সাম্প্রতিক খবর

মে ১৪, ২০১৯

কেন্দ্রীয় বাহিনী ও টাকার জোরে মোদী নির্বাচন জিততে পারবেন না: যাদবপুরে বললেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়

কেন্দ্রীয় বাহিনী ও টাকার জোরে মোদী নির্বাচন জিততে পারবেন না: যাদবপুরে বললেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়

আজ যাদবপুর লোকসভা কেন্দ্রের অন্তর্গত বারো ভূতের মাঠে এক নির্বাচনী সভা করেন তৃণমূল নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তিনি বলেন, আমি কখনও দেখিনি নির্বাচনে এতো টাকা খরচ হতে। তিনি এও বলেন, কলকাতায় কোটি কোটি টাকা উড়ছে হাওলার মাধ্যমে দিল্লীর নির্দেশে।

তাঁর বক্তব্যের কিছু অংশঃ

এই প্রথম একটা নির্বাচন যেটা তিনমাস ধরে করতে হচ্ছে, এর আগে কখনও এরকম করতে হয়নি। খেলার ছলে বিজেপি যেরম ভাবে সাজিয়ে দিয়েছে, সেভাবে নির্বাচন হচ্ছে।

সব জায়গায় হারবে তাই বিজেপি চাইছে বাংলায় একটু হিন্দু মুসলমান সুড়সুড়ি দিয়ে, টাকা দিয়ে আসন পেতে।

আমি কখনও দেখিনি নির্বাচনে এত টাকা খরচ হতে। আমার লজ্জা করছে আমাদের হাত থেকে সমস্ত আইন শৃঙ্খলা কেড়ে নিয়েছে। পুলিশ কমিশনার পালটে দিয়েছে। কলকাতায় কোটি কোটি টাকা উড়ছে হাওলার মাধ্যমে দিল্লীর নির্দেশে। পাঁচ হাজার টাকা করে দিয়ে ভোট কিনছে।

প্রতিবাদ করার তিনটে জায়গা থাকে, শাসন ব্যবস্থা, সংবিধান, মিডিয়া। সব জায়গা বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। আমি ভয় পাই না, তাই, নির্বাচন কমিশনকে জানিয়েছি তোমরা কি করছ এত টাকা উড়ছে?

বিমানবন্দর, হেলিপ্যাডের আশপাশের অঞ্চলের পুলিশ কমিশনার বদলানো হয়েছে। কেন্দ্রীয় বাহিনীর গাড়িতে করে টাকা যাচ্ছে। চুনোপুঁটি নেতাদের সঙ্গে দিল্লীর কমান্ডো ঘুরছে। এই ভাবে ত্রিপুরা কিনেছিল, কিন্তু, বাংলা কেনা যাবে না টাকা দিয়ে। যে যে টাকা নিয়েছেন, তাকে ঠিক ধরা হবে।

কেন্দ্রীয় বাহিনীর ক্ষমতা নেই গুলি, লাঠি চালানোর। লাইনে দাঁড়িয়ে কেন বলবে বিজেপিকে ভোট দিতে?

অনেক জায়গায় বিজেপি সিপিএমকে ম্যানেজ করেছে। আমাকে সিপিএম অনেক মেরেছে, কিন্তু, তাও বলব না সবাই বিজেপিকে সাপোর্ট করে। আজ যারা সিপিএম চালাচ্ছে, তারা বিজেপিকে সাপোর্ট করে।

এটা দিল্লীর নির্বাচন। পাঁচ বছরে কি করেছে, তার কৈফয়েত দিক। ভাবছে ফেসবুক কন্ট্রোল করে জিতে যাবে। হাজার হাজার কোটি খরচ করে ফেসবুককে ফেকবুক করে দিয়েছে।

ভয়ে ভারতের কোনও নেতা কথা বলতে পারে না। সবার বিরুদ্ধে ইডি, সিবিআই, কাস্টমস, আয়কর করেছে।

দাঙ্গার নায়করা ভয় দেখিয়ে ক্লিনচিট নিয়েছে। আগামী দিন ঐ ক্লিনচিটের রিভিউ হবে। নোটবাতিলের তদন্ত হবে না?

রিজার্ভ ব্যাঙ্ক বারণ করা সত্ত্বেও নোটবাতিল করে সাধারণ মানুষের টাকা লুঠে নিয়েছে। বিজেপির পার্টি অফিস হল কি করে?

বাংলা আগে রাজনৈতিক হিংসায় এক নম্বরে ছিল। এখন কিছু হয় না। এখানকার কিছু চ্যানেল একটা ঘটনা বারবার দেখায় নিজেদের টিআরপির জন্য।

ত্রিপুরায় ৯৮ শতাংশ জায়গায় নির্বাচন হল না, কোনও মিডিয়া দেখালো না। সব চ্যানেল কিনে নিয়েছে। ওনার বিরুদ্ধে খবর দেখালেই চ্যানেল বন্ধ। মিডিয়ারা ভেজাল খবর তৈরী করছে।

জি টিভিতে সাক্ষাৎকারে মোদীকে বলছে আপনি আবার আসবেন। মোদী আর আসবে না। টাইমস নাও নিউজ করছে আমরা হিন্দুদের ভোট দিতে দিই না। মানুষকে বিভ্রান্ত করবে না।

বাংলায় এসে বাংলাকে কাঙাল বলছে। ও জানে কাঙাল মানে কি? আপনারা ভোটের মাধ্যমে ওকে কান ধরে ওঠবোস করান। আমাকে গালাগাল দিন, আমার বাংলা মাকে দেবেন না, সহ্য করতে পারব না।

এসে বলছে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় দুর্গাপুজো করতে দেয় না। ওরা চেনে মা দুর্গা কে? বলছে সরস্বতী পুজো করতে দেয় না। ক্লাবে, স্কুলে, স্কুলে, কলেজে, বাড়িতে পুজো হয়।

আমি ক্লাবগুলোকে ১০ হাজার টাকা করে সাহায্য করেছি। ৪০টি ক্লাবকে আয়করকে দিয়ে নোটিশ দিয়েছে।

কপিল মুনী আশ্রমের মহন্ত বলেছেন, নির্বাচন এলেই শ্রী রাম কে বিজেপি নির্বাচনের এজেন্ট করে দেয়। পাঁচ বছর ভুলে যায়।

আমার নির্বাচন নয়, তাও আমি মানুষকে কৈফয়েত সবসময় দিতে রাজী। কিন্তু, উনি বলছে আমি ৫৬ ইঞ্চি তাই আমাকে ভোট দাও। নোটবাতিল করে ৩ কোটি মানুষকে বেকার করে দিয়েছে।

বাংলার ছেলে মেয়েদের জীবন্ত পুড়িয়ে মেরেছে, আপনারা দেখেন নি? কি অত্যাচার গুজরাটে আর রাজস্থানে করেছে। ছেলে মেয়ে রাস্তায় একসঙ্গে ঘুরলে ধরে মারছে। উনি নিরামিষ খান বলে এয়ার ইন্ডিয়ায় ইকোনমিক ক্লাসে সবাইকে ভেজ খেতে হচ্ছে।

আমাদের লড়াই চলবে। আমরা ভয় পাই না। ফ্যাসিস্ট হঠাও দেশ বাঁচাও, মোদী হঠাও দেশ বাঁচাও।

বিজেপি কেন্দ্রীয় বাহিনী পাঠিয়ে আমায় মারতে পারবে না। আমি গুলি বন্দুকের সঙ্গে অনেক লড়াই করেছি। আমি ভয় পাই না।