ফেব্রুয়ারি ৩, ২০২০
বিজেপি হচ্ছে দাঙ্গাবাজ, গুন্ডাবাজ, ধান্দাবাজঃ মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়

আজ নবান্নে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তিনি জামিয়া মিলিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের ঘটনার নিন্দা করেন। তিনি কেন্দ্রের শাসক দলের বিষয়ে বলেন, এসব করা ছাড়া ওদের কাছে কোনও উপায় নেই। কোনও উন্নয়ন করেনি। ওরা কৃষক, শ্রমিক বা বেকার, ছাত্র, মা-বোনেদের জন্য কোনও কিছু করেনি। ওরা একটাই জিনিস করেছে। দেশকে ভাগ করে দাও। আমরাও হিন্দু আমরাও গর্ব করে তা বলি। হিন্দু ধর্ম সর্বজনীন। আমরা গান্ধীজী, নেতাজী, স্বামী বিবেকানন্দকে সম্মান করি। নেতাজী ‘জয় হিন্দ’ স্লোগান দিয়েছিলেন। শাহনওয়াজ খান নেতাজির বাহিনীতে ছিলেন। ভগৎ সিংকে আমরা স্মরণ করি। পাঞ্জাবের সঙ্গে বাংলার চিরকাল সম্পর্ক আছে। এটাই আমাদের দেশ।
তিনি আরও বলেন, আমি তামিলনাড়ুতে ভানাক্কম দেখতে যাই। আমরা সব ভাষাকে সম্মান করি। বিহার ইউপিতে কেউ হিন্দী কেউ ভোজপুরি ভাষায় কথা বলেন। বিজেপি মুখে বড় বড় কথা বলে। যারাই প্রতিবাদ করে তাদের বলে সন্ত্রাসবাদী। সবাই সন্ত্রাসবাদী তবে ওরা কি? ওরা নিজেদের প্রমান করার চেষ্টা করে ‘ন্যাশানালিস্ট’ হিসেবে। আসলে ওরা সব থেকে বড় ‘অপরচুনিস্ট’। বিজেপি ভারত ও ভারতবাসীর জন্য কিছুই ভাল করেনি। ওরা অব দ্যা পিপুল বাই দ্য পিপুল ফর দ্য পিপিলে বিশ্বাস করেনা। বিজেপির অপপ্রচার চালাতে উৎসাহ দিচ্ছে। দেশকে ভাগাভাগি করতে চাইছে। যেটা গান্ধীজি বা নেতাজী, বাবা সাহেব আম্বেদকর বা মৌলানা আবুল কালাম আজাদ, স্বামী বিবেকানন্দ বা রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর কারোর পথ নয়।
বিজেপির হিংসাত্ত্বক রাজনীতির বিষয়ে তিনি বলেন, যেভাবে চলছে দেশটা আমার ভাল লাগছে না। ধন ধান্যে পুষ্পে ভরা – সকল দেশের সেরা সে যে আমার জন্মভূমি। এই জন্মভূমি বদ্ধভূমি কেন হবে? মৃত্যুভূমি কেন হয়? আর সারা দেশে মানুষে মানুষে বিভেদ করিয়ে দেওয়া গন্ডগোল পাকাতে উদ্বুদ্ধ করা। প্রত্যেকটা নির্বাচনে মিলিয়ে নিন ওরা সরকারি মেশিনারীকে কাজে লাগাচ্ছে। বিজেপি হচ্ছে দাঙ্গাবাজ গুন্ডাবাজ ধান্দাবাজ। এটাই ওদের পরিচয়।
বিজেপির বিষয়ে তিনি আরও বলেন, আমরা বন্দুক নিয়ে প্রোগ্রাম করতে যাই না। ডান্ডা নিয়ে প্রোগ্রাম করতে যাই না। আমরা রাজনীতি ওদের কাছে শিখব না। স্বাধীনতা আন্দোলনে বাংলার ইতিহাস আছে। সেই ইতিহাসে আমাদের সহনশীলতা শিখিয়েছে। দিল্লীর নির্বাচনে ভারতের ভাগ্য নির্ভর করছে। দেখা যাবে কি হয়। বিজেপি জনতাকে বিশ্বাস না করে ওদের গোরিলা বাহিনীকে কেন বিশ্বাস করে।
বাজেট প্রসঙ্গে বলেন, বাজেট হল বিগ জিরো। এতে কোনও উন্নয়নের কথা বলা হয়নি। বাজেট ছিল শুধুমাত্র রাজনৈতিক বক্তব্য। ঘৃণার বক্তব্য। ভ্যান্ডালিজম চলছে। কিভাবে একজন সাংবিধানিক প্রধান এই রকম কথা বলেন? আন্দোলন নিয়ে এতো ভয় কেন? সুপ্রীম কোর্টও বলছে শান্তিপূর্ণ আন্দোলন। ভয়ের বাতাবরণ তৈরী করা হচ্ছে।