জুলাই ২, ২০১৮
সময় এসেছে দিল্লিতে এবার বাঙালি প্রধানমন্ত্রীর: শুভেন্দু অধিকারী

রবিবার পুরুলিয়ার উপকণ্ঠে শিমুলিয়ার কালিপুরের ফুটবল ময়দানে একটি জনসভা করে তৃণমূল কংগ্রেস। বিশাল জনসমায়েত হয়. বিজেপি–র সভাপতির কুৎসা–অপপ্রচার ও কেন্দ্রীয় সরকারের জনবিরোধী নীতির বিরুদ্ধে সেই ময়দানেই রবিবার পাল্টা সভার ডাক দেয় তৃণমূল। উপস্থিত ছিলেন রাজ্যের পাঁচ মন্ত্রী ও জেলা নেতারা।
প্রবীণ তৃণমূল নেতা বলেন, যখন সিপিএম এই বাংলার নেতাইতে হত্যালীলা শুরু করে, ঠিক তখনই গুজরাট গণহত্যা শুরু হয়। সিবিআই যে মামলা তৈরী করেছিল, তা খারিজ করা হত না, যদি না এই গণহত্যার নায়ক কেন্দ্রীয় সরকারের মাথায় থাকত।”
তিনি আরো বলেন, ২২টি লোকসভা আসন তো অনেক দূরে, দার্জিলিং, আসানসোল এই আসন দুটোও ওরা জিততে পারবে না, যা এখন ওদের হাতে আছে. ২০১৯-এর নির্বাচনে বিজেপির ফলাফল হবে শূন্য। তার কোথায় “জুমলা পার্টি বিজেপি আগে লোকসভার ২টি আসন ধরে রাখুন তারপর ২২টি আসনের কথা ভাববেন।
হাকিম আরো বলেন, গুজরাটের মার্ডার কেসে মুখ্য অভিযুক্ত লোক বাংলায় এসে বক্তৃতা দিচ্ছে, উনি বাংলার ঐতিহ্য সম্পর্কে কিছুই জানেন না. তবে বাংলায় কোন রকম দাঙ্গা ও অপপ্রচারের কোন জায়গা নেই।
পরিবহণমন্ত্রী শুভেন্দু অধিকারী বলেন, ‘আগে দিল্লি সামলা, পরে ভাববি বাংলা। দিন দুই আগে এখানে বিজেপি ঝাড়খণ্ডের মানুষকে নিয়ে সভা করেছিল। আর আজ আমরা সভা করলাম এই জেলার মানুষকে নিয়ে। দেখিয়ে দিলাম মানুষ আমাদের সঙ্গে আছেন, উন্নয়নের সঙ্গে আছেন।’
সভায় আরেক মন্ত্রী শশী পাঁজা বলেন, ‘যাঁরা ইতিহাস জানেন না তাঁদের মুখে বড় বড় কথা মানায় না। আমাদের মুখ্যমন্ত্রীকে যদি কারও সঙ্গে তুলনা করা যায় তাহলে তিনি হলেন বিধানচন্দ্র রায়। যিনি মানুষের জন্য কাজ করেছেন। আর আমাদের মুখ্যমন্ত্রীও মানুষের জন্য কাজ করেন। বাকিরা শুধু মিথ্যে কথা বলেন।’