সাম্প্রতিক খবর

মে ১১, ২০১৯

নির্বাচন কমিশন যেন সবার গাড়ী, এমনকি সব মন্ত্রীদের গাড়ীও তল্লাসি করে: হাসনাবাদে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়

নির্বাচন কমিশন যেন সবার গাড়ী, এমনকি সব মন্ত্রীদের গাড়ীও তল্লাসি করে: হাসনাবাদে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়

আজ উত্তর ২৪ পরগণার হাসনাবাদে তৃণমূলনেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় একটি সভায় বক্তব্য রাখেন। হাসনাবাদ বসিরহাট লোকসভা কেন্দ্রের অন্তর্গত। সেখানে তিনি বলেন, যেহেতু বিজেপি-র নেতারা বারবার গাড়ীতে করে টাকা পাচার করতে গিয়ে ধরা পড়ছেন সেইজন্যে কমিশন যেন সবার গাড়ি তল্লাশি করেন, মন্ত্রীদেরও যেন রেয়াত না করা হয়।  

ওনার বক্তব্যের কিছু অংশ:

আমি হাসনাবাদের মানুষকে বলব যে বহিরাগতদের থেকে সাবধানে থাকুন। আরএসএস-এর লোকেরা এসে টাকা দিয়ে ভোট কিনতে চাইবে। সীমান্তে নজর রাখুন। বিজেপি যেন তেন ভাবে নিরাপত্তার আড়ালে থেকে নিজেদের গাড়ীতে করে টাকা নিয়ে ঘুরে বেড়াচ্ছে।   

আমি নির্বাচন কমিশনকে অনুরোধ করব, তারা যেন আমার গাড়ী ও হেলিকপ্টার তল্লাসি করে। কিন্তু তাঁর সাথে যেন সমস্ত মন্ত্রীদের গাড়ীও যেন তল্লাসি করে, তাদের বাদ দিলে চলবে না। দেখবেন যেন একটাও টাকা যেন বাইরে থেকে না ঢোকে, বহিরাগতরা না ঢোকে এবং গণতান্ত্রিক ভাবে ভোট হয়।

এটা পঞ্চায়েত বা বিধানসভার নির্বাচন নয়। এই নির্বাচনে কেন্দ্রে সরকার গঠন হবে।গত পাঁচ বছরে মোদী কি করেছে? শুধু ভোটের সময় এসেছে কিন্তু উচ্চারণও করেনি কি করেছে। টিভিতে ইন্টারভিউ দিলে প্রশ্ন এড়িয়ে যায়। আমি ওকে টিভিতে একটা ডিবেট করতে চ্যালেঞ্জ করেছি।   

উনি বাংলায় এতবার কেন আসছেন জানেন? বাংলা ভাগ করতে চায় ওরা; তাই ব্যাগভর্তি টাকা এনে বিলোচ্ছে। ওই ফাঁদে পা দেবেন না।  

মোদীর সরকার গত পাঁচ বছরে কি করেছে? ওর নোটবন্দী আর অন্যান্য ভুলভাল নীতির জন্যে লক্ষ-লক্ষ মানুষ জীবিকা খুইয়েছে। কৃষকরা আত্মহত্যা করেছে।   

আসামে ওরা ২২ লাখ হিন্দু বাঙালির নাম NRC থেকে বাদ দিয়েছে। এরকম আরও হবে। এক রাজ্যের মানুষ অন্য রাজ্যে গিয়ে কাজ করলে ওরা তাড়িয়ে দিচ্ছে, খুন করছে, মানুষ ভয় পেয়ে যাচ্ছে।

এখানে এসে বলছে রাজ্যকে নাকি হাজার-হাজার কোটি টাকা দিচ্ছে। নিজের পকেট থেকে দিচ্ছে? আমাদের কাছ থেকে প্রচুর টাকা ওরা ট্যাক্স দেখিয়ে কেটে নিচ্ছে আর কেন্দ্রীয় প্রকল্পে নিজেদের বরাদ্দ কমিয়ে দিচ্ছে। কিছু প্রকল্পের টাকা তো বন্ধই করে দিয়েছে।

আমরা ওকে আর ওর সাইনবোর্ড মার্কা সঙ্গীকে ভয় পাই না। আসলে ওরাই এখন ভয় পেয়েছে যখন বুঝতে পারছে যে ওদের যাওয়ার সময় এসে গেছে।

এখানে এসে বলে যে আমি নাকি বাংলায় দুর্গাপুজো বন্ধ করে দিয়েছি। কী মা-বনেরা আপনারা কি দুর্গাপুজো, সরস্বতী পুজো করেন না? বা অন্য কোনও উৎসবে অংশ নেন না? বাংলার সম্মন্ধে কিছুই জানে না, জীবনে সুন্দরবনে এসেছে, এখানকার গ্রাম দেখেছে?   

আর তারপর বলেছে আমি নাকি বলেছি ওকে চড় মারব। আমাদের দেশ জানে না, আমাদের ভাষা বোঝে না। আমি বলেছি যে গণতন্ত্রের চড় মারব, মানুষের ভোট দিয়ে।