মে ৮, ২০১৮
চিনির ওপর অতিরিক্ত সেস, বিরোধিতায় বাংলা

চিনির ওপর অতিরিক্ত সেস বসানোর কেন্দ্রীয় সিদ্ধান্তের তীব্র বিরোধিতা করলেন পশ্চিমবঙ্গের অর্থমন্ত্রী ডঃ অমিত মিত্র। একটি টেলিভিশন সাক্ষাতকারে তিনি জানান যে পশ্চিমবঙ্গ সরকার এই সিদ্ধান্তের তীব্র বিরোধিতা করছে। তিনি বলেন, শুধুমাত্র বাংলা নয়, কেরল, দিল্লী এবং তামিল নাড়ুও এই সিদ্ধান্তের বিরোধিতা করছে।
এই প্রস্তাব যাতে গৃহীত হয় তার জন্য কেন্দ্রীয় সরকার একটি পাঁচ সদস্যের প্যানেল তৈরি করে যার মধ্যে আছে পাঁচটি রাজ্যের অর্থমন্ত্রী। আরেকটি প্যানেল তৈরি হয়েছে যা কিনা ডিজিটাল সম্প্রসারণ করার কাজ করবে, যার সদস্য হলেন ডঃ অমিত মিত্র।
অমিতবাবুর মতে, জিএসটি লাগু করার অন্যতম উদ্দ্যেশ্য ছিল সমস্ত সেস তুলে দিয়ে একটি মাত্র কর চালু করার, শুধুমাত্র কিছু নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্য ও লাক্সারি গুড্স বাদে। কিন্তু চিনির ওপর সেস লাগু করার মাধ্যমে কেন্দ্রীয় সরকার নজির স্থাপন করছে ভবিষ্যতে খেয়ালখুশি মত যে কোনও দ্রব্যের ওপর সেস লাগিয়ে দেওয়ার। এতে জিএসটির মূল উদ্দেশ্যের লঙ্ঘন হবে।
ওনার বক্তব্য অনুযায়ি, সেস চালু হলেও কৃষকরা এর সুবিধা পাবেন না। কেন্দ্রীয় সরকার সেস থেকে প্রাপ্ত টাকা মিলমালিকদের দেবে যাতে সেটা কৃষকদের কাছে পৌঁছাতে পারে। কিন্তু বাস্তবে তা হয় কি? তিনি ও বলেন যে এই সেস লাগু হলে শুধুমাত্র উত্তরপ্রদশের লাভ হবে, এবং এর ফলে আমাদের রাজ্যে চিনির দাম কম ৩ টাকা বেড়ে যাবে। উনি এর কড়া নিন্দা করেন।
তিনি আরও বলেন যে জিএসটি চালু করার আগে পরিকাঠামো ঠিক করে নির্মাণ করা হয়নি যার ফলে ৩১টি রাজ্যের রাজস্ব ঘাটতি হয়েছে। তিনি বলেন কেন্দ্রকে একটি পাইলট প্রজেক্ট চালু করার সুপারিশ করা হয়েছিল কিন্তু তারা কর্ণপাত করেননি। জিএসটির ফলে ক্ষুদ্র, মাঝারি শিল্পের প্রভূত ক্ষতি হয়েছে বলে তিনি জানান।