরো কলকাতাকে কাল দাঙ্গার পর্যায়ে নিয়ে গেছে, যা আমরা কখনো দেখিনি। বাবারি মসজিদ ধ্বংসের সময়ও এরকম ভয়াবহ রূপ দেখিনি। আমরা অনেক কষ্টে মানুষকে শান্ত রেখেছি। সব বুদ্ধিজীবিরা প্রতিবাদ করেছেন এই ঘটনার

অমিত শাহ আজ সকালে সাংবাদিক বৈঠক করে নির্বাচন কমিশনকে হুমকি দিয়েছে এতা তারই ফল? অমিত শাহ নির্বাচন কমিশনকে হুমকি দিয়েছে বলে তারা তাদের ইচ্ছেমত নির্দেশ দেবে? এটা বাংলা, উত্তরপ্রদেশ-বিহার–ত্রিপুরা বা জম্মু কাশ্মীর নয়

এতদিন ধরে প্রচার হচ্ছে, আমরা এত মিটিং মিছিল করেছি এক্তাও একরকম ঘটনা ঘটেছে? যে কয়েকটা জায়গায় violence হয়েছে সেটাও কেন্দ্রীয় বাহিনী করেছে। রাজ্য পুলিশের হাতে থাকলে এসব হত না।

কোন রাজ্যে কটা কেন্দ্রীয় বাহিনী পাথিয়েছে? বাংলাকে কেন টার্গেট করেছে? কারণ, মোদী জানে আমি তাকে চ্যালেঞ্জ করছি। আমি মোদীর বিরুদ্ধে প্রতিবাদ করছি, কথা বলছি। ওদের প্রত্যেকটা বিষয়ে আমরা প্রতিবাদ করছি। ওরা বাংলাকে ভয় পাচ্ছে আমাকে ভয় পাচ্ছে বলে

আজ ও বলেছেন উনি কত সিট পাবেন, কোন পাগল না হলে কেউ একথা বলে না, উনি কি করে জানলেন? এভিএম মেশিন ট্যাপ করেছেন? নাকি ভাবছে গায়ের জোরে নির্বাচন কমিশনকে দিয়ে সব করিয়ে বনেবেন?

আমি নির্বাচন কমিশনকে সম্মান করি, একটার পর একটা ঘটনা ঘটেছে আমি কোন কথা বলিনি। কাল অমিত শাহর মিছিল যেভাবে করা হয়েছে সেখানে নির্বাচন কমিশন চিঠি দিয়ে সব কিছু organize অরে দিয়েছিল। কলকাতা পুলিশের কাছে চিঠি আছে

রাজীব কুমারের ওপর এত রাগ কেন? হাওলা ধরছে বলে? মুকুল রায় আর বিজেপির কিছু নেতার টাকা ধরছে বলে? হেমন্ত বিশ্ব শর্মা যিনি সারদার টাকা নিয়েছেন এখানে হোটেলে বসে আছে, সেই কেসগুলো জন্য ভয় পাচ্ছে?

নির্বাচন কমিশনের এখানে কি কাজ? আই পি এস, আই এস রাজ্য পুলিশের। বিজেপি যা বলছে নির্বাচন কমিশন তাই করছে, এরকম নির্বাচন কমিশন আমি জীবনে দেখিনি, আমার এই কথার জন্য ওনারা আমায় শো কজ করতে পারেন, আমি রাজি আছি। কিন্তু আমার ভয়েস স্তব্দ করা জানবে না। এটা unprecedented decision. এখানে ৩২৪ করতে পারে না কারণ এখানে law and order problem নেই

কালকের মিছিলের যে violence হয়েছে তা অমিত শাহর জন্য। আপনারা দেখেছেন ওদের লোকেরা ফাটাফাটি গ্রুপ করে কি বলেছে এবং সকলের কাছে প্রমান আছে গেরুয়া পরে কিভাবে ভাঙচুর করেছে

যারা দোষ করল তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিল না। উপরন্তু মোদীর কথায় কেন বাংলাকে অপমান করল নির্বাচন কমিশন?

নরেন্দ্র মোদী কি ভাবছে বিদ্যাসাগরের মূর্তি ভাঙার ঘটনা তা সেন্তিমেন্তাল বলে এই সিদ্ধান্ত নিলেন? আর নির্বাচন কমিশনের যদি এতই চিন্তা যে মিছিল করলে গণ্ডগোল হচ্ছে তারপরেও কেন ব্যবস্থা নিলেন না?

নরেন্দ্র মোদীর যখন প্রচার বন্ধ হয়ে যাবে তখন সবার প্রচার বন্ধ! এটা গণতান্ত্রিক সিদ্ধান্ত? এটা অসাংবিধানিক আনএথিকাল, politically biased decision. সব আর এস এস এর লোক এই কমিশনে রয়েছে। যতগুলো অভিযোগ করা হয়েছে কমিশন একটাও পদক্ষেপ নেয়নি কমিশন

মালদা দক্ষিণের প্রার্থীর স্বামী আবসরপ্রাপ্ত অফিসার বাংলায় কেন্দ্রীয় বাহিনী deploy korche. তারা ভোটের লাইনে গিয়ে বলছে বিজেপিকে ভোট দিতে। মানুষকে মারছে, বুথে গিয়ে গুলি চালাচ্ছে। নির্বাচন কমিশন কি ভাবছেন, এভাবে উনি বিজেপিকে জেতাতে পারবেন?

বাংলাকে অপমান করলে আমরা ছাড়ব না। বাংলার মানুষ এর জবাব দেবে। বাংলার আত্মমর্যাদা আছে, তাকে আঘাত করলে আমরা ছাড়ব না। বিদ্যাসাগরের মূর্তি যারা ভাঙল তাদের নির্বাচন কমিশন পুরস্কৃত করলেন? কথায় আছি আমরা? এরা গন্তন্ত্রেতর পিলার? সুপ্রিম কোর্ট বলেছে নির্বাচন কমিশনই নাকি শেষ কথা তাহলে ,আমরা সাধারন মানুষ কথায় যাব যদি আমাদের ওপর অবিচার হয়?

নরেন্দ্র মোদী যেভাবে বলেছে, ওনার প্রোগ্রাম মত নির্বাচন কমিশন ফেজ বাই ফেজ নির্বাচনের তারিখ ঠিক করেছে

কলকাতার পুলিশ কমিশনারকে কেন বদলি করা হল? বিধাননগরের সিপি-কে চেঞ্জ করেছে, সব কিছু ‘গদ্দার’-এর কথায়? ডায়মন্ড হারবারে সিপি বদল হয়েছে ওখানে অভিষেক প্রার্থী আছে বলে, বীজপুরে বদল হয়েছে ওখানে গদ্দারের ছেলে আছে বলে, সব ঘটনা মিলিয়ে নিন

আপনি আমার সাথে রাজনইতিকভাবে লড়াই করতে পারবেন না। আপনি হেরে গেছেন। উত্তরপ্রদেশ, মহারাশ্ত্র, বিহার কেউ ভোট দেবে না, দিল্লিতেও রিগিং হয়েছে সেইসব ভিডিও ভাইরাল হয়ে গেছে, অন্যান্য রাজ্যে কত বাহিনী পাথিয়েছেন?

নরেন্দ্র মোদী বাংলার মানুষকে চেনে না। আপনি নিজের স্ত্রীর খেয়াল রাখতে পারেন না, দেশের খেয়াল কি করে রাখবেন?

অমিত শাহ goon leader. আপনি আগে বলুন আপনার ছেলের এত টাকা কোথা থেকে এল?

সবাইকে খারাপ কথা বলছেন উনি – রাহুল, সোনিয়া, প্রিয়াঙ্কা, মায়াবতি, কেজরিওয়াল, আমাকে সবাইকে বলেছেন। যারা কেজরিওয়ালকে চড় মেরেছিল তারা গতকাল কলকাতার সভাতেও ছিল।ওরা উত্তরপ্রদেশ, রাজস্থান থেকে গুন্ডা এনে কলকাতায় মিছিল করছে

কত খরচ হয় মোদী বাবুর মিটিং এ? অমিত শাহ কাল যে র‍্যালি করেছে, তাতে কম করে ১৫ থেকে ২০ কোটি টাকা খরচ করেছে। আমি নির্বাচন কমিশনকে জিজ্ঞেস করতে চাই, আপনাদের নির্বাচন কমিশনের যে খরচের সীমা আছে, নরেন্দ্র মোদী অমিত শাহ যে খরচ করেছে, আপনারা কেন ওনাদের বিরুদ্ধে কোনও ব্যবস্থা নিচ্ছেন না? নরেন্দ্র মোদীকে শো কস করছেন না কেন? অমিত শাহকে শো কস করছেন না কেন? শুধু আমাদের করতে পারেন। বিজেপি আপনাদের যা বলে, আপনারা সেই কাজ করেন। আমি আপনাদের সম্মান করি। আপনাদেরও বাকিদের সম্মান জানানো উচিৎ। দেশে বিরোধীদেরও জায়গা আছে। আপনি আমাদের সম্মান না দিলে, আমাকে দিতে হবে না, আমার বিরুদ্ধে যে কোনও ব্যবস্থা নিন, কি করবেন আমাকে? জেলে পাঠাবেন? শো কস করবেন? আপনাদের হাতে আইন আছে, আমিও সব কিছু রেকর্ড করে রেখেছি, আমার কাছেও আইন আছে।

আমি এখনই প্রাক্তন নির্বাচন কমিশনের সঙ্গে কথা বললাম, এরকম কেন হল? উনি বললেন, আমি জানি না এরকম কেন করল? এরকম তো কখনও হয়না।

আরও একটি বিষয়, ১৭ তারিখ সন্ধ্যে ৬টা পর্যন্ত মানুষের প্রার্থীদের সঙ্গে দেখা করার ঠিক ছিল। প্রার্থীদের শেষ প্রচারের সময় ছিল। আপনি কিকরে বঞ্চিত করতে পারেন? বিজেপির প্রচার শেষ হয়ে গেছে, মানে সবার হয়ে গেছে? আপনি কেন এটা করলেন? এসব করে কিছু হবে না। বাংলার মানুষ এতে রেগে গেছে। বাংলা ও দেশের মানুষ এর জবাব দেবে। নরেন্দ্র মোদী আমাকে যে অপমান করল, অসম্মান করল, উনি যে কথা বলেন তার প্রতিবাদ করি বলে, আমার কথা বলার সুযোগও নেই? আমি ভাষণও দিতে পারব না? প্রেসের স্বাধীনতাও নেই? কারোর বলার অধিকার নেই? দেশে এরকম চলবে? বিজেপিকে এক্যতাও ভোট দেবেন না। সকলকে অনুরোধ বিজেপিকে দয়া করে কেউ ভোট দেবেন না। ভোটের মাধ্যমে মোদীকে দেশ থেকে তাড়াও।

বাংলায় যা করেছে, আমরা ভোটের বাক্সে বদলা নেব। আমি জনগণকে অনুরোধ করব বিজেপি বাংলাকে কলঙ্কিত করেছে। বিদ্যাসাগরের মূর্তি ভাঙার পর নরেন্দ্র মোদী আর অমিত শাহকে পুরষ্কার দিয়েছে নির্বাচন কমিশন।

বাংলার সমস্ত মানুষকে বলব, যারা পারবেন, কাল প্রতিবাদ করে মোমবাতি মিছিল, কালো পতাকা নিয়ে মিছিল করুন বিজেপির বিরুদ্ধে ও নির্বাচন কমিশনের এই জঘন্য ষড়যন্ত্রের বিরুদ্ধে।

বিজেপি কাল যেটা করেছিল, সেটা পূর্বপরিকল্পিত, প্ল্যান্টেড ক্রিমিনাল গেম, প্ল্যান্টেড ক্রিমিনাল কন্সপিরেসি এবং কম্যুনাল কন্সপিরেসি। আমরা এখানে মাথানত করছিনা। আমি কীছূ প্রোগ্রাম রিশিডিউল করেছি। বিজেপি ভাবে ওরা খুব চালাক আর আমরা খুব বোকা। কিন্তু, তা নয়। আমার পরশুদিন মথুরাপুরে একটা প্রোগ্রাম ছিল, কারণ, নরেন্দ্র মোদী কাল যাচ্ছে, সেই জন্য এসব করেছে। লোক থাকুক বা না থাকুক আমি মথুরাপুরের অনুষ্ঠান আজ রাতের মধ্যে আয়োজন করার চেষ্টা করব, হয়ত আমি প্যান্ডেলও করতে পারব না, কিন্তু, কাল যাব। আমি মথুরাপুরের মিটিং কাল ১টায় করব। ওনার প্রোগ্রাম সন্ধ্যে ৬টায়। আর ডায়মন্ড হারবারে কাল ১টা মিটিং আছে যেটা উনি আজ করে এসছে, সেখানে আরেকটু দূরে আমার একটা মিটিং আছে, সেটা করব। তারপর আমি বেহালায় আসব। আমি ৪তে থেকে ৫টা বেহালায় র‍্যালি করব। করে আমার দক্ষিণের যে র‍্যালি পরশু করার কথা ছিল, সুকান্ত সেতু থেকে ঢাকুরিয়া ব্রীজ আবার বালিগঞ্জ ফাঁড়ি থেকে ল্যান্সডাউন পদ্মপুকুর হয়ে চক্রবেড়িয়া হয়ে হরিশ মুখার্জী রোড হয়ে, আমার যা রুট ছিল, সেই রুটই থাকবে, শুধু পরশুর বদলে কাল হবে। আমি এই তারিখের অনুমতি করিয়ে নিয়েছি। আমার হয়ত কষ্ট হবে, মানুষেরও কষ্ট হবে, তিনমাস ধরে তো অনেক কষ্ট দিয়েছে, না হয় আরেকটু কষ্ট করলাম। যদি বেঁচে থাকি, তাহলে দেখবেন এর উত্তর মানুষ দেবেই।

আমি এত অসম্মানিত জীবনে কখনও হইনি। আর যদি কেউ মনে করে মাত্র ২৩ তারিখ পর্যন্ত এক্সপায়ারি প্রাইম মিনিস্টার গায়ের জোরে এখনও এজেন্সি চালাবে, কেন বলতে পারেন?

আপনারা পেয়েছেন ভিডিওটা? ওদের স্টেট প্রেসিডেন্ট ঘুরে বেড়াচ্ছে তার সাথে সিএপিএফের ড্রেস পরে ঘুরে বেড়াচ্ছে পেয়েছেন? আশা করি পেয়েছেন। না পেলে জিজ্ঞেস করুন আপানাদের অনেক বন্ধুবান্ধব পেয়েছে। বলেছিলাম না, ঢুকিয়ে দিয়েছে। কেন দিলীপ ঘোষ ঘুরছে, তার সাথে সোনকার বলে একটা লোক তার নামও আমরা খুঁজে পেয়েছি সিএপিএফের ড্রেস পরে ঘুরছে? একটা কোথাও ভুল বলিনি বন্ধু।

আর হোম সেক্রেটারি কি অন্যায় করেছে? একটা চিঠি দিয়েছে যে তোমরা যে শুধু কেন্দ্রীয় বাহিনী দিয়ে কাজটা করাচ্ছ, একটা যদি এলাকায় প্রোগ্রাম হয়, সেন্ট্রাল ফোর্স তো এলাকা চেনে না। রাজ্য পুলিশকে সাথে নিয়ে করতে হয়। আইন শৃঙ্খলা রাজ্যের বিষয়। তুমি আইন শ্রিঙ্খলায় এমন ভাবে নাক গলাচ্ছো যেন এখানে রাষ্ট্রপতি শাসন জারি করে ফেলেছ। পুরো দেশে জরুরী অবস্থা হয়েছে, ফ্যাসিস্ট কায়দায় জরুরী অবস্থা করে ভোট করছ? তাতেও কোনও লাভ হবে না মিস্টার নির্বাচন কমিশন। এটা বলে আমি দুঃখিত। আমি তোমাদের আঘাত করতে চাইনি। আমি কখনও ভাবিনি আমাকে কখনও এসব বলতে হবে।

আজ সকালেও আমি নির্বাচন কমিশনকে কিছু ভিউ জানিয়েছি যাতে কোনও সমস্যা না হয়। আমি ক্লিপিং দিয়েও বলেছি কীভাবে বিজেপির গুন্ডারা কীভাবে এসব করেছে। তারপর নির্বাচন কমিশন রাজ্য সরকারের সঙ্গে কোনও আলোচনা করেনি। বিজেপি যা বলল, ওরা তাই করল? অফিসার, ডিএম, এসপি। আপনাদের সিইও সুদীপ জৈন সব ডিএম, এসপিকে ভয় দেখাচ্ছে এই বলে আপনাদের রেকর্ড খারাপ করে দেব, আপান্দের দেখে নেব। আইন শৃঙ্খলা আপানাদের হাতে কিন্তু, নির্বাচিত সরকার আছে। আপনি নির্বাচিত সরকারকে সরিয়ে দিতে পারেননা। নির্বাচন কমিশন, আমার উচিৎ না আপানাকে খারাপ মানুষ বলা, কিন্তু, আপনাদের সঙ্গে আরও দুজন ভালো মানুষকে নিয়োগ করা হয়েছে।

আমরা সমস্ত কেস জানি। বিবেক দুবে এখানে নিয়োজিত, আমরা কি ঘটনা জানি না? আমরা কি মুখ খুলব? ওনার অধীনে একজন কন্সটেবল কাজ করছিল, সে আত্মহত্যা করে এবং অনেক এনজিও এর বিরুদ্ধে প্রতিবাদ করে, মানবাধিকার কমিশনও প্রতিবাদ করে, কিন্তু, আপনারা তাদের মুখ বন্ধ করে দেন। কিন্তু, মনে রাখবেন কাল আমরা মুখ খুলতে পারি। ভাববেন না যে আমরা কিছু জানিনা। আমরা আমাদের দরকারি তথ্য পাই, আপনাদের খবরও পাই। আজকের দিনে সোশ্যাল নেটওয়ার্ক, আমি যুবদের জিজ্ঞেস করলে আমাদের কিছু ব্রোসিয়ার দিন এই লোকটির ব্যাপারে, সব জানা যায়।

কাল বিজেপি যা করেছে, সব কিছুর ক্লিপিংস আমাদের সাধারণ মানুষ পাঠিয়েছে। অনেক সময় এটা মিডিয়া নয়, সাধারণ মানুষ আমাদের পাঠিয়েছে, আপনারাও পেয়েছেন। আপনারা তার পর নির্বাচন কমিশনকে প্রশ্ন করতে পারেন না? আপনারা এতো সন্ত্রস্ত কেন? আমি অনুরোধ করব, যদি শাসন ব্যবস্থা ভয় পায়, নির্বাচন কমিশন চাপে থাকে, মিডিয়া চাপে থাকে, মানুষ কোথায় বিচার পাবে? গণতন্ত্র কোথায় যাবে? আমাদের কোনও সমস্যা নেই। আপনারা ৩২৪ প্রয়োগ করেছে, মানুষ ৩৫৬ প্রয়োগ করবে। মানুষ বিজেপির বিরুদ্ধে ১৪৪ প্রয়োগ করবে। মানুষ আপনাদের উপযুক্ত জবাব দেবে। নির্বাচন কমিশন যাই চেষ্টা করুন, যদি ইভিএম ট্যাম্পারিং হয়, আমাদের কাছে সব রেকর্ড আছে, একটা সম্ভাবনা আছে, আপনারা কিছু করেনি। ২৩টি রাজনৈতিক দল, আমাদের রেকর্ডেড ভয়েস আছে। আমরা সুপ্রীম কোর্টেও গেছি।

যে যে বিষয়ে আপনারা অন্যায় করেছেন, আমি সবের রেকর্ড রেখেছি। এখন আমি মানুষের জন্য লড়ছি। তাই, সুপ্রীম কোর্ট যাচ্ছি না। কারণ, আমি মানুষকেই সর্বোচ্চ মনে করি। আমরা জনগণের রায় পাব। অপেক্ষা করুন আর ভোটের ফল দেখুন। আপনারা তখন দেখবেন আপনাদের প্রিসিডেন্ট ২১ এর নির্বাচনের জন্য, তার আগেই জবাব পাবেন। দুঃখিত নির্বাচন কমিশন মহাশয় আমাকে ক্ষমা করবেন এসব বলার জন্য। আপনাদের প্রতিহিংসার জন্য এসব বলেছি এবং আপনাদের অনুচিত সিদ্ধান্তের জন্য।

নির্মলা সিতারমন গতকাল আপনাদের সঙ্গে দেখা করে বলেছেন মুখ্যমন্ত্রীর প্রচার বন্ধ করে দিন, বলেছিল না বলেনি? তাই, আমাদের কাছে সব প্রিসিডেন্ট আছে। আপনারা বিজেপির চাপে কাজ করছেন। ৯ তার পর আমি আপনাদের ডেকেছি। কিন্তু, এ ছাড়া আর উপায় ছিল না। মানুষের জানা উচিৎ। আমি ২৩টি রাজনৈতিক দলকে বলব এবং বিজেপির সঙ্গীদেরও বলব এর প্রতিবাদ করুন। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় একা নন। আমি সারা জীবন লড়াই করেছি। উনি আমার সঙ্গে লড়াই করতে পারেন না। উনি সিএপিএফ আর নির্বাচন কমিশনকে দিয়ে আমাদের বিরুদ্ধে লড়ছেন। মোদী বাবু আপনি মোড় দ্যান ফ্যাসিস্ট। আমাকে যদি কেউ জিজ্ঞেস করে কে আপনার প্রধানমন্ত্রী? আমি বলব আমি জানি না। আপনার নাম করতেও আমার লজ্জা হয়। মোদী দেশের লজ্জা। বিজেপি দল দেশের লজ্জা।