জুলাই ১৫, ২০১৮
কৃষি বিপণনে এগিয়ে বাংলা

মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের অনুপ্রেরণায় এখন সরাসরি কৃষকদের কাছ থেকে শাক-সবজি সংগ্রহ করে নানা বিপণন কেন্দ্রের মাধ্যমে ক্রেতাদের বিক্রি করে রাজ্য কৃষি বিপণন দপ্তর। জেলায় জেলায় তৈরী হয়েছে কৃষক বাজার। এর ফলে একদিকে যেমন লাভবান হচ্ছে কৃষকরা, তেমনই ন্যায্য মূল্যে শাক-সব্জি কিনতে পারছেন ক্রেতারাও।
সুফল বাংলা:
এই প্রকল্পের মাধ্যমে একদিকে কৃষকরা যেমন তাদের খাদ্যশস্য ও শাক-সবজির জন্য ন্যায্য মূল্য পাচ্ছেন, তেমনি ক্রেতাদেরও অনেক কম দামে। এই প্রকল্পটি কলকাতা ও তার পার্শ্ববর্তী অঞ্চলে চালু হয়েছে। ২১টি বিপণন কেন্দ্র এবং ৪৬টি মোবাইল গাড়ির মাধ্যমে নির্দিষ্ট সময়ে শাক-সবজি ইত্যাদি বিক্রী করা হয়।
২০১৭-১৮ অর্থবর্ষে আরও ৫০টি স্থায়ী বিপণন কেন্দ্র খোলার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছিল, যার মধ্যে ১০টি ইতিমধ্যেই চালু হয়ে গেছে এবং বাকি ৪০টি ২০১৮-১৯ অর্থবর্ষে খোলা হবে। সিঙ্গুরে তাপসি মালিকের নামাঙ্কিত বাজারে একটি গুনমান পরীক্ষা কেন্দ্রও খোলা হয়েছে। জাইকার আর্থিক সহায়তায় এই প্রকল্পের জন্য একটি সৌরবিদ্যুৎ চালিত, তাপমাত্রা নিয়ন্ত্রিত গুদামঘর তৈরীর কাজ শুরু হয়েছে।
কৃষি বিপণন দপ্তরের অধীনস্থ পশ্চিমবঙ্গ কৃষি বিপণন কর্পোরেশন লিমিটেড এই সুফল বাংলা প্রকল্পের দায়িত্বে আছে।
কৃষক বাজার নির্মাণ:
চাহিদার ওপর ভিত্তি করে বিভিন্ন ব্লকে ধাপে ধাপে এখনও পর্যন্ত ১৮৬টি কৃষক বাজার তৈরী করা হয়েছে। প্রতিটি বাজারে থাকছে অত্যাধুনিক পরিকাঠামোগত সুযোগ সুবিধা। যেমন, নিলাম ঘর, কৃষকদের বিশ্রাম ঘর, প্রশাসনিক দপ্তর, মাল বোঝাই মালগাড়ি বা গরুর গাড়ি ওজন করিবার যন্ত্রবিশেষ, গুদামঘর, গুদাম তথা দোকানঘর, পাকা রাস্তা ও উন্নত নিকাশি ব্যবস্থা।
ফার্মার্স প্রোডিউসার্স অর্গানাইজেশন গঠন:
ডাল, তৈলবীজ, আনাজ উৎপাদন তথা বিপণন প্রক্রিয়াকে উন্নীত করতে ফার্মার্স প্রোডিউসার্স অর্গানাইজেশন গঠন করা হয়েছে। এই প্রকল্পের অধীনে ১১টি জেলায় ৫০০০০ কৃষকদের দিয়ে গঠিত করা হয়েছে ৫০টি ফার্মার্স প্রোডিউসার্স অর্গানাইজেশন। সুফল বাংলা প্রকল্পে এই ফার্মার্স প্রোডিউসার্স অর্গানাইজেশনগুলি সরবরাহ শৃঙ্খলের দায়িত্বে আছে। কয়েকটি ফার্মার্স প্রোডিউসার্স অর্গানাইজেশন সুফল বাংলা বিপণন কেন্দ্রের দায়িত্বেও আছে। নাবার্ডের দ্বারা গঠিত ফার্মার্স প্রোডিউসার্স অর্গানাইজেশনগুলিকে এই প্রকল্পের আওতায় আনার প্রক্রিয়া চলছে।