সাম্প্রতিক খবর

জুলাই ২১, ২০১৮

একুশের মঞ্চ থেকে বিজেপিকে উৎখাত করার ডাক তৃণমূলের

একুশের মঞ্চ থেকে বিজেপিকে উৎখাত করার ডাক তৃণমূলের

আজ একুশের মঞ্চে উপস্থিত ছিলেন তৃণমূল কংগ্রেসের প্রথম সারির নেতারা। কে কি বার্তা দিলেন মঞ্চ থেকে? দেখে নিন।

অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়

যারা আজ এখানে সমবেত হয়েছেন তাদের সকলকে আমার ধন্যবাদ, কুর্নিশ। আজ এখানে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের দিক নির্দেশিকা নেব বলে আজ এই সভা মঞ্চে উপস্থিত হয়েছি। বিভিন্ন প্রান্ত থেকে মানুষ আজকের দিনে এই দিনে ধর্মতলায় আসি। প্রতি বছর আমরা এখানে আসি। ২১ জুলাই কোন শব্দ বা তারিখ নয়। ২১ কোন সীমারেখা নয়। ২১ হল আবেগ, অহংকার, তৃণমূলের পরিচয়। যারা ২১ জুলাই জানে তাদের তৃণমূল কংগ্রেস করার কোন যোগ্যতা নেই।

গত বছর ২১ জুলাই আমরা শপথ নিয়েছিলাম পঞ্চায়েত নির্বাচনে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ছবি, জোড়া ফুল আর বিপুল উন্নয়নের কর্মযজ্ঞকে সামনে রেখে আমরা জেলা পরিষদে জিতব। নির্বাচনের ফলে ২০ টি জেলা পরিষদ তৃণমূল এক জয় করেছে।

আজকের এই মঞ্চ থেকে আমাদের অঙ্গীকারবন্ধ হতে হবে যে ২০১৯ এ বিজেপি ফিনিশ। প্রয়োজনে প্রাণ দিতেও আমরা রাজি। কিন্তু আমরা মাথা নত করবো না। সিবিআই, ইডি দিয়ে তৃণমূল কংগ্রেসকে ভয় দেখানো যাবে না। মনুষের পেটে আঘাত পড়লে আমরা ছেড়ে কথা বলব না।

কয়েকদিন আগে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী এসেছিলেন, তিনি নাকি কৃষি কল্যাণ-কৃষক সমাবেশ করে গেছে, কিন্তু অণুবীক্ষণ যন্ত্র দিয়ে একজন কৃষককেও খুঁজে পাওয়া যায়নি।

১০-১২ হাজার লোকের একটা সমাবেশ করতে গিয়ে পুরো প্যান্ডেল ভেঙে গেলো, একটা প্যান্ডেল সামলাতে পারছে না আর ওরা নাকি বাংলা সামলাবে। ২০১৮ তে প্যান্ডেল ভেঙেছে, আর ২০১৯ এ সরকার ভাঙবে। আগে প্যান্ডেল সামলা তারপর ভাবিস বাংলা।

পার্থ চট্টোপাধ্যায়

সাধারণ মানুষের শেষ সঞ্চয় কেড়ে নেওয়া থেকে শুরু করে দ্রব্যমূল্য বৃদ্ধি – সব ক্ষেত্রেই মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় যে ভাবে রুখে দাঁড়িয়েছেন তার তুলনা হয় না। আমরা আজ তার মুখ থেকে পরবর্তী পর্যায়ের কথা শুনব।

সুদীপ বন্দ্যোপাধ্যায়

দেশের রাজনীতি এই মুহূর্তে ক্রমাগত অস্থিরতার দিকে দৌড়চ্ছে। দেশের মানুষ এটা উপলব্ধি করছে, এই মুহূর্তে ভারতবর্ষে সম্প্রীতি সঙ্ঘতি এবং ঐক্যের বাতাবরণকে ঠিকমত রেখে দিয়ে নির্দিষ্ট ভাবে দিকনির্দেশ করতে যদি কোনও রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী সফল হয়ে থাকেন, সেই মুখ্যমন্ত্রীর নাম মমতা ব্যানার্জি। এটা দেশের অন্য সরকারদের স্বীকৃতি দিচ্ছে হচ্ছে।

সুব্রত বক্সী

এই সভা শুধু বাংলার মানুষ নয়, ভারতের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে মানুষ মিডিয়ার মাধ্যমে দেখছেন। নিশ্চিতভাবে ভারতের সব রাজনৈতিক দলকে এই সংকেত পৌঁছে দিতে পারব যে তৃণমূল কংগ্রেসের মত সুশৃঙ্খল দল ভারতে আর নেই, আগামীদিনেও হবে না।

শুভেন্দু অধিকারি

প্রতি বছরের মত এবছরও আমরা শহীদ ও তাদের পরিবারকে শ্রদ্ধা জানাচ্ছি। বৃহত্তর কলকাতা আজ কালো মাথায় ঢেকে গেছে। আজ জননেত্রী যে দিকনির্দেশ করে দেবেন তাই আমরা অনুসরণ করব। নির্বাচনের সময়কালে অনেক মিডিয়া, বিরোধী দলনেতার অনেক কথা বলেছিলেন, কিন্তু বাংলার মাটি তৃণমূলের দুর্জয় ঘাঁটি। তৃণমূল কংগ্রেসেরকে ভয় দেখিয়ে আটকানো যাবেনা, মানুষের মনিকোঠায় রয়েছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।অস্তিত্বহীন কংগ্রেস এখন সিপিএমের সঙ্গে, আর একটা নতুন দল শুধু ‘মেরে দাও কেটে দাও’ বলছে।এই অর্বাচীনদের মুখে শুধু খারাপ কথা, কোন ভদ্র কথা নেই। আগামী লোকসভা ভোট এদের ৪২-০ করার শপথ নিলাম আমরা। বিজেপি হটাও, দেশ বাঁচাও।

সুব্রত মুখোপাধ্যায়

আমরা বাংলাকে কলুষমুক্ত করেছিলাম, তারপরেই আবার বাংলাকে কলুষিত করার জন্য আর এক রাজনীতির জন্ম হয়েছে। জীবনের শেষ রক্ত দিয়েও আমরা চোখের মনির মতন বাংলাকে রক্ষা করব। ভারত আজ দিশাহীন। প্রধানমন্ত্রী যা প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেলন কিছুই পূরণ করেননি। আজ গরিব মানুষের চোখে ঘুম নেই। কমিউনিস্ট পার্টির অস্তের পর এবার বিজেপির পালা, এবার ভারতবর্ষে আবার নতুন সূর্য উঠবে।

চন্দ্রিমা ভট্টাচার্য

মেয়েদের কি করে সম্মান দিতে হয় তা দেখিয়ে দিয়েছেন আমাদের নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়, আমরা তাঁরই সৈনিক। জননেত্রীর ওপর মানুষের আস্থা আরো বেড়েছে তাই ২০১১ র তুলনায় অনেক বেশি ভোট পেয়ে ২০১৬ তে জয়ী হয়েছে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। যে রাজনৈতিক দলে এত মহিলা আছেন তাকে দুর্বল করে এরকম কেউ এখনও জন্মায়নি। আজ নতুন এক অঙ্গীকার করার দিন. আগামীদিনে আমাদের আরো শক্তিশালী হতে হবে, এই হোক আজ আমাদের অঙ্গীকার।