জুলাই ১০, ২০১৮
মৎস্যজীবীদের সার্বিক কল্যাণে ব্রতী রাজ্য সরকার

২০১১ সালে ক্ষমতায় আসার পর থেকে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নেতৃত্বাধীন তৃণমূল কংগ্রেস সরকার রাজ্যের মৎস্যজীবীদের সার্বিক উন্নয়নে জোর দিয়েছেন।
পেশাদারী সুযোগ সুবিধে:রাজ্য সরকারের তরফে মৎস্যজীবীদের পেশাদারী সুযোগ সুবিধে প্রদান করা হয়, যেমন – পরিবহণ সুবিধা, বায়মেট্রিক আইডেন্টিটি কার্ড, সমুদ্রে আপতকালীন অ্যালার্ট পদ্ধতি, ইত্যাদি।
মাছের পরিবহণ ব্যবস্থা:মাছের পরিবহণের জন্য সরকারের তরফে বিভিন্ন ধরণের সুবিধা দেওয়া হয়েছে। নদী ও সমুদ্রের মৎস্য চাষিদের জন্য দেওয়া হয়েছে ৭,৩০০টি জল হুন্ডী, মৎস্য সমবায় সমিতিগুলিকে দেওয়া হয়েছে ১,২৩৭টি মৎস্যযান, ইন্সুলেটেড বাক্স সমেত ১০,৫০০টি বাইসাইকেল এবং ৩৫,০০০টি ইন্সুলেটেড বাক্স।
পরিচয়পত্র প্রদান:সামুদ্রিক মৎস্যজীবীদের জন্য বায়োমেট্রিক পরিচয়পত্রের ব্যবস্থা করা হয়েছে। ২,৪৬,৯২৯ পরিচয়পত্র ইতিমধ্যেই দেওয়া হয়েছে। এমএস অ্যাক্ট ১৯৫৮ (যন্ত্রচালিত জলযান) ও ওয়েস্ট বেঙ্গল মেরিন ফিশিং রেগুলেশন অ্যাক্ট ১৯৯৩ (মনুষ্যচালিত জলযান) মেনে ১২,৪৮২টি সামুদ্রিক মৎস্য যান নথিভুক্ত করা হয়েছে।
ডিস্ট্রেস অ্যালার্ম:নিরাপত্তা ব্যবস্থার জন্য ৩,৬৫৬ টি মাছ ধরার নৌকাতে ডিস্ট্রেস অ্যালার্ম ট্রান্সমিটার বসানো হয়েছে।
যন্ত্রচালিত জলযান:মোট ৫৯৩টি যন্ত্রচালিত জলযান – যার মধ্যে ৯৩টি ছয় সিলিন্ডার যুক্ত জলযান, ৫০০টি দুই সিলিন্ডার বিশিষ্ট জলযান বিতরণ করা হয়েছে ৩,৪৩০জন সামুদ্রিক মৎস্যজীবীকে।
ব্যাক্তিগত কল্যাণ:ছোট মৎস্যচাষিদের জন্যও বার্ধক্য ভাতা আনা হয়েছে। মৎস্যচাষিদের অর্থনৈতিক সহায়তার জন্য বীমা প্রকল্প চালু করা হয়।
বার্ধক্য ভাতা:এই প্রকল্পে ৫,৬৫০০ জন অবসরপ্রাপ্ত ও দুর্বল মৎস্যচাষিদের মাসিক ১০০০ টাকা করে ভাতা দেওয়া হয়।
দুর্ঘটনা বীমা:২,২১,৫৬৩ মৎস্যচাষিকে এই প্রকল্পের আওতায় আনা হয়েছে। কোনও মৎস্যচাষির মৃত্যু হলে বা ৭ বছরেরও বেশী সময় নিখোঁজ থাকলে, তার পরিবারকে ২ লক্ষ টাকা করে দেওয়া হয়। শারীরিক ভাবে অক্ষম হলে ১ লক্ষ টাকা দেওয়া হয়।
বাসস্থান:মৎস্যজীবী ও তাদের পরিবারকে ১৪,৫০০টি বাসস্থান দেওয়া হয়েছে।