Latest News

December 9, 2025

এসআইআরের নামে ভোটবন্দি করার চেষ্টা : মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়

এসআইআরের নামে ভোটবন্দি করার চেষ্টা : মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়

আজ কোচবিহারের রাসমেলা ময়দানে জনসভায় অংশগ্রহণ করেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সেখানে ওনার বক্তব্যের কিছু অংশ :

আমি বিজেপির মতো টাকা দিয়ে ভোট কিনি না। আমি ভালবাসা দিয়ে কিনি। তাই যা দেওয়ার ভোটের আগেই দিই।

ভোটের আগে উজ্বলার নামে নাটক, চা বাগান খোলার নাটক, নতুন করে কিছু দেওয়ার নাটক? এ সব আমরা বরদাস্ত করি না।

আমরা যা দেওয়ার আগেই দিই। ভোটের সময় নতুন করে উজ্বলার নামে একমাসের নাটক। নতুন করে চা বাগান খোলার নামে নাটক। নতুন করে কিছু দেওয়ার নামে নাটক। এসব নাটক আমরা বরদাস্ত করি না। আপনারা নির্বাচনের আগে বিহারে লোক দেখিয়ে কী করলেন?আগে করে দেখান। তারপরে আমার সঙ্গে লড়াই করতে আসবেন।

ক্ষমতায় আসার পর এক বছর সময় দিতে হয়েছে বামফ্রন্ট সরকারের জঞ্জাল পরিষ্কার করতে। তারপর মাত্র ১৩ বছর হাতে টাইম পেয়েছি।

বাংলায় এনআরসি-ডিটেনশন ক্যাম্প হবে না।

১০০ দিনের কাজ বাংলাই করবে, কেন্দ্রের ভিক্ষা চাই না।

টাকা লুকিয়ে রেখেছে কেন্দ্র, ভোটের সময়ে বের করবে।

এই ১৪ বছরে যা উন্নয়ন করেছি সারা পৃথিবীতে কোথাও হয়নি, আমি চ্যালেঞ্জ করে বলতে পারি।

আদালতের রায়ের পরেও কেন্দ্র ১০০ দিনের কাজের টাকা দেয়নি।

বিজেপি বাংলায় ক্ষমতাতে এলে সব শেষ হয়ে যাবে।

গোটা বাংলায় ডিটেনশন ক্যাম্পে হয়ে যাবে।

১০০ দিনের কাজের টাকা দেওয়া চার বছর ধরে বন্ধ করে দিয়েছেন। আবাস যোজনা বন্ধ। গ্রামীণ রাস্তার কাজ বন্ধ করে দিয়েছে। মনে রাখবেন ২০১১ সালের পর থেকে ১০০ দিনের কাজে আমরা অনেক জাতীয় পুরস্কার পেয়েছি। ভালো কাজ করা কি অপরাধ?..

বঙ্কিমচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়কে বললেন বঙ্কিমদা। যেন মনে হচ্ছে শ্যামদা, হরিদা। বঙ্কিমচন্দ্র চট্টোপাধ্যায় যিনি জাতীয় গান রচনা করেছিলেন, তাঁকে এই টুকু সম্মান দিলেন না! আপনাদের তো মাথা নিচু করে নাকখত দেওয়া উচিত জনগণের কাছে। তাতেও ক্ষমা হবে না। দেশের সংস্কৃতি, ইতিহাসকে অসম্মান করেছেন।

রাজা রামমোহন রায়কে বললেন তিনি দেশপ্রেমী নন। ক্ষুদিরাম বসুকে সন্ত্রাসবাদী বললেন। বিদ্যাসাগরের মূর্তি ভাঙলেন।

এসআইআরে নাম তুলুন, নইলে রাষ্ট্রপতি শাসনের ছক।

১০০ দিনের কাজের টাকা দেওয়া চার বছর ধরে বন্ধ করে দিয়েছেন। আবাস যোজনা বন্ধ। গ্রামীণ রাস্তার কাজ বন্ধ করে দিয়েছে। মনে রাখবেন ২০১১ সালের পর থেকে ১০০ দিনের কাজে আমরা অনেক জাতীয় পুরস্কার পেয়েছি। ভাল কাজ করা কি অপরাধ?আমাদের সাংসদেরা দিল্লিতে গিয়েছিলেন আন্দোলন করতে। কিন্তু সকলের নামে কেস দিয়েছে।

আগে নোটবন্দি করেছিল। এখন এসআইআরের নামে ভোটবন্দি করার চেষ্টা। যাঁরা মারা যাননি, তাঁদের মৃত দেখানোর চেষ্টা হচ্ছে। পরিযায়ী শ্রমিক সকলকে বলব নামটা তুলতে। হেয়ারিংয়ে যাবেন সব কাগজ নিয়ে যাবেন।দলও যেন ঐক্যবদ্ধ হয়ে কাজ করে। মনে রাখবেন যুদ্ধ যখন হয় তখন সকলকে কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে লড়াই করতে হয়।

আপনাদের একটা কথা বলি। কারও কোনও দাবি থাকতেই পারে। কিন্তু মিটিংয়ে এ ভাবে করবেন না। মিটিংটা নিজের ব্যক্তিগত ব্যাপারে জন্য নয়। রাস্তাঘাটে তো আপনারা আমাকে চিঠি দেন। আমি নিয়ে নিই। চেষ্টা করি যতটা সম্ভব করে দেওয়ার। কারও কোনও দাবি থাকলে আপনারা প্রশাসনকে দিয়ে দেবেন।